প্রতিদিনের সবচেয়ে দামি ৬টি অজিফা আমল। ১০০% বিপদ, রোগ, ঋণ, অভাব দূর হয়ে যাবে

 

প্রতিদিনের সবচেয়ে দামি ৬টি অজিফা আমল ১দিনও ছাড়বেন না

কিয়ামতের দিন কি হবে তা নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? আপনার ফরয এবাদতে অনেক ঘাটতি আছে? সে জন্য কি আপনি দুশ্চিন্তায় আছেন? ভাবছেন সারা জীবনের এতগুলি ফরয এবাদতের ঘাটতি কিভাবে পোষাবেন?
  সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ গুনাহ হয়ে গেছে? ভাবছেন কিবাবে মাফ করাবেন? কঠিন বিপদ, টাকা পয়সার কঠিন অভাবে জর্জরিত হয়ে আছেন? কোন সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে প্রতিদিনের সহজ ৬টি ওজিফা আপনার জন্য, আশা করি এই ৬টি সহজ আমল ও ওজিফার বরকতে আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল সমস্যা সমাধান করে দিবেন

আল্লাহ বলেন, "সেদিন আল্লাহ তা'আলা তাঁর পায়ের গোছা উন্মুক্ত করবেন।"  এবং আদেশ করবেন, "সেজদা দাও।" আমরা সবাই আল্লাহু আকবার বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়বো। কিন্তু যারা দুনিয়ায় সেজদা দেয় নাই, লোক দেখানো সেজদা দিয়েছে, আল্লাহ তা'আলা তাদের পিঠটা লোহার মত, রডের মত শক্ত করে দিবেন। সেজদা দেওয়া তো দূর,  ওরা পিঠটাই বাঁকা করতে পারবে না। আমরা দুনিয়াতে যেমনি আল্লাহ তা'আলাকে সেজদা দিয়েছি, সেদিন যেন আল্লাহ তা'আলাকে এভাবে সেজদা দিতে পারি। আল্লাহ তুমি তৌফিক দাও। আল্লাহুম্মা আমিন।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আল্লাহ বলেন, "আমার বান্দা যদি আমার কাছে আসতে চায়, তাহলে সে যেন বেশি বেশি নফল এবাদত করে। নফল এবাদতের মধ্য দিয়ে সে আমার কাছে আসতে থাকে। যত বেশি নফল এবাদত করবে, আমার কাছে আসবে। এক পর্যায়ে এমন হবে যে, আমি আল্লাহ তাকে ভালোবাসতে শুরু করে দিব। তার মর্তবা এত উপরে উঠে যাবে, তখন সে কান দিয়ে যখন শুনবে, তার নিজ কানে শোনে না, সে আমি আল্লাহর কানে শোনে। হাত দিয়ে কিছু ধরলে, সে আল্লাহর হাতে ধরে। চোখ দিয়ে দৃষ্টি করলে, সে নিজ চোখে দেখে না, সে আল্লাহর চোখে দেখে।"  সুবহানাল্লাহ।

তাহলে কোরআন বলল সেজদা, আর হাদিস বলল নফল এবাদত। যে যত বেশি নফল করে, সে আল্লাহর কাছে যায়। যে যত বেশি নফল এবাদত করে, সে আল্লাহর প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠে, আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হয়ে ওঠে।

হাদিসে এসেছে, বিশ্বনবী বলেন, "আমাদের ফরজ নামাজে যদি কারো ঘাটতি হয়," তখন আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে বলবেন, "কি অবস্থা আমার বান্দার?" বলবে, "আল্লাহ, অনেক ফরজ নামাজের তো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।" তখন আল্লাহ বলবেন, "ফরজে যদি ঘাটতি থাকে, দেখো তো আমার বান্দার কিছু নফল নামাজ আছে কিনা?" ফেরেশতারা এবার খুঁজে দেখবে, "হ্যাঁ, এই বান্দার অনেক নফল নামাজ আছে।" তখন আল্লাহ বলবেন, "ঠিক আছে, নফল গুলোরে ফরজের ভেতরে ঢুকাইয়া মেকআপ করে দাও।" কেয়ামতের দিন ফরজ নামাজে ঘাটতি থাকলে, নফল নামাজগুলো সেখানে ক্ষতিপূরণ করে আল্লাহ তা'আলা বাঁচাবেন। এজন্য আমরা যেন নফল করি। ফরজ তো করতেই হবে, এটা তো কম্পালসারি, আল্লাহর মাইর থেকে বাঁচার জন্য করতেই হবে। কিন্তু আল্লাহর প্রিয় হতে হলে নফল এবাদত করতে হবে। ওইটাকে বলে অপশনাল, ওইটা হচ্ছে ওভারটাইম। ওভারটাইমের বেতন কিন্তু মূল বেতনেরও বেশি, বেসিকের চেয়েও বেশি। বেসিককে যদি পার আওয়ার ২০ টাকা হয়, ওভারটাইমে পার আওয়ার কত ৪০ টাকা। এজন্য নফল গুলোকে যেন আমরা ছোট মনে না করি,

