বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া। ১০০% পরিক্ষীত। কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি ও আল্লাহর সাহায্য লাভের ৪টি আমল

 

বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া। ১০০% পরিক্ষীত। কঠিন বিপদ থেকে মুক্তি ও আল্লাহর সাহায্য লাভের ৪টি আমল



এক ভাই লিখেছেন- হুজুর আমি এমন এক ভয়াবহ বিপদে আছি, যার থেকে উত্তরনের কোন পথ আমার সামনে খোলা নাই, এমন কোন আমল শিখিয়ে দিবেন যে আমলের মাধ্যমে এই ভয়াবহ বিপদ থেকে আমি রক্ষা পেতে পারি?

প্রিয় বন্ধুরা! এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের কাছে অহরহ আসে, এমন বিপদে আছেন যে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন পথ আপাত দৃষ্টিতে উনি দুচোখে দেখতে পাচ্ছেননা। এক কথায় দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে

এ রকম পরিস্থিতিতে একজন ঈমানদার আল্লাহর কাছে তার এই সমস্যা তুলে ধরবার জন্য কয়েকটা আমল আমরা বলতে পারি, যে আমলগুলির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ঐ অসম্ভবকে তার জন্য সম্ভব করবেন- ইনশাআল্লাহ

এই আমলগুলি এতই পরীক্ষিত যারাই এই আমল করেছেন, তারা হাতে হাতে ফল পেয়েছেন, যারা মনে করেছিলেন এমন বিপদ থেকে উদ্ধারের কোন রাস্তা নাই, এ আমলের বরকতে আল্লাহ তায়ালা

অলৌকিক ভাবে সে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন, এসব আমল না জানার কারনে অনেকে বিপদে পরলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, অথচ এমন ৪টি আমল আছে যা করলে যে কোন সমস্যা  

পারিবারিক হউক, আর্থিক হউক, নিরাপত্তাজনিত হউক, অসুস্থতাজনিত হউক, চাকরি সংক্রান্ত হউক, ব্যাবসা সংক্রান্ত হউক যে কোন সমস্যা যদি আপনার মনে হয় যে দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে

কেউ কিছু করতে পারছেনা আপনার জন্য, আপনি পরিপূর্ণ একিনের সাথে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে, এ ৪টি আমল নিয়মিত করবেন, আগেও আমি এসব আমল দিয়েছি, অনেকে উপকৃত হয়েছেন এবং তারা কমেন্টে তা লিখেছেন

আপনিও যদি এসব আমল দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানাবেন তাহলে অন্যরা এসব আমল করতে উৎসাহিত হবেন।

এমনও লিখেছেন ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তির জন্য আমল করার পর আল্লাহ ক্যান্সার রোগও ভালো করে দিয়েছেন। তবে যদি এসব আমল করার পরও কারো সমস্যা সমাধান না হয়, 

তাহলে মনে রাখবেন হয়ত আপনার আমলে ত্রুটি আছে অথবা আল্লাহ তায়ালা আপনার সে বিপদ দুর না হওয়ার মধ্যেই আপনার জন্য কল্যাণ নিহিত রেখেছেন, সে একিন ও বিশ্বাস নিয়ে আমলগুলি করবেন

১ম আমলটি হল: এসতেগফারের আমল, আপনি কোন এক জায়গায় ফেসে গেছেন বাঁচার কোন উপায় পাচ্ছেন না, তখন পড়তে থাকুন (আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহ) অথবা

আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, অথবা আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়ালা হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়াতুবু ইলাই, অথবা সৈয়্যদুল এসতেগফার পড়বেন

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
 আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বাতু, ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানাতু। আবূউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

এভাবে যেটা সহজ লাগে সেটা বেশী বেশী পড়তে থাকেন, নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এসতেগফারকে আকঁড়ে ধরবে, আকঁড়ে ধরার অর্থ হল অনবরত পড়তে থাকা, টয়লেট, ঘুম, নামাজ এর সময় ছাড়া বাকী সব সময়

ঠোটে আসতাগফিরুল্লাহর জিকির লাগিয়ে রাখবেন আল্লাহর নবী বলেন

«منْ لَزِم الاسْتِغْفَار، جعل اللَّه لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مخْرجاً، ومنْ كُلِّ هَمٍّ فَرجاً، وَرَزَقَهُ مِنْ حيْثُ لا يَحْتَسِبُ» 

