সব দোয়া ১সেকেন্ড এর আগে কবুল- সব চাওয়া পুরণ হবে

 সব দোয়া ১সেকেন্ড এর আগে কবুল- সব চাওয়া পুরণ হবে



এক বাদশার ছেলে এক আলেমের মজলিশে বসে এই হাদিস শুনল (মান সামাতা নাজা) যে চুপ থাকে সে মুক্তি পায়, এখন শাহজাদা সেদিন থেকে একদম বোবা হয়ে গেল, কিন্তু বাদশা মনে করল শাহজাদার কোন রোগ হয়েছে, ডাক্তার ডাকা হল ডাক্তার পরামশ দিল তাকে প্রতিদিন সকালে শিকারে পাঠানোর জন্য, সে প্রতিদিন শিকারে বের হয় সাথে এক গোলাম ও যায়, যখন শিকার থেকে ফিরে আসে বাদশা প্রশ্ন করে শাহজাদা কোন কথা বলেছে কিনা? গোলাম জবাব দেয় না।

একদিন শিকারে বের হলে এক ঝোপের মধ্যে এক শিকার লুকিয়ে যেতে দেখা গেল গোলাম সে ঝোপ অনেক নাড়া দিল যাতে শিকার ঝোপ থেকে বের হয়, কিন্তু শিকার ঝোপের ভিতর চুপ বসা ছিল, তখন গোলাম মনে করল ঝোপের ভিতর কোন প্রাণী নাই, কিন্তু গোলাম যখন ফিরে আসছিল সে ঝোপের ভিতর কোন প্রাণীর আওয়াজ শুনল আর সে সেটাকে শিকার করে ফেলল, তখন শাহজাদা বলে উঠল সাদাকতা এয়া রাসুলাল্লাহ, এখন গোলাম বাদশাকে এসে সব ঘটনা বলল, শাহজাদা যে কথা বলেছে তাও বলল, তখন বাদশা জল্লাদকে বলল শাহজাদাকে উল্টা লটকাও আর বেত্রাঘাত কর সে কেন চুপ থেকে আমাকে এত পেরেশান করছে, তাকে উল্টা লটকানো হল আর মারপিট আরম্ভ করল তখন সে আবার বলল সাদাকতা এয়া রাসুলাল্লাহ আপনি সত্য বলেছেন হে রাসুল (দ) কারন প্রাণীটি ঝোপের ভিতর আওয়াজ করে সে মারা পরেছে, আর আমিও আজ ১টি কথা বলেছি তার জন্য আমিও সাজা ভোগ করছি।

অনেকে আছে চুপ থাকেনা বরং কথা বলার সময় অহংকার করে আর অহংকারের কারনে সত্য গ্রহণ করাও তাদের নসিবে জুঠে না-

মক্কায় আল্লার রাসুল (দ) এর উপর যখন সুরা রাহমান নাজিল হল তখন হুজুর (দ) হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদকে বললেন তা মুখস্থ করে নবীজীকে শুনানোর জন্য, আবদুল্লাহ বিন মাসউদের কন্ঠ খুব সুন্দর ছিল, তিনি সুরা রহমান মুখস্থ করে নবীকে শুনালেন, নবী খুব খুশী হলেন, এবার বলেন হুজুর আমি এই সুরাটি আবু জেহেলকে শুনাতে চাই। এই কথা বলে সে দিল দৌড় আর আবু জেহেলের সামনে সুরা রাহমান পড়তে আরম্ভ করল, আবু জেহেল একদম রেগে গিয়ে তাকে এক থাপ্পর মারল, আর থাপ্পরের চোটে ছোট বাচ্চা আবদুল্লাহ মাটিতে পড়ে গেল আর কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া আরম্ভ হল, আল্লাহর নবী এ খবর শুনলেন তখন হযরত জিবরীল নবীর সামনে ছিল , জিবরীল হাসতেছে, নবী প্রশ্ন করলেন আরো জিবরীল তুমি হাসতেছ কেন? জিবরীল বলল কেন হাসলাম এর জবাব আমি পরে দিব।

