১ বার দরূদ শরীফটি পড়লে কি হবে,শুনুন, দরুদ শরীফের ফজিলত দরুদের আমল

 

১ বার দরূদ শরীফটি পড়লে কি হবে,শুনুন, দরুদ শরীফের ফজিলত দরুদের আমল



প্রতিদিন ১০০ বার এই দরুদটি পড়লে কি হবে জানলে অবাক হবেন একজন লোক ভোর রাতে উঠে দোয়া করছেন আল্লাহ একটা গাড়ি দাও, আল্লাহ একটা বাড়ি দাও, আল্লাহ দোকানে মাল তোলার ব্যবস্থা করে দাও,

আল্লাহ ঋণ গুলো পরিশোদ করে দাও,এভাবে হাজারো দোয়া করতেছে, আরেকজন দোয়া না করে পড়তেছে (আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদ, আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মদ)

সে মুহুর্তে রব্বুল আলামিন কি বলেবেন? ফেরেশতাকে বলবেন ফেরেশতা দেখতো ঠিক এ মুহুর্তে পৃথিবীতে কতজন দোয়া করে?  আল্লাহ এ মুহুর্তে পৃথিবীতে এক লক্ষ মানুষ দোয়া করে বলবে যাও আমার এই বান্দা আমার হাবিবের উপর দরুদ পড়ছে, ১ লক্ষ মানুষ যতকিছু চেয়েছে এই দরুদপাঠকারীকে তার সবটা দিয়ে দাও। সুবহানাল্লাহ

দোয়া করলে রব দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন, কিন্তু দরুদ শরীফ পড়লে বলবেন অবশ্যই দিয়ে দাও। একজন বলল হে আল্লাহ আমাকে সুস্থতা দাও, তাকে সুস্থতা দিলে দিতে পারে নাও দিতে পারে, কিন্তু যে বলবে ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিশ্চিত সুস্থতা দিয়ে দিবেন দরুদ শরীফ এমন একটি আমল যেটা অব্যর্থ যেটা কখনো ফেরত দেয়না। কারন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাও নবীজির প্রতি দরুদ প্রেরণ করেন সে জন্য আমরা যখন বলি আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মদ তখন মুলত আমরা বলি হে আল্লাহ মুহাম্মদ এর প্রতি তুমি দরুদ পাঠাও রহমত পাঠাও আর আল্লাহ যেন বলেন হে বান্দা আমি আমার মাহবুবের প্রতি দরুদ পাঠিয়ে আসছি, দরুদ পাঠাচ্ছি, দরুদ পাঠাব, সুতরাং বান্দা হিসেবে দরুদ পড়ার দ্বারা নবীর কোন উপকার হয়না

বরং আল্লাহ বলেন তুমি যেহেতু আমার মাহবুবের প্রতি দরুদ পাঠাতে বলেছ তাই আমি তোমাকে ১০টি রহমত দিয়ে দিলাম, ১০ ‍গুনাহ মাফ করে দিলাম, ১০টি দরজা বুলন্দ করে দিলাম।

হাজারো রকমের দরুদ আছে যার কাছে যেটা ভালো লাগে পড়েন। পকেটে একটি তসবিহ রাখবেন বালিশের নিচে একটি তাসবিহ রেখে দিবেন, অফিসে দোকানে ১টি তসবিহ রেখে দিবেন এ তসবিহ আপনাকে দরুদ পড়ার কথা মনে করিয়ে দিবে। বাসে বসে আছেন হাতে তসবিহটি নিয়ে পড়তে থাকুন (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) আত তাজকেরাতে জিকির করেছেন জালাল উদ্দীন সুয়তি ২ লক্ষ হাদিসের হাফেজ, তিনি আমাদের নবীকে স্বপ্নে অসংখ্যবার দেখেছেন তিনি নকল করেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। কেয়ামত দিবসে যখন মানুষের আমলনামা পাল্লায় মাপা হবে ঠিক ওই সময় হযরত আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম সবুজ কাপড় পরিহিত আল্লাহতালা আরশের নিচে অবস্থান করবে। এবং তিনি সেখান থেকে লক্ষ করবেন তার সন্তানগণের মধ্যে কারা জান্নাতী হচ্ছেন আর কারা জাহান্নামী হচ্ছেন

এমতো অবস্থায় তিনি দেখবেন একজন উম্মতে মোহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লামকে জাহান্নামের ফেরেশতারা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় তিনি আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ডেকে উঠবেন হে আহমাদ!

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বলবেন লাব্বাইক ইয়া আবুল বাশার। তিনি বলবেন আমি এইমাত্র দেখলাম তোমার একজন উম্মতকে জাহান্নামের ফেরেশতাগণ জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ফেরেশতাদের নিকট গমন করবেন এবং আরশের দিকে লক্ষ করে তার পবিত্র বাম হস্ত মোবারক দাড়ি মোবারক এর উপর রেখে আল্লাহ তায়ালাকে ডেকে বলবেন হে আল্লাহ আপনি তো আমার সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন আমার উম্মতের বিষয়ে আমাকে লজ্জিত করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহতালা ফেরেশতাগণকে বলবে তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুগত হও, মিজানের পাল্লা পুনরায় পরিমাপ করতে বলবেন।

দ্বিতীয়বার পরিমাপান্তেও যখন গুনাহের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে ঠিক তখনই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আপন জুব্বা মোবারক থেকে এক টুকরো সাদা কাগজ বের করে মিজানের পাল্লায় দেওয়া হবে আর তাতেই সঙ্গে সঙ্গে নেকের পাল্লা ভারী হয়ে যাবে।

মুহূর্তের মধ্যেই জাহান্নামী ব্যক্তিটি জান্নাতি হয়ে যাবে। জান্নাতের ফেরেশতাগণ যখন তাকে জান্নাতে নিয়ে যেতে লাগবে সে তাদেরকে বলবে একটু দাড়াও আমি এই মহান দরদী ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাই।

তখন ওই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দাঁড়িয়ে বলবেন আপনি কে হে দরদী? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেন আমি তোমার নবী তুমি আমার উম্মত

আর সাদা কাগজের টুকরাটি হলো সেই দুরুদ শরীফ যা তুমি আমার উপর একবার পড়েছিলে আমি তার সংরক্ষণ করেছিলাম যাতে প্রয়োজনের সময় তোমার কাজে আসে এবং মুক্তির উপায় হয়।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.