রাতারাতি ধনী হওয়ার আমল। লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহর ফজিলত। বিপদ থেকে, রোগ মুক্তির দোয়া
রাতারাতি ধনী হওয়ার আমল। লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহর ফজিলত। বিপদ থেকে, রোগ মুক্তির দোয়া
তাছাড়া ৭০টি বড় বড় বিপদ থেকে মুক্তির জন্য, ৯৯টি বড় বড় রোগ থেকে মুক্তির জন্য, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য, ঋণ থেকে মুক্তির জন্য, কঠিন সমস্যা গুলি সমাধানের জন্য
আজকে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহর এমন মুজাররব ওজিফা বলব যে ওজিফাটি স্বয়ং আল্লাহর নবী দিয়েছেন, এবং যারাই এ ওজিফা করেছেন তারাই হাতে হাতে ফল পেয়েছেন
দুনিয়াতে যত গুলি ওজিফা আছে তার মধ্যে এটা অনেক বড় একটি ওজিফা, যেটা একবার পড়ার সাথে সাথে জান্নাতে ১টি গাছ লাগানো হয়ে যায়
এটা জান্নাতে খাজানা সমুহ থেকে একটি খাজানা, জান্নাতের দরজা সমুহ থেকে একটি দরজা, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন
যাকে দুঃখ ও দুশ্চিন্তা ঘিরে ফেলে তার উচিত লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ বেশী বেশী পড়া, সহি বুখারী ও মুসলিমের হাদিস এটা এমন একটি খাজানা
যেটা জান্নাতের খাজানা সমুহ থেকে একটি খাজানা। যে একে ভালোবাসবে, আপন করে নিবে সে জান্নাতে যাবে
যারা এই ওজিফাটি ভালোবাসেন তারা কমেন্টে একবার লিখে দিন (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)
অপর একটি বর্ণনায় আছে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়ার সাথে সাথে ১জন ফেরেশতা নাজিল হয়, আর সে ফেরেশতা এসে রোগীকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সেবা করতে থাকে
আরো বর্ণিত আছে এটি এমন একটি দোয়া যার বরকতে ৭০টি মসিবত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সুতরাং যে এটি পড়তে থাকবে তাকে আল্লাহ ৭০টি বলা মসিবত থেকে রক্ষা করবেন।
হযরত আনাস বিন মালিক (রা) হতে বর্ণিত হুজুর (দ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল
আলিয়্যুল আজিম ১০ বার পড়বে
সে গুনাহ থেকে এমন ভাবে পাক পবিত্র হয়ে যাবে, যেন আজই মায়ের পেট থেকে ভুমিষ্ট হয়েছে। এবং সে দুনিয়ার ৭০টি বিপদ থেকে মাহফুজ হয়ে
যায়।
ইমাম তিরমিজি হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ননা করেন, হুজুর (দ) এরশাদ করেন, (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা
ইল্লা বিল্লাহিল) বেশী বেশী পড় কেননা এটা জান্নাতের খাজানা সমুহ থেকে একটি খাজানা
হযরত মাকহুল (রহ) এরশাদ করেন লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহি লা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি। (মেরকাত ৫/১২১)
এই দোয়াটি যে মাত্র ১ বার পাঠ করবে তার ৭০টি বড় বড় মসিবত দুর করে দিবেন তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট বিপদ হল দারিদ্রতা।
যারা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ১ বার পড়বে (বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) তখন আল্লাহ বলেন হুদিতা ওয়া কুফিতা, তুমি সঠিক রাস্তা পেলে আর তোমার জন্য আমিই যথেষ্ট। শয়তান তখন নিজের কপালে মাটি মারতে থাকে আর বলতে থাকে যার জন্য স্বয়ং আল্লাহ জিম্মাদার তাকে আমি কিভাবে পথহারা করব? তাকে কিভাবে গোমরাহ করব বলে বলে শয়তান আফসুস করতে থাকে।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ হল তৌহিদের কালিমা আর লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ হল আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার কালিমা, কল্পনাতিত সাহায্য লাভের কলমা