যে লোক সবসময় গুনাহ মাফ চাইতে থাকে [আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকে] আল্লাহ তাকে প্রতিটি সংকীর্ণতা অথবা কষ্টকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেন, প্রতিটি দুশ্চিন্তা থেকে তাকে মুক্ত করেন এবং তিনি তাকে এমন সব উৎস থেকে রিযক দেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না (আবু দাউদ ১৫১৮)

২নং আমল হল- নবী করিম (দ) এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা, এটা যদি আপনি মহব্বতের সাথে করতে থাকেন আল্লাহর রাসুল (দ) বলেন যদি তুমি আল্লাহর কাছে আর কোন দোয়া করতে না পার শুধু দরুদটা পড় তাহলে সব পেয়ে যাবে

যেমন এক সাহাবী বলেন আমার দোয়ার মধ্যে দরুদ শরীফ কত % রাখব? চতুর্থাংশ? ১ তৃতিয়াংশ? অর্ধেক? তখন নবী করিম (দ) বলতেছিলে হ্যাঁ তবে এর বেশী করতে পারলে আরো ভালো এভাবে করতে করতে সে সাহাবী বলল আমি আমার দোয়ার পুরাটা সময় ধরেই আপনার উপর দরুদ পড়ব

তখন আল্লারহ রাসুল (দ) বললেন হ্যাঁ যদি এমন কর তাহলে তোমার আর কোন দোয়াই করতে হবেনা, তোমার সকল দুশ্চিন্তা সকল পেরেশানির জন্য এই দরুদের আমলই যথেষ্ট হবে।

ইস্তিগফার ও দরুদ এর আমল বেশী বেশী করেন ইনশা আল্লাহ গুলি মিস হবে আপনার দোয়া মিস হবেনা। আপনার সব আশা পুরণ হবে, সব বিপদ আপদে আল্লাহর গায়েবী সাহায্য নেমে আসবে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।

৩য় নং আমল হল  বেশী বেশী দোয়া ইউনুস পড়বেন (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন) আল্লাহ তায়ালা কুরআনে এই দোয়ার পরে বলেছেন (ওয়া কাজালিকা নুনজিল মুমিনিন) এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে মুমিনদের মুক্তি দিয়ে থাকি

অর্থ্যাৎ দোয়া ইউনুস পড়ার ফলে হযরত ইউনুস (আ) কে আল্লাহ এমন কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে ২য় আরেকটি নাই, আর এই দোয়া শুধু ইউনুস (আ) এর জন্য খাস না, বরং আল্লাহ বলেন আমি এভাবেই মুমিনদেরকেও এই দোয়া ইউনুসের মাধ্যমে বরকত দিব।

৪ নং আমল হল (ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম) এটা বেশী বেশী করে পাঠ করবেন, নবী করিম (দ) বলেন (আলিজ্জু এয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম) এয়া জালাজালালি ওয়াল ইকরামকে তোমরা আকঁড়ে ধরবে।

এর পাশাপাশি বড় বিপদের সম্মুখিন হলে তাহাজ্জুদ নামাজকে আকড়ে ধরবেন, রাত ২/৩টা বাজে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আন্তরিকভাবে তওবা এসতেগফার করে কিছুক্ষণ দরুদ পড়ে দোয়া ইউনুস পড়ে কয়েকবার এয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম পড়ে দোয়া করবেন

ইনশা আল্লাহ সকাল হতে হতে আপনার কঠিন বিপদ হতে উদ্ধারের জন্য সুখবর আসতে থাকবে, যা আপনি কল্পনাও করতে পারেন নাই, তবে যদি এমন না হয় তাতে ভীত হবেনা না হতে পারে আপনার বিপদ আরো কিছুদিন থাকবে আর তাতেই হয়ত আপনার জন্য আল্লাহ কোন কল্যাণ নিহিত রেখেছেন

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই সুন্দর সুন্দর আমল গুলি করার তৌফিক দান করুন, সব ধরনের বিপদ আপদ মসিবত থেকে হেফাজত করুন আমিন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.