মদীনায় যখন বদর যুদ্ধ শুরু হল আর সে বদর যুদ্ধে মায়াজ ও মুয়াব্বেজ নামক দুই শিশু আবু জেহেলকে ঘায়েল করে ফেলল সে বদরের মাঠে কাতরাচ্ছে আর আবদুল্লাহ বিন মসউদ যখন দেখলেন আবু জেহেল মরে নাই, তখন আবদুল্লাহ বিন মসউদ আবু জেহেলের বুকে বসে গেল, আবু জেহেল আবদুল্লাহ বিন মসউদকে দেখে বলে আরো আবদুল্লাহ তুমিতো গোলাম আর আমি হলাম একজন আরবের নেতা একজন নেতা হয়ে একজন গোলামের হাতে আমাকে মরতে হবে তা ভেবেই আমি ঘৃনায় মরে যাচ্ছি, যাক তুমি যখন আমার গলাটা কাটবে একটু বড় করে কাটবে যাতে মানুষ বুঝতে পারে আমি বড় নেতা ছিলাম।

এভাবেই আবু জেহেল মরার সময়ও অহংকার করা ছাড়ে না। আবদুল্লাহ বিন মসউদ আবু জেহেলকে কতল করে দিল আর মাথাটা কানের সাথে রশি বেঁধে নিজের কোমরের সাথে বেঁধে  নবীর সামনে নিয়ে আসলে, আর তখন হযরত জিবরীল আমি নবীর সামনে ছিল আর এখনও তিনি হাসছেন তখন নবীজি প্রশ্ন করলেন হে জিরীল তুমি হাসছ কেন? জিবরীল জবাব দিল হে আল্লাহর রাসুল আপনার কি মনে আছে মিক্কায় একদিন এই আবু জেহেল আবদুল্লাহ বিন মসউদকে থাপ্পর মেরে কান ফটিয়ে দিয়েছিল, সেদিন আমি হাসছিলাম কারন আজকের দিনের এই দৃশ্য বা ঘটনা যে ঘটবে যে আবু জেহেল আবদুল্লাহকে মেরেছিল সে আবদুল্লাহই একদিন এ আবু জেহেলকে মারবে তা চিন্তা করেই আমি সেদিন হেসেছিলাম।

এভাবেই হয় আল্লাহর ফয়সালা। যারা আল্লাহর হয়ে যায় আল্লাহ তাদের হয়ে যায়, আর আল্লাহকে শাহ রগের কাছে মনে করে তারা কখনো বেহুদা কথা বলতে পারেনা, তারা সব সময় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কথা বলে দোয়া করে।

আপনি দোয়া করেন কিন্তু অভিযোগ করেন দোয়া কবুল হয়না অথচ আল্লাহ পাক এর ঘোষনা (উদউনি আসতাজিবলাকুম) তোমরা আমার কাছে দোয়া কর আমি দোয়ায় সাড়া দিব।

আল্লাহর হাবিব (দ) বলেন দোয়া নিশ্চয়ই কবুল হবে যদি ৪টি ইসমে আজম থেকে কোন ১টি ইসমে আজম দিয়ে দোয়া কর। তা কখনো ফেরত দেয়া হবেনা।

অজু করে কেবলামুখি হয়ে এই ৪টি কলমা  থেকে কোন ১টি কলমা অবশ্যই পড়বেন

(ওয়া ইলাহুকুম ইলাহুও ওয়াহিদ লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম)

২য় কলমা (আলিফ লাম লিম, আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম)

৩য় কলমা (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা বি আন্নি আশহাদু আন্নাকা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম এয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম এয়াকুন লাহু কুফুয়ান আহাদ)

৪থ কলমা (আল্লাহুম্মা লা ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতে ওয়াল আরদ, জাল জালালি ওয়াল ইকরাম)

এই ৪টি কলমা থেকে কোন ১টি কলমা পড়ে যদি দোয়া করেন আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া ফিরিয়ে দিতে পারেন না। কারন এগুলি হল ইসমে আজম

আল্লাহর রাসুল (দ) বলেন

(ইজা দুঈয়া ফা আজাব ওয়া ইজা সুঈলা ফা আতা)  যা দোয়া করবে তা কবুল হবে, যা চাইবে তাই দেয়া হবে।

 