এক সাহাবীর ছেলেকে শত্রুরা ধরে নিয়ে গেছে, সাহাবী এসে আল্লাহর নবীকে বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমার ছেলেকে শত্রুরা বন্ধি করে নিয়ে গেছে আল্লাহর নবী তাকে ৩টি আমল দিলেন (১) আল্লাহকে ভয় করবে (২) আল্লাহর উপর ভরসা করবে (৩) বেশী বেশী লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ পড়বে
সাহাবীর মাঝে প্রথম ২টি আমলতো আছে বাকী রইল (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ), নবীজির পরামর্শে সে সাহাবী ও তাঁর স্ত্রী সারা রাত তসবিহটি পড়লেন সকাল বেলা দেখেন তাঁর সন্তান ফিরে এসেছে আর তার পিছে পিছে অনেক গুলি উট ও ছাগলও চলে আসল, তফসিরে কবিরে আছে ৪০০০ উট ৪০ হাজার ছাগল ছিল সাহাবী নবীজির কাছে গিয়ে এসব উট ও ছাগল এর ব্যপারে কি করবেন জানতে চাইলে নবীজি বললেন এগুলি হল আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী রিজিক
وَيَرْزُقْهُ
مِنْ حَيْثُ
لَا يَحْتَسِبُ
وَمَن
يَتَوَكَّلْ
عَلَى
اللَّهِ
فَهُوَ
حَسْبُهُ
إِنَّ
اللَّهَ
بَالِغُ
أَمْرِهِ
قَدْ جَعَلَ
اللَّهُ
لِكُلِّ
شَيْءٍ
قَدْرًا
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে
তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ
স্থির করে রেখেছেন।
সুতরাং তাকওয়া অবলম্বন করলে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে আল্লাহর উপর ভরসা করলে আর সাথে সাথে যদি বেশী বেশী লা হাওলার জিকির করেন তাহলে আপনার সকল পেরেশান, সকল অভাব, সকল দুঃখ বিপদ, সকল দারিদ্রতা, কষ্ট, রোগ, শোক আল্লাহ এমন ভাবে দুর করবেন যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
অপর রেওয়ায়েতে আছে (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ ) হল ৯৯টি রোগের ঔষধ, আর তার মধ্যে সবচেয়ে নিন্মতম অসুখটি হল দুশ্চিন্তা।
মোল্লা আলি কারী (রহ.) তার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, এই বাক্যটি (লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহি) মিরাজের
রাতে মহানবী (সা.)-কে হজরত ইবরাহিম (আ.) উপঢৌকন ও ওসিয়ত হিসেবে দিয়েছেন।
হাদিস শরিফে এসেছে, মিরাজের রাতে
মহানবী (সা.) ও হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। তখন শেষ নবী হজরত মোহাম্মদ
(সা.)-কে হজরত ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন,
হে মোহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে
বলে দিন, তারা যেন লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা
ইল্লা বিল্লাহি দ্বারা জান্নাতের বাগান বৃদ্ধি করতে থাকে। (মেরকাত: ৫/১১১)
সুতরাং ৭০টি বড় বড় সমস্যায়, ৯৯টি বড় বড় রোগে, দুশ্চিন্তায়, দারিদ্রতায়, আল্লাহ গায়েবী সাহায্য লাভের জন্য, কল্পনাতিত রিজিক লাভের জন্য,
হাটতে বসতে চলতে ফিরতে পড়বেন (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) সমস্যাগুলি এমনভাবে সমাধান হবে আপনি নিজ চোখে দেখে
অবাক হয়ে যাবেন
আল্লাহর প্রিয় হাবিবের প্রেসক্রিপশন হল বেশী বেশী লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ পড়া। আল্লাহ আমাদেরকে এই ওজিফাটি
করার তৌফিক দান করুন
কোন মন্তব্য নেই