যেই কাজগুলো করলে জ্বীন রেগে যায় ?

 

যেই কাজগুলো করলে জ্বীন রেগে যায় ?


১. হাড়ের অবমাননা:

হাড় কাটার পর তাতে পানি ঢেলে দেওয়া জিনদের অত্যন্ত রাগান্বিত করে।

অল্পবয়সীরা খাওয়ার পর প্রায়ই এটা করে থাকে।

এর ফলে ক্ষতি হতে পারে। জিন এই হাড়ে খাদ্য গ্রহণ করে। পানি ঢেলে দিলে তারা রুষ্ট হয়।

২. শিশুদের নুপুর:

ছোট মেয়েদের নুপুরে যদি ঝুনঝুনির মতো আওয়াজ হয়, তবে সেই বল ফেলে দিন।

ঘরে ঝুনঝুনি জাতীয় আওয়াজ বন্ধ করুন।

এমনটা করলে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে এবং জিন ক্ষতি করতে পারে না।

৩. ঘরের পুতুল:

ঘর থেকে বড় পুতুল সরিয়ে ফেলুন।

ইউটিউবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পুতুল বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।

নবী (সাঃ) বলেছেন, যে ঘরে মূর্তি বা পুতুল থাকে, সেখানে ফেরেশতা প্রবেশ করে না, বরং জিনেরা প্রবেশ করে।

৪. কোরআন তেলাওয়াতবিহীন ঘর:

 

যে ঘরে দীর্ঘদিন কোরআন তেলাওয়াত হয় না, সেটি খোলা ময়দানের মতো এবং সেখানে জিন বসবাস করে।

কোরআন পড়তে না পারলে অন্তত শুনুন।

৫. অপরিষ্কার টয়লেট ও পেশাব আটকে রাখা:

ছোট বাচ্চারা কোমরে পেশাব করলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন।

হাই কমোডে পেশাবের পর ফ্লাশ করুন এবং টয়লেট পরিষ্কার রাখুন।

পেশাব আটকে রাখলে নিকৃষ্ট জিন আকৃষ্ট হয় এবং ক্ষতি করার চেষ্টা করে।

৬. প্রাণীর চামড়া দিয়ে ঘর সাজানো:

বাঘের চামড়াসহ বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করে ঘর সাজানো উচিত নয়। এতে জিন আকৃষ্ট হয়।

৭. পাকঘর ও টয়লেটে প্রবেশের দোয়া:

পাকঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়ুন।

টয়লেটে প্রবেশের সময় "আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়াল খাবাইস" দোয়া পড়ুন।

৮. ঘরে প্রবেশের ও বের হওয়ার নিয়ম:

ঘরে কেউ না থাকলেও সালাম দিন। এতে জিন ক্ষতি করতে পারবে না।

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় "বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম" দোয়া পড়ুন।

ঘরে প্রবেশের সময় দোয়া পড়ুন।

৯. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা:

বড়লোক হলে গরিব আত্মীয়দের অবহেলা করা উচিত নয়।

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করলে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।

১০. কুকুর ও বিড়াল পালন:

যে ঘরে কুকুর থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না এবং জিন আকৃষ্ট হয়। শয়তান কুকুরের মুখ দিয়ে প্রবেশ করে। দ্রুতগামী গাড়ির পিছনে কুকুরের দৌড়ানোর কারণ এটাই। তাই ঘরে কুকুর রাখা উচিত নয়।

বিড়াল পালন বাধ্যতামূলক না হলেও, বিড়ালের শরীরে এমন কোষ আছে যা দেখলে জিন ভয় পায়। তবে বিড়ালের জন্য বেশি খরচ করা ইসলাম সমর্থন করে না। মহব্বত থেকে অল্প খরচে বিড়াল পালন করা যেতে পারে।

১১. দুষ্টচক্র থেকে সুরক্ষা:

আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার দুষ্টচক্রের চক্রান্ত থেকে হেফাজত করুন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

কোন মন্তব্য নেই

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.