নবীজি ফরমান এমন নেয়ামত পাবে খুশিতে পাগলপারা হবে

 

নবীজি ফরমান এমন নেয়ামত পাবে খুশিতে পাগলপারা হবে


আজ আমাদের প্রিয় নবীজির একটি ফরমানের হিসাব করব ক্যালকুলেটারের মাধ্যমে মনে হয় ক্যালকুলেটরে ধরবে না কম্পিউটার লাগবে। আচ্ছা কম্পিউটারেই হিসাব করব

আজ আসুন এই হিসাবটি একবার কষে দেখি কি বিষ্ময়কর তথ্য বেরিয়ে আসে।

চিতা বাঘ  ৯০ কিলিমিটার স্পিডে দৌঁড়ায়, সিংহ ৬৫ কিলোমিটার স্পীডে দৌড়ায়, আর ঘোড়া ৫০ মাইল প্রতি ঘন্টায় দৌঁড়াতে পারে।

যদি প্রতি ঘন্টায় আরবী ঘোড়া ৫০ মাইল দৌঁড়ায় তাহলে ২৪ ঘন্টায় ১টি ঘোড়া দৌড়াতে পারে ৫০x২৪= ১২০০ মাইল,  আর মাসে দৌড়াতে পারে ১২০০ x ৩০= ৩৬০০০ (ছত্রিশ হাজার মাইল) আর আমাদের এই জমিনের মোট সীমানা হল ২৪ হাজার মাইল, আর এই জমিন প্রতি ঘন্টায় ১ হাজার মাইল স্পীডে ঘুরছে, সে জন্য ২৪ ঘন্টায় আমাদের দিন রাতের সাইকেল পূর্ণ হয়ে যায়।

যদি ২৪ হাজার মাইল এই জমিনের ঘের হয়ে থাকে, এখানে দেখা যাচ্ছে ঘোড়া মাসে দৌড়ায় ৩৬ হাজার মাইল, এতে বুঝা যায় সে ঘোড়া এক মাসে দেড়টা  পৃথিবী বরাবর এরিয়া কভার করতে পারে।  যদি দেড়টা পৃথিবী এক মাসে কভার করতে পারে তাহলে ১২ মাসে বা ১ বছরে ঘোড়া ১৮টি পৃথিবী কভার করতে পারে । তাহলে ৭০ বছরে হবে ১৮ x ৭০= ১২৬০ টি পৃথিবীর সমান। এখন জান্নাতে ১২৬০টি পৃথিবীর সমান এরিয়া ১টি ঘোড়া অতিক্রম করবে ৭০ বছরে।

আরো মজার কথা হল যদি এই সুবহানাল্লাহ ১ বার আপনি মক্কায় হারাম শরীফে বলেন তাহলে ১ লাখ ছাওয়াব। এবার ১২৬০ x ১০০০০০= ১২৬০০০০০০ (বার কোটি ৬০ লাখ) পৃথিবী। আল্লাহু আকবার!! শুধু মাত্র ১ বার সুবহানাল্লাহ বলার ফলে আল্লাহ আখেরাতে এত বড় জান্নাত দিবেন যা ১২৬ মিলিয়ন পৃথিবীর বরাবর। হিসাব করুন আমরা এই মূল্যবান সময়ের কত নাকদর করছি, অবহেলা করছি।

নবী করিম (দঃ) ফরমান

যে বান্দা একবার সুবহানাল্লাহ বলে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে ১টি গাছ লাগিয়ে দেন, এত বিশাল গাছ যে আরব্য ঘোড়া যদি ৭০ বছর পর্যন্ত দৌঁড়ে তবুও সে গাছের ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।

আমরা যত বেশী আল্লাহর জিকির করব তত বেশী আমাদের জন্য জান্নাত সাজতে থাকবে।

এক হাদীসে আছে এক বান্দার জন্য জান্নাতে মহল তৈরী হচ্ছে, মাঝপথে কাজ বন্ধ রাখা হলে ফেরেশতাদের প্রশ্ন করা হল তোমরা এই মহল তৈরী বন্ধ রেখেছ কেন? তারা জবাব দিল যে বান্দার জন্য আমরা এই মহল তৈরী করছি সে বান্দা যতক্ষন জিকির করে এবাদত করে মেটেরিয়াল পাঠাবে ততক্ষন মহল তৈরী হবে, যখন বান্দা জিকির করা বন্ধ করে দেয় এবাদত বন্ধ রাখে তখন জান্নাতে তাঁর মহল তৈরীও বন্ধ হয়ে যায়। কারন সে বান্দার এবাদতই হল জান্নাতে তার জন্য তৈরী মহলের র মেটেরিয়াল।

এখন আমাদের এবাদতের দ্বারা যদি জান্নাতের মহল তৈরীর জন্য মেটেরিয়াল পৌঁছে তাহলে আমরা কতটুকু মেটেরিয়াল পাঠিয়ে থাকি? সাধারণত দুনিয়াতে ঘর বানালে আমরা সে ঘরের সব র মেটেরিয়াল আগে যোগার করি, কাজ যাতে বন্ধ না হয়, অনেকে সারা জীবন কামাই করে ২ কামরার ঘর বানাতে হিমশিম খেয়ে যায়, ঘর বানাতে বানাতে হায়াত শেষ হয়ে যায় ঘরে থাকতে পারেনা কবরে চলে যায়, দুনিয়ার এই ঘর বানাতে গিয়ে আমরা আখেরাতের আসল ঠিকানার ঘর বানাতে পারি না। অথচ কয়েকবার সুবহানাল্লাহ পড়লে আল্লাহ মিলিয়ন মিলিয়ন জান্নাতের টুকরা আমাদেরকে দিয়ে দিবেন। সুবহানাল্লাহ। তাই আসুন আমরা আখেরাতের জন্য অনন্তকালের জন্য হায়াত থাকতে বেশী বেশী এবাদত ও জিকির এর দ্বারা র মেটেরিয়াল পাঠাই।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.