সালাতুত তাওবার নিয়ম

 সালাতুত তাওবার নিয়ম


সালাতুত তাওবা নিয়ে কিছু প্রশ্ন আসে যেমন-
সালাতুত তাওবার মধ্যে প্রথমে সুরা ফাতেহা পড়ে তারপর ৩ বার সুরা এখলাছ পড়তে হবে? সালাতুত তওবা কখন পড়া যায়? এটি কি গুনাহ না হলেও পড়া যায়? কত রাকাত পড়তে হবে? এ নামাজ কি আমাদের প্রিয় নবী পড়েছেন? এ সব প্রশ্ন অনেকেই করেন-
মনে রাখবেন নব করিম (দঃ) এর ফরমানে আলীশান যখন তোমাদের থেকে কোন গুনাহ হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে কোন নেক আমল করে নাও তাহলে আল্লাহ তায়ালা তোমার সে গুনাহ মাফ করে দিবেন। তখন সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) লা ইলাহা ইল্লাহল্লাহ বলাও কি একটি নেকি? রহমতে কাউনাউন (দঃ) ফরমালেন এটাতো সকল নেকি সমুহের মুল। কেননা আমরা যদি কলমা পড়ে মুসলমান না হই তাহলে আমাদের কোন নেকি কবুল হবে না, মুসলমানদের নেকি সমুহই কবুল হয়।
যেহেতু হাদীসে পাকে নেকী করার জন্য বলা হয়েছে সেহেতু এ হাদীসের উপর ভিত্তি করে ওলামায়ে কেরাম বলেছেন কারো পক্ষ থেকে যদি গুনাহ হয়ে যায় তাহলে সে নেকির নিয়তে ২ রাকাত নফল নামাজ যাকে আমরা তওবার নামাজ বলতে পারি তা পড়তে পারে যদি মকরুহ ওয়াক্ত না হয়। তার এই ২ রাকাত নামাজ গুনাহকে মুছে ফেলতে সাহায্য করবে। সুতরাং এ ২ রাকাত সালাতুত তওবা মুলত গুনাহকে মুছন করার জন্য একটি নেক আমল। তবে এখানে তওবার ৩টি শর্ত পুরণ করতে হবে যেমন (১) নিজের কৃত গুনাহের উপর লজ্জিত হওয়া (২) সে গুনাহটি ভবিষ্যতে না করার আন্তরিক ভাবে নিয়ত করে নেয়া (৩) এই নিয়্যত শুধু আল্লাহর ভয়ে হতে হবে কোন দুনিয়াদারীর জন্য যেন না হয় , যখনই এই ৩ টি শর্ত পুরণ হবে এবং তওবা করবেন তাহলে আপনার গুনাহ আমলনামা থেকে মুছে দেয়া হবে। তাই শুধু ২ রাকাত নামাজ পড়লেই যে গুনাহ মাফ হবে তা নয় বরং সাথে সাথে তওবার ৩টি শর্তও আপনার মধ্যে পাওয়া যেতে হবে। ইনশাআল্লাহ আপনার গুনাহ অবশ্যই ক্ষমা করে দেয়া হবে।
এবার আসুন এর নিয়ম জেনে নিই
প্রথমে ভাল করে অজু করে ঘরে বা মসজিদে যদি মকরুহ ওয়াক্ত না হয় জায়নামাজে দাড়িয়ে নিয়ত করবেন এভাবে-
নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাক্ আতাই ছালাতিত্ তাওবাতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ্ শারীফাতি। --- আল্লাহুআকবার।
★আরবিতে নিয়্যত না জানলে
বাংলায় নিয়ত পড়ুনঃ
হে আল্লাহ আমি কেবলা মুখি হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকাত সালাতুত তওবার নামাজের নিয়ত করছি।
আল্লাহু আকবার,
★তারপর নিয়ত করে সানা পড়ে যথারীতি
প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সুরা নছর>-- বা যে কোন সুরা
দিতীয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সুরা নাস>-- বা যে কোন সুরা পড়ে
রুকু সিজদা করে বসে আত্তাহিয়্যাতু পড়ে সালাম ফিরিয়ে কয়েকবার দরুদ পড়ে
এই দোয়াটি পড়বেন
★দোয়ায় তওবাঃ-
উচ্চারণঃ “আসতাগফিরুল্লা-হাল ল্লাজি লা- ইলা- হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতুবু ইলাইহি”
অর্থঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।

এরপর আল্লাহর কাছে অতীত বর্তমানের সকল গোনাহর মাফ চান এবং ভবিষ্যতের সকল গোনাহ থেকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
মনে রাখবেন এ নামাজের জন্য নিদৃষ্ট কোন সুরা নাই আপনি সুরা ফাতেহার সাথে যে কোন সুরা পড়তে পারেন অথবা উভয় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে ৩ বার সুরা এখলাছও পড়তে পারেন। আল্লাহ আমাদেরকে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। এবং গুনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তওবার তৌফিক দান করুন। আমিন।
সে জন্য সকল ভাই বোনদের কাছে হাত জোড় করে আরজ করছি আপনি যখনই দোয়া করবেন অবশ্যই অবশ্যই এ দোয়াটি করবেন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.