মিযানের পাল্লায় ভারী আমল

 

মিযানের পাল্লায় ভারী ৩টি আমল


আল্লাহ তায়ালা বলেন,
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُঅতএব যার পাল্লা ভারী হবে, [ সুরা ক্বারিয়া ১০১:৬ ] فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍসে সুখীজীবন যাপন করবে। [ সুরা ক্বারিয়া ১০১:৭ ] وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُআর যার পাল্লা হালকা হবে, [ সুরা ক্বারিয়া ১০১:৮ ]فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌতার ঠিকানা হবে হাবিয়া। [ সুরা ক্বারিয়া ১০১:৯ ]

তাই মিজানের পাল্লা যেন ভারী হয়, সে আশা রাখা ও আমল করা। হাদিসে মিজানের পাল্লা ভারী হওয়ার কিছু আমল বর্ণিত হয়েছে।েআজ তা থেকে হাদিস শরীফ থেকে অত্যন্ত সহজ তিনটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
কালেমার সাক্ষ্য : হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বিচারের দিন আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সব মানুষের সামনে ডাকা হবে, তার সামনে নিরানব্বইটি আমলনামা রাখা হবে এবং একেকটি পুস্তকের পরিধি হবে চোখের দৃষ্টিসীমার সমান। এর পর তাকে বলা হবে, এই পুস্তকে যা কিছু লিপিবদ্ধ হয়েছে তা কি তুমি অস্বীকার কর? উত্তরে ওই ব্যক্তি বলবে, হে রব আমি তা অস্বীকার করি না। তারপর বলা হবে, এর পরিবর্তে তোমার কোনো নেক কাজ আছে কি? তখন সে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় বলবে, না তাও নেই। অতঃপর বলা হবে, আমার নিকট তোমার কিছু পুণ্যের কাজ আছে এবং তোমার ওপর কোনো প্রকার অত্যাচার করা হবে না, অতঃপর তার জন্য একটা চিরকুট বের করা হবে; যাতে লেখা রয়েছে, ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ’। তখন ওই ব্যক্তি বিস্ময়ের সঙ্গে বলবে, ‘হে আমার রব, এই সামান্য চিরকুট কি নিরানব্বইটি পুস্তকের সমতুল্য হবে?’ তখন বলা হবে, ‘তোমার ওপর কোনো প্রকার অত্যাচার করা হবে না। এরপর ওই নিরানব্বইটি পুস্তক এক পাল্লায় রাখা হবে আর ওই চিরকুট এক পাল্লায় রাখা হবে। তখন ওই পুস্তকগুলোর ওজন চিরকুটের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য হবে এবং (কালেমা লিখিত) চিরকুটের পাল্লাই ভারী হবে।’ (তিরমিজি : ২৬৪১)। এ জন্য এই কালেমার প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখা এবং বিশ্বাসকে গভীর থেকে আরও গভীরতর করার চেষ্টায় সদা মশগুল থাকা।

উত্তম চরিত্র : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো কোনো কাজ অধিকাংশ লোককে জান্নাতে প্রবেশ করাবে? তিনি উত্তরে বললেন, কেয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে তা হলো- তাকওয়া ও উত্তম চরিত্র।’ (তিরমিজি : ২০০৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘কেয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে তা হলো, উত্তম চরিত্র।’ (আবু দাউদ : ৪৮০১)। এ জন্য উত্তম আদর্শে ও চরিত্রে নিজেকে রাঙানোর কোনো বিকল্প নেই। এটা এমন এক গুণ যার ফল বান্দা দুনিয়াতেও পাবে, আখেরাতেও পাবে।

পছন্দনীয় দুটি বাক্য : বোখারি শরিফের শেষ হাদিসে সুন্দর একটি আমলের কথা বলা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা উচ্চারণে সহজ, মিজানের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়।
সেটি হলো ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (বুখারি : ৬৪০৬)।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.