গল্প দিয়ে আমল শিখা -১। প্রতিদিনের সহজ আমল শিক্ষা। All bangla dua amol wa...


জমিদারের ভাই বোনের গল্প

গল্পটি হাসির কিন্তু আমলের

এক জমিদারের এক ছেলে আর এক মেয়ে ছিল, জমিদার বেশ সম্পদশালী ছিল, একদিন জমিদারের সাহেবজাদা ১টি ম্যাচের কাঠি জ্বালালো যেই সে ম্যাচের কাঠি জ্বালালো সে ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর আওয়াজ ও এর জ্বলার খুশবু তার বেশ পছন্দ হল, এখন জমিদার পুত্রের একটাই কাজ বাক্স বাক্স ম্যাচ কিনে এনে শুধু জ্বালানো। এভাবে সে প্রতিদিন হাজার হাজার ম্যাচের কাঠি জ্বালানো আরম্ভ করল।

আর জমিদার কন্যা বাজারে গেল কাপড় কিনতে দোকানদার যখন থান থেকে পছন্দমত কাপড় কাচি দিয়ে সামান্য কেটে টান দিয়ে ফেটে দিচ্ছিল সে থান থেকে কাপড় ফাটার যে আওয়াজ সে আওয়াজটি সাহেবজাদির বেশ পছন্দ হয়ে গেল। এবার সাহেবজাদি থান থেকে কাপড় কিনেনা বরং বাজার থেকে থানে থাকে কাপড় কিনে আনে আর সে থানের কাপড় ছিড়ে যে আওয়াজ সে আওয়াজ শুনে বেশ মজা অনুভব করতে লাগল।

এভাবে জমিদার এর সাহেবজাদা ও সাহেবজাদির বেহুদা খাহেশ পুরণের খাতিরে অতি অল্প দিনেই জমিদারের জমিদারিতে ভাটা পড়ল, তারা অল্প দিনেই পথের ফকির