প্রিয় ভাইয়েরা। তাহলে আমরা ফর্মুলা পেয়ে গেলাম, আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হতে চাইলে দুটি কাজ। কোরআন বলে সেজদায় লুটিয়ে পড়ো, আর হাদিস বলে বেশি বেশি নফল এবাদত করো। আমরা কি করতে পারি? কি কি নফল এবাদত করে আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হতে পারি? আমি দুই একটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

এক নাম্বার যে নফল এবাদতটি করে আমরা আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হতে পারি, সেটা হচ্ছে তেলাওয়াতুল কোরআন, আল্লাহর কোরআনের তেলাওয়াত। এটা আল্লাহর বাণী। কোরআন তেলাওয়াত মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা। যখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করেন, মুলথঃ আপনি আল্লাহর সাথে মোনাজাত করেন, মানে একান্ত আলাপন করেন, আলাপচারিতা করেন।  নফল এবাদতের যত লিস্ট আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে আল্লাহর কোরআন তেলাওয়াত করা। ধীরস্থিরভাবে, তাড়াহুড়ো করা যাবে না। প্রতিটা আয়াত শেষে থামতে হবে। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আর রাহমানির রাহিম, মালিকি ইয়াওমিদ্দিন, ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাইন। এভাবে টেনে টেনে যেখানে থামতে হয় সেখানে থেমে থেমে পড়বেন। এবং বুখারীর হাসিদ নবীজি ফরমান যে কোরআনকে গুনগুনিয়ে শুরু করে পড়ে না, সে আমার উম্মত নয়। কোরআনকে সুর করে, ধীরস্থিরভাবে, টেনে টেনে, থেমে থেমে পড়ার দরকার আছে। তারতিলের সাথে কোরআন পড়তে হবে। প্রতিদিন ফজরের পরে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে। ফজরের পরের মুমিনের ওজিফা বা রুটিন হবে কোরআন তেলাওয়াত করা।

নফল এবাদতের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা'আলার প্রিয় ভাজন হওয়া যায়, এর দুই নাম্বার তালিকা হচ্ছে আত তাহাজ্জুদ বা কিয়ামুল লাইল, রাতের সালাত। দুই দুই রাকাত করে মাঝরাতে যে সালাতটা বিশ্বনবী পড়তেন, এটাকে বলে কেয়ামুল লাইল। এক সাহাবী বললেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ, ফরজ নামাজের পরে কোন নামাজ সেরা?" বিশ্বনবী বললেন, "মাঝরাতে যে নামাজটা পড়ো, তাহাজ্জুদ,  ফরজ সালাতের পরে সবচাইতে শ্রেষ্ঠ সালাত হচ্ছে তাহাজ্জুদের সালাত।" আল্লাহ তা'আলা বলেন, "রাতের কিছু অংশে আপনি তাহাজ্জুদের এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত একটা ফরজ।" এটা বিশ্বনবীর ফরজ ছিল, অতিরিক্ত ফরজ এবং আশা করা যায় এর কারণে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে মাকামে মাহমুদে উত্তীর্ণ করবেন। মাহমুদ হচ্ছে এমন একটা স্পেশাল জায়গা, একটা মাকাম, যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিশ্বনবী আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন। মাকামে মাহমুদে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য সুপারিশ করবেন। তাই আমরাও যারা তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করব, আমাদেরকেও এরকম মাকামে মাহমুদ মানে সুউচ্চ মর্যাদার আসনে আল্লাহ তা'আলা নিয়ে যাবেন।