১০ টাকার নোটে ফুক দিয়ে তা পকেটে রাখ তারপর দেখ টাকা আর টাকা



হযরত আবদুল্লাহ বিন মসউদ (রা) বৃদ্ধ কালে যখন খুবই মুমুষ তখন উনাকে হযরত ওসমান (রা) দেখতে গেলেন, ওসমান (রা) তখন খলিফা ছিলেন তিনি যখন আবদুল্লাহ বিন মসউদকে বললেন আপনি যদি বলেন আমি আপনার জন্য বেশ কিছু মাল ও দৌলত পাঠিয়ে দিব, যা আপনার কন্যাদের জন্য কাজে আসবে, আবদুল্লাহ বিন মসউদ বললেন আমি আমার কন্যাদের সুরা ওয়াকেয়া মুখস্থ করিয়ে দিয়েছি তাদের অভাব অনটন হওয়ার কোন আশংকা নাই।

কারন হুজুর (দ) এরশাদ করেন যে প্রতিদিন সুরা ওয়াকেয়া পাঠ করবে তার বরকতে সে কখনো অভাবগ্রস্থ হবেনা।

সুতরাং বুঝা গেল সুরা ওয়াকেয়ার একটি বরকত আছে কিন্তু কেহ যেন এই নিয়তে না পড়ে যে শুধু পয়সা আসবে মাল আসবে টাকা আর টাকা আসবে তাহলে হবেনা, বরং পড়তেহবে আল্লাহকে রাজি করার জন্য।

তেমনি বেশী বেশী এসতেগফার পড়ার কারনেও দারিদ্রতা অভাব অনটন টাকা পয়সার সমস্যা দুর হয়ে যায়।

হাদীস শরীফে আছে এক লোক এসে হুজুর (দ) কে আরজ করেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমাকে এমন আমল বলে দিন যা দ্বারা আমার রোজগার বৃদ্ধী পাবে, হুজুর (দ) তাকে বললেন তুমি যখন তোমার ব্যবসা বা দোকানে যাবে তখন প্রথমে সালাম দিবে কেহ না থাকলে বিসমিল্লাহি ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ বলবে, এরপর একবার সুরা এখলাস পড়বে,

সে লোক হুজুর (দ) এর এই আমল শুরু করে দিল এবং খুব অল্প দিনের মধ্যেই সে তার এলাকার সবচেয়ে ধনী হয়ে গেল। ছোট আমল ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেয়া আর ১ বার সুরা এখলাস পড়া।

এসব কুরআন হাদীসের সহজ আমল আমাদের জন্য রযেছে কিন্তু আমরা এসব করতে রাজিনা, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়িনা, নিয়মিত সুরা ওয়াকেয়ার আমল করিনা, ঘরে ঢুকার সময় বিসমিল্লাহ বলিনা, সালাম দিই না, আত্মিয়তার সম্পক বজায় রাখিনা, মা বাবার সাথে নাফরমানি করি আর অভাবে পরে বাবার কাছে যাই আর বাবা যদি বলে তোমাকে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে কবরস্থানে এই ওজিফা করতে  হবে?

আবার অনেকে বলে অমুক বুযুগ জিনকে কাবু করে তার মাধ্যমে যেখান থেকে যা ইচ্ছে অজন করে, এখন কেহ যদি জিনকে কাবু করে তার মাধ্যমে এমন কোন কাজ করায় তাহলে সে বুযুগ নয় বরং সে একটি প্রাণীকে অন্যায়ভাবে কয়েদ করে কাবু করে রাখার কারনে জালেম, তার দ্বারা অন্যের মাল ও টাকা পয়সা নিয়ে আসার কারনে সে ডাকাতি করছে, আর সে মাল টাকা পয়সা যা সে জিনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসিল করছে এসবই চুরির মাল এবং হারাম। সুতরাং এসব বাতেল বুযুর্গের কারামতি সব বাতিল নাজায়েজ ও হারাম।

অনেকে বলে অমুক বুযুগ এ ওজিফা দিয়েছে, টাকার নোটে ফুক দিবে আর সে নোট পকেটে রাখবে ধন দৌলত শুধু আসতে থাকবে এগুলিও সব বেহুদা কথা আর গুজব। এমন কোন আমল ও ওজিফার কোন ভিত্তি নাই। বরং কুরআন ও হাদীসে যে সব আমল আছে তা যদি করেন আপনার সকল অভাব দুর হয়ে যাবে। ইনশা আল্লাহ


#দোয়া #ওজিফা #dua #wazifa #monerashapuronerdua

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.