বুলেট মিস হবে ধনী হওয়া মিস হবেনা। sura kawsar er wazifa ধন সম্পদ রিজিক বৃদ্ধির আমল।

 

বুলেট মিসে হবে কিন্তু রিজিকে বরকত মিস হবেনা, ধন সম্পদ বৃদ্ধি হওয়া মিস হবেনা, ধনী হওয়া মিস হবেনা



বুলেট মিসে হবে কিন্তু রিজিকে বরকত মিস হবেনা, ধন সম্পদ বৃদ্ধি হওয়া মিস হবেনা, ধনী হওয়া মিস হবেনা মাওলানা ইউনুস পালনপুরি (দা বা ) সুরা কাউসারের এমন মুজাররব ওজিফার কথা বলেছেন তিনি বলেন এই ওজিফাটি পূর্বের সালফে সালিহিনদের অভ্যাস ছিল, উনারা টাকার ব্যাগে এই সুরা পড়ে ফুক দিতেন যাদের কাছে টাকার কার্ড আছে তারাও যদি কার্ডে এই ওজিফা পড়ে ফুক দেয় ব্যাংক থেকে কখনো পয়সা শেষ হবেনা যারাই সুরা কাউসার ইন্না আতাইনা কাল কাউসার ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ানহার ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার এই ছোট সুরাটির ওজিফা করেছেন তারাই টাকা পয়সা ধন সম্পদে মালামাল হয়েছেন, দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ওজিফাটি কখন করবেন কতবার করবেন কিভাবে করবেন তা মাওলানা ইউনুস সাহেব বলেছেন তিনি উর্দূতে বয়ান করেছেন আমি বাংলা ভাষাভাসি ভাই বোনদের জন্য তা হুবহু বাংলা অনুবাদ করে  দিব ইনশা আল্লাহ

প্রথম রিজিকে বরকতের ১টি সহজ ওজিফা শুনুন যা মাসে করতে হবে,  শাবান মাসের ১ম জুমার খুতবার কিতাব যেটি আল্লামা ইবনে নামাতা (রহ) প্রনয়ন করেছেন যেটি প্রায় মসজিদে ইমাম সাহেবরা পড়ে থাকেন সে কিতাবে রিজিকে বরকতের ১টি সহজ আমল নকল করেছেন হাদিসটি হল হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত আমি নবী করিম () কে বলতে শুনেছি, তোমরা রমজানের রোযার উদ্দেশ্যে শাবানের রোযা রেখে দেহকে পবিত্র কর যে কেউ মাসের তিনদিন রোযা রাখবে তার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অপর এক হাদিসে আছে কেউ যদি ইফতারের সময় তিনবার নবী করিম () এর উপর দরুদ পাঠ করে তবে আল্লাহ তার পূর্বাপর সকল গোনাহ মাফ করে দিবেন এবং তার রিযিকে বরকত দান করবেন। সুতরাং এই মাসে রমজানের আগে আগে যে কোন দিন ৩টি রোজা রাখবেন আর এই নফল রোজার ইফতারের সময় বার শুধু দরুদ শরীফ পাঠ করবেন, ইনশা আল্লাহ রিজিকে বরকত হবে।

সুরা কাউসারের ওজিফাটি বলার আগে আরো ২টি চমৎকার বাস্তব ঘটনা বলব যেটির মাধ্যমে ধনী হওয়ার আমলটি জানতে পারবেন।

১ম ঘটনা হল এক বুযুর্গ তাঁর নিজের ঘটনা বয়ান করে বলেন কিছুদিন আগের ঘটনা আমি এক জায়গায় সফর করছিলাম পথে এক মসজিদে নামাজের জন্য প্রবেশ করছি এমন সময় এক লোক এসে আমাকে সালাম দিয়ে বলল হুযুর আসসালামু আলাইকুম আমাকে মিনিট সময় দিতে পারবেন? বুযুগ বলল ঠিক আছে বলুন, তখন সে মসজিদের বাহিরে ১টি গাড়ীর দিকে ইশারা করে বলল হুযুর যে দেখছেন গাড়ি সেটি আমার এস্তেগফারের গাড়ি, বুযুগ প্রশ্ন করল এস্তেগফারের গাড়ি মানে কি? সে লোকটি বলল  হুযুর আমি খুব গরীব ছিলাম, আর দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য অনেক কস্টে ৫লক্ষ টাকা জমা করে এক বন্ধুর সাথে শেয়ারে ১টি গাড়ী কিনলাম কিন্তু সে বন্ধু ধোকা দিয়ে আমার সে লাখ টাকা নিয়ে গেছে, সারা জীবনের কামাই হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় একদম পেরেশান হয়ে চিন্তা করলাম দুনিয়ার ধোকায় পড়ব না আল্লাহর সাথেই সম্পর্ক বৃদ্ধি করে দিব ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়ি, আর নামাজ শেষে যতটুকু সময় পাই শুধু এসতেগফার পড়ি, এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর একদিন মসজিদ থেকে বের হলাম হঠাৎ এক লোক এসে আমাকে বলে ভাই আমি আপনাকে খুঁজছিআমি ১টি গাড়ি কিনব কজন বিশ্বস্থ মানুষ পাচ্ছিনা, আপনি আমার সাথে চলুন, কথা বলে সে তার গাড়িতে করে আমাকে শহরে নিয়ে গেল গাড়ীর শো রুম থেকে ১টি গাড়ী কিনল আর তার চাবি আমাকে দিয়ে দিল গাড়ীর কাগজপত্রে নামও দিল আমার সে আমাকে বলল তুমি গাড়ী চালাতে থাক আর প্রতিদিন আমার জন্য একশত টাকা করে জমা করবেআলহামদুলিল্লাহ আজ প্রায় বছর হয়ে গেল সে গাড়ীর আসল মালিকের কোন খোঁজ নাই আমি প্রতিদিন এই গাড়ী থেকে হাজারো টাকা রোজগার করি আর মালিকের জন্য শত টাকা করে রেখে দেয়, আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন ভালই আছি।

দেখুন সে বিপদে নিরাশ হয়নি নামাজ এসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছে আল্লাহ তাকে গায়েবি সাহায্য করেছেন।

বাস্তব ঘটনা- ইমামে আহমদ বিন হাম্বল একদিন এক মসজিদে রাত কাটাতে চাইলেন, কিন্তু মসজিদে প্রবেশের অনুমতি মিলল না, ইমাম বললেন বারান্দায় হলেও সুযোগ দাও, কিন্তু মসজিদের কেয়ারটেকার বলেন নিয়ম নাই, অপরিচিত লোককে মসজিদে থাকার এজাজত নাই, মসজিদের পাশ দিয়ে এলাকার এক লোক যাচ্ছিল, তিনি বললেন জনাব চলুন আজ আপনি আমার ঘরের মেহমান হবেন, ইমাম আহমদ তাঁর সাথে চলে গেলেন তাঁকে বসতে দিলেন আর লোকটি মেহমানের জন্য আটার খামি মাখছেন রুটি বানানোর জন্য আর বড় বড় আওয়াজে পড়ছেন আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ। তখন ইমাম আহমদ লোকটিকে প্রশ্ন করলেন আসতাগফিরুল্লাহর আমল কি তোমাকে কোন উপকার দিয়েছে? সে বলল হ্যাঁ অবশ্যই দিয়েছে যখন থেকেই এসতেগফারের আমল শুরু করেছি তখন থেকেই আল্লাহ আমার সকল আশা পুরণ করে দিয়েছেন যা আমি কল্পনাও করিনি। রুটি ওয়ালা বলেন-
তবে আমার ১টি আশা পুরণ হয়নি।

ইমাম আহমদ জিজ্ঞেস করলেন সেটি কি? সে বলল আমি দোয়া করেছি জামানার সবচেয়ে বড় আলেম বুযুর্গ ইমাম আহমদ বিন হাম্বলকে যেন আমার ঘরে এনে খাওয়াতে পারি, কিন্তু উনার কোন পাত্তাই পাচ্ছি না, তখন ইমাম আহমদ হাম্বল মুচকি হেসে বললেন হে ভাই তোমার সে আশাও আল্লাহ পুরণ করেছেন  কারন আমিই হল আহমদ বিন হাম্বল- সুবহানাল্লাহ। দেখুন রুটি ওয়ালা সব সময় আসতাগফিরুল্লাহ পড়ত হাটতে বসতে চলতে ফিরতে, তাই আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল আশা পুরণ করে দিয়েছেন।

সুরা নুহের ১০ থেকে ১২ নং আয়াতে  আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا

অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল

يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,

وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا

তোমাদের ধন-সম্পদ  সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেনতোমাদের জন্যে উদ্যান  স্থাপন  করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন সুরা নুহের টি আয়াতের দ্বারা এসতেগফারের ৬টি উপকারিতা আল্লাহ তায়ালা বয়ান করে দিয়েছেন এসতেগফারের একটি আমলও যদি আমরা ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সকল সমস্যার এর দ্বারাই সমাধান হয়ে যাবেকেহ বলে ব্যবসায় লোকসান এটা বাগানের মত সুতরাং এসতেগফার দ্বারা যেমন বাগানে ফসল বেশী হয়  তেমনি ব্যবসায়ীরা এসতেগফার দ্বারা তাদের ব্যবসায় বরকত আনতে পারেন। কেহ বলে সন্তান হয় না তারা এসতেগফার এর আমল করতে পারেন। কেহ বলে খড়া সৃষ্টি হয়েছে তারাও এসতেগফার করতে পারেন কেহ বলে কজ শেষ হয় না তারাও মহান আমলটি করতে পারেন ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সমাধান করে দিবেন।

এটা আল্লাহর কালাম এতে কোন ধরনের সন্দেহ নাই। এসতেগফারের দোয়া অনেকগুলি আছে তবে সবচেয়ে সহজ হল শুধুমাত্র পড়বেন আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ

এবার আসুন সুরা কাউসারের সে বিশেষ ওজিফাটি জেনে নিই, যেটা মাওলানা ইউনুস পালনপুরি সাহেব বলেছেন যারা আয় রুজি রোজগারের ব্যপারে পেরেশান তারা প্রত্যেক ফরয নামাজের পর বার সুরা কোরাইশ পড়বেন লিইলাফি কুরাইশিন লাফি হিম, রেহলাতাশ শিতাঈ ওয়াস সইল, ফালিয়াবুদু রাব্বা হাজাল বাইত আল্লাজি আতায়ামাহুম মিন জুঈন ওয়ামানাহুম মিন খাউফ তারপর বার সুরা কাউসার ইন্না আতাইনা কালকাউসার ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ানহার ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার তারপর দেখবেন আল্লাহ তায়ালা কি পরিমান দেন!

পালনপুরী হুজুর আরো বলেন যাদের কাছে এটিএম কাড আছে তারা সে কার্ডের মধ্যে যদি সুরা কাউসার পড়ে ফুক দেয় তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা খতম হবেনা।আর যখনই টাকা পয়সা গননা করেন তখন সে টাকা পয়সার উপর একবার সুরা কাউসার পড়ে দম করে দিয়ে দিবেন, এটা খুব বেশী মুজররম ওজিফা। এটা সলফে সালিহিনের আমল ছিল যারা এসতেগফারের আমল করেন, যারা সুরা কুরাইশের ওজিফা করে, যারা সুরা কাউসারের ওজিফা করেন, যারা নিয়মিত দরুদ শরীফের ওজিফা করেন তারা কমেন্টে রেজাল্ট জানাবেন, তাহলে অন্যরাও এসব আমল করতে উৎসাহিত হবে

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.