এই নামাজটাকে আল্লাহ এত পছন্দ করেন কেন? এর কারণ এটা এমন সময় পড়া হয় যে সময় দুনিয়ার সবাই ঘুমায়। নিঝুম নিস্তব্ধ রাত, আপনি উঠে অযু করে নামাজ পড়তেছেন। তখন আপনি ঘুমান না, আপনি তখন আল্লাহর রঙে রঙিন হতে চান। কারণ আল্লাহও ঘুমায় না। আল্লাহ বলে, "আমি আল্লাহর ঘুম নাই, ঘুমের আগে যে তন্দ্রা আসে ওইটাও নাই।" তো আপনি ওই টাইমে আল্লাহর রঙে রঙিন হতে চান। আল্লাহ ঘুমায় না তো আপনিও ঘুমান না। ঘুমের আরেকটা গভীর নাম আছে, ওইটার নাম হচ্ছে হুজুদ। শেষ রাতে যে একটা গভীর ঘুম আসে এটারে বলে হুজুদ। দেখবেন যে শেষ রাতে একটা এমন মজার ঘুম আসে, কম্বলটা টেনে টেনে এসিটা ছেড়ে দিয়ে আরেকটু ঘুমাইতে মনে চায়, আরামের ঘুম। গভীর ডিপ স্লিপিং ওটারে আরবিতে বলে হুজুদ। এই হুজুদের ঘুমকে স্যাক্রিফাইস করে যে নামাজটা পড়া হয়, ওইটাকেই বলা হয় সালাতু তাহাজ্জুদ। পড়েন, সুবহানাল্লাহ। হুজুদকে স্যাক্রিফাইস করে আপনি নামাজ পড়েছেন। এজন্য এই নামাজটার নাম সালাতুল হুজুদ, তাহাজ্জুদ। আপনি যদি প্রশংসার স্থানে উন্নীত হতে চান, তাহলে এই রাতের সালাত পড়তে হবে। বিশ্বনবী দীর্ঘ সময় এই কেয়ামুল লাইলটা করতেন। এক একটা সেজদায় ৫০ টা কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা যায়। এত লম্বা সময় তিনি সেজদায় থাকতেন। সুবহানাল্লাহ। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে থাকতে হাত ধরে যেত। এরপরে হাত ছেড়ে দিতেন, তারপর কোরআন তেলাওয়াত করতেছেন। আবার একটু ভালো লাগলে আবার হাত বাঁধতেন। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে থাকতে থাকতে পা দুইটা ফুলে মোটা হয়ে যেত। আম্মাজান আয়েশা বলতেন, "আপনার এমনি গুনাহ নাই, কিন্তু আল্লাহ ঘোষণা দিছে আপনার আগের পরের সব গুনাহ মাফ। আপনার কোন গুনাহই নাই, আপনি এত কষ্ট কেন করেন?" বিশ্বনবী বলেন, "আমি কি শুকুর গুজার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে চাইবো না? আমি আল্লাহর শুকর গুজার বান্দা হতে চাইবো না? আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন ঠিকই, কিন্তু আমার তো কিছু দায়িত্ব আছে। আমি কি নিজেকে সর্বোচ্চভাবে আল্লাহর কাছে পেশ করবো না?" সারারাত দাঁড়িয়ে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম কেয়ামুল লাইল করতেন। প্রিয় ভাইয়েরা, যদি নিজের সম্মানকে আল্লাহর কাছে উচ্চে তুলে ধরতে চান, যদি বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশ চান, যদি আল্লাহ তা'আলার প্রিয় ভাজন হতে চান, তাহলে তাহাজ্জুদ ইজ কম্পালসারি। কি পারা যাবে তো? ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তা'আলার প্রিয় হওয়ার তিন নাম্বার মাধ্যম হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহ তা'আলার কাছে চাওয়া, মানে দোয়া করা। বিশ্বনবী বলেন, "আদ-দোয়াউ হুয়াল ইবাদাহ।" দোয়া হচ্ছে এবাদতের নির্যাস। এবং আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ খুশি হয়, না চাইলে আল্লাহ বেজার হয়।  বারবার চাইলে খুশি হন, আপনি একটা বিষয় নিয়ে একজনের কাছে গেলেন, "ভাই একটু বিপদে পড়ছি, একটু হেল্প করেন।" করলো। এরপরের সপ্তাহে আবার গেলেন, "ভাই আমার তো একটু সমস্যা, টাকা পয়সার একটু হেল্প করেন।" মুখ লজ্জায় ধরেন আবারো করলো। এরপরের সপ্তাহে আবার গেলেন, "ভাই বিপদে পড়ছি, একটু হেল্প করেন।" এবার কেমন লাগবে বলেন তো? আচ্ছা গেল, এরপরের সপ্তাহে আবার, এবার কি করবে? দৌড়ানি দিবে লাঠি নিয়ে, ঠিক কিনা বলেন? তার মানে দুনিয়ার হাইসিয়াত হচ্ছে বারবার কারো কাছে কোন ইস্যু নিয়ে যাওয়া যায় না। বারবার কোন ব্যাপার নিয়ে কারো কাছে যাওয়া যায় না। চাইলে সে রাগ করে, অখুশি হয়। কিন্তু আল্লাহর কাছে এটা বিপরীত। বলেন, যে আল্লাহর কাছে বারবার বারবার চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হয়ে যায়। দোয়াতে আল্লাহর নামগুলো ধরে ধরে ডাকুন। আল্লাহ, রহমান, রহিম, গাফ্ফার, সাত্তার, ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুম, এয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম এভাবে আল্লাহ নাম ধরে ধরে চান। ওই দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন। বিশ্বনবীর উপর দরুদ পড়েন। যে বিশ্বনবীর উপর দরুদ পড়ে না, ওই দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হয় না। এটা আকাশে পেন্ডিং থাকে।

বেশি বেশি জিকির করতে হবে আল্লাহর। সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এগুলো পড়বেন। আস্তাগফিরুল্লাহ বেশি বেশি পড়বেন। নামাজ শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার। এরপর  ১০০ তম মিলাবেন এভাবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদাহু আলা কুল্লি শাইন কাদির।  বিশ্বনবী বলেন, নামাজের পরে যদি ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এরপরে ১০০ তম বার লা ইলাহা কেউ পড়ে, তার যদি সাগরের ফেনা পরিমাণ গুনাহ থাকে, আল্লাহ তা'আলা তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়। প্রত্যেক ফরজ সালাতের পরে আয়াতুল কুরসি পড়বেন। এটা সবচাইতে দামি আয়াত। বিশ্বনবী বলেন, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে আমার যে বান্দা আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে ঢোকার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকে না, একটা জিনিস ছাড়া, সেটা হচ্ছে মরণ। লোকটা মরে না তাই জান্নাতে যায় না, মরলেই জান্নাতি।

পাঁচ নাম্বারে চ্যারিটি: আস সাদাকাতু তারুদ্দুল বালা। সাদাকা আপনার বিপদমুক্ত করে। আপনার ছেলেমেয়ের নিরাপত্তার জন্য, আপনার জানের নিরাপত্তার জন্য, আপনার ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য মুক্ত হস্তে দান করুন। সুযোগ হলে গোপনে দান করুন। সাত শ্রেণীর ব্যক্তিকে আল্লাহ তা'আলা আরশের নিচে ছায়া দিবেন। এর মধ্যে এক শ্রেণীর ব্যক্তি যে গোপনে দান করে, এত গোপনে দান করে যে তার ডান হাত কি দান করেছে বা হাত সেটা টের পায় না। গোপন দান আল্লাহর রাগ কমায়, গোপন দান আপনাকে বিপদমুক্ত করে, গোপন দান কেয়ামতের দিন আল্লাহর সুশীতল আরশের নিচে আপনার সিটকে কনফার্ম করে।

মদিনার সবচেয়ে গরীব সাহাবী বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু গায়ের জামাটা নিয়ে শুধু হিজরত করেছেন। উনাকেও বিশ্বনবী বলেন, "বেলাল দান করো, আল্লাহর ধনভান্ডারে কমতি নাই, ঘাটতি নাই, ভয় পেও না আল্লাহ তোমারে বাড়ায় দিবে।" কিছুই নাই বেলালের, মুমিনরা সচ্ছল অবস্থায় অসচ্ছল অবস্থায় সবসময় দান করে। সচ্ছল অবস্থায় বেশি দেয়, অসচ্ছল অবস্থায় কম দেয়, কিন্তু দেয়। অন্যকে খাবার খাওয়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এর মধ্য দিয়ে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা হওয়া যায়। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা বলবেন, "হে বনি আদম, আমি অসুস্থ ছিলাম আমার তো সেবা করলা না। আমি ক্ষুধার্থ ছিলাম, আমি আল্লাহরে তো তুমি খাওয়াইলা না।" মানুষ বলবে, "ইয়া রাব্বুল আলামীন, আপনি তো আরশের মালিক রাজাধিরাজ, আপনারে কিভাবে সেবা করি? আপনারে কিভাবে খাওয়াবো?" আল্লাহ বলেন, "ওই যে গরীব ভোখা নাঙ্গা অভুক্ত আমার বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, তুমি খাবার দাও নাই। ওইদিন তারে খাবার যদি দিতা তাহলে আমি আল্লাহকে খাওয়ানো হতো। তাকে জামা দিলে আমি আল্লাহকে জামা দেওয়া হতো। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলে আমি আল্লাহর সেবা করা হতো।" সুবহানাল্লাহ। মানুষকে খাওয়ানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এগুলো যেন আমরা করি।

আর যে এবাদত গুলোর কথা বললাম, যেগুলোতে আল্লাহ তা'আলার প্রিয় ভাজন হওয়া যায়, এগুলো আজকে আলোচনা শুনে আজকে সারারাত একেবারে ফাটায় ফেলছে এবাদত করে কালকে থেকে আর খবর নাই, এরকম করে ফায়দা নাই, আল্লাহর কাছে সবচাইতে প্রিয় আমল হচ্ছে ওইটা যেটা বান্দা ডেইলি বেসিসে করে। রেগুলার করে যদিও পরিমাণে কম করে, যদিও পরিমাণে কম কিন্তু নিয়মিত করে এটা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়।


 

কোন মন্তব্য নেই

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.