৬টি প্রধান সেরা আমল করে আমি সব পেয়েছি। সব আশা পূরণ, অভাব পেরেশানি দুর হবে।

 

৬টি প্রধান সেরা আমল করে আমি সব পেয়েছি। সব আশা পূরণ, অভাব পেরেশানি দুর হবে।



যে ব্যক্তি নিজের জীবন ভিতর বাহির সুন্দর করতে চায় সবকিছু সুন্দরভাবে যেন তার মধ্যে আসে, এবং পুরা ইসলাম মানা তার জন্য যদি সহজ হতে হয় তাহলে তাকে ৬টি আমলে অভ্যস্থ হতে হবে, আমার জীবনেও কিছু ছিলনাএ ৬টি আমলের বরকতে আজ আমি সব পেয়েছি এ ৬টি আমল যদি কেহ আয়ত্ব করতে পারে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তার যা যা লাগে সব দিবেন, তার কোন অভাবই অপুরন থাকবেনা

তার মনের সব আশা পুরন হবে, সব পেরেশানি দুর হবে আমলগুলির আরো ফায়দা হল ঈমানের যে ৭৭টি শাখা সেগুলি তার মধ্যে চলে আসবে যারা সাহাবী আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তারা ঈমানের সবগুলি শাখাকে আয়ত্ব করেছে  সবগুলি প্রেকটিস করেছেন তাই তারা দুনিয়াতেও কামিয়াব আখেরাতেও কামিয়াব অনেক বয়স্ক লোকেরা বলে সন্তানদেরকে লালন পালন করে মানুষ করে দিয়েছি এখন কোনরকম কবরে যেতে পারলে হবে, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলছেন

(ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন) অর্থ্যাৎ তোমরা পরিপূর্ণ মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করিওনা।

আল্লাহকি আমাকে আপনাকে কোনরকম কবরে যেতে বলছেন? আল্লাহ বলেছেন পরিপূর্ণ মুসলমান হয়ে কবরে যেতে, আর আমরা বলি কোনরকম কবরে যাব আল্লাহ বলেন (এয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু উদখুলু ফিস সিলমি কাফফা) হে ঈমানদার মুমেন তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ কর।

আল্লাহ আমাদেরকে এমন কিছু চাপিয়ে দেন নাই যা পালন করা মানুষের জন্য অসাধ্য তারপরও যদি মানুষ ভুল করে ফেলে তার জন্য তওবা এসতেগফারের মত চমৎকার রিমোভার রেখেছেন। যতবার ভুল হবে ততবার তওবা করবেন আল্লাহ ক্ষমা করে পুনরায় মুত্তাকি বানিয়ে দিবেন, যেমন আপনি যদি নিয়ত করেনসব সময় অজু অবস্থায় থাকবেন, যেমন সাহাবিদের ও আল্লাহ ওয়ালাদের অনেকে সর্বদা অজু অবস্থায় থাকতেন, এর অর্থ এই নয় যে তিনি পেশাব পায়খানা করতেন না বরং সব করতেন তবে যখনই অজু ভঙ্গের কাজ হত সাথে সাথেই অজু করে নিতেন ফলে তিনি সর্বদাই অজু অবস্থায় ছিলেন বলে গন্য হয়েছেন, ঠিক তেমনি  যে ব্যক্তির গুনাহ হলেই সাথে সাথে তওবা করে নেয়, আর গুনাহ করবেনা বলে ওয়াদা করে নেয়, আবার গুনাহ হলে আবার তওবা করে, তাকে আল্লাহ তায়ালা গুনাহগার হিসেবে গন্য করেননা বরং তওবাকারী মুত্তাকি হিসেবে গন্য করে নেন সুতরাং হাজারবারও যদি তওবা ভেঙ্গে যায় আবার তওবা করুন

এখন আমাদের ঈমানের ৭৭ শাখা সবগুলি মানার চেষ্টা থাকতে হবে আর এর জন্য বিশেষ শক্তি সঞ্চয়ের জন্য, শরীরের মধ্যে ভিটামিন  আনয়নের জন্য ৬টা জিনিষ লাগবে। (১) নং হল কিয়ামুল লাইল তাহাজ্জুদ নামাজ রাত্রিকালিন নামাজে অভ্যস্থ হতে হবে। যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজে অভ্যস্থ আল্লাহ তায়ালা তার কলিজার ভিতর অসাধারণ শক্তি এবং পাওয়ার দান করেন ফলে তার জন্য গুনাহ ছাড়া সহজ হয় সে নেক আমলে অভ্যস্থ হয়

আল্লার প্রিয় হাবিব (দ) বলেন

 ‏" عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ "‏ 

 তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের রীতি। এ হল তোমাদের রব্বের নৈকট্য লাভের উপায়, তাহাজ্জুদ মন্দ কাজ সমুহের কাফফারা তাহাজ্জুদ
বান্দাকে গুনাহসমুহ থেকে বিরত রাখে

সুতরাং এই মহামূল্যবান আমলটি কোন ভাবেই মিস করবেননা, তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সময় হল এশারের পর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়া, এখন কেহ যদি ঘুম থেকে উঠতে না পারেন তারা রাতে ঘুমানোর আগে যদি তাহাজ্জুদের নিয়তে অন্তত ২ রাকাত পড়ে নেয় ওলামায়ে কেরাম বলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তাহাজ্জুদের নেয়ামত দান করবেন ২য় নম্বর আমল হল মনের মধ্যে আল্লাহর মুহব্বত ও ভালোবাসা নিয়ে বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করবেন। যার বিশুদ্ধ নাই তার বিশুদ্ধ করে নিতে হবে এই কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে আছে শেফা, এতে আছে নুর, আরো আছে বরকত আর যারা নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করেন তাদের জন্য আল্লাহ ইসলাম মানা গুনাহ ছাড়া সহজ করে দিবেন, তখন শুধু আমল করতে মন চাইবে

তাহলে ১ নং হল তাহাজ্জুদ ২নং হল বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওযাত ৩নং হল আল্লাহ তায়ালার জিকির। সকাল বিকাল দুপুর সন্ধ্যা, দাড়িয়ে বসে শুনে হাটতে বসতে চলতে ফিরতে হার হার হালতে আল্লাহকে ডাকা

ছুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার,

ছুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি ছুবহানাল্লাহিল আজিম

লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা ছায়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মাদ, আসতাগফিরুল্লাহ

হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম

কোন ধরনের প্রস্তুতির দরকার নাই প্রতিদিন সুযুগপেলেই আল্লাহর জিকির করুন দেখবেন আপনার জিহ্বাটাই মধু হয়ে যাবে অশান্ত মনটা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাবে আল্লাহ বলেন (আলা বিজিকরিল্লাহি তাতমাইন্নুল কুলুব) অর্থাৎ আল্লাহর জিকিরেই অন্তর বা আত্মা (কলব) প্রশান্তি পায়

জিকির দ্বারা মনের সকল পেরেশানি দুর হয়ে যাবে। তাহলে ১ নং হল তাহাজ্জুদ ২ নং বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত ৩ নং জিকিরুল্লাহ এ ৩টি আমল শারিরিক আমল আর পরের ৩টি আমল হল ভীতরের আমল

নং আমল হল তাবাত্তুল অর্থ হল সব কিছু থেকে সম্পর্ক বিছিন্ন করে হৃদয় মন দিয়ে শুধু আল্লাহকে ডাকে। অন্তরকে আল্লাহর সাথে সম্পর্কিত করা।যেমন আল্লাহ বলেন (ওয়া তাবাত্তাল ইলাইহি তাবতিলা)অর্থ্যাৎ-সব কিছু থেকে পৃথক হয়ে পুরাপুরি ভাবে আল্লাহর দিকে নিবিষ্ট ও নিমগ্ন হয়ে থাকে।

৫নং আমল হল আল্লাহর উপর সর্বাবস্থায় ভরসা করা, আল্লাহকে উকিল হিসেবে গ্রহণ করা

رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا

তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের অধিকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকেই গ্রহণ করুন কর্মবিধায়করূপে। [সুরা মুযযাম্মিল - ৭৩:৯]

আল্লাহকেই একমাত্র উকিল অভিভাবক বা আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু বানানো

৬ নং আমল হল সবর করা,
 
وَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ

যে  যাই বলুক তাতে ধৈর্য্য ধারন করা

তাহলে পরের ৩টি আমল হল (১) আল্লাহর সাথে অন্তরকে সম্পর্কিত করা (২) আল্লাহর উপর ভরসা করা (৩) সর্বাবস্থায় ধৈর্য্য ধারন করা।

এ ৩টির কুরআনি নাম হল (১) তাবাত্তুল (২) তাওয়াক্কুল (৩) ছবর-

তাহলে ৬টি আমল হল ১ নং কিয়ামুল লাইল ২ নং তারতিলুল কুরআন ৩ নং জিকির ৪ নং তাবাত্তুল ৫ নং তাওয়াক্কুল ৬ নং ছবর ৩টা বাহিরের ৩ টা ভিতরের আমল

এ ৬টা হল সবকিছুর হেড, তাই এ ৬টা যদি ঠিক করতে পারেন তাহলে বাকি গুলি সহজ হয়ে যায়, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন আমিন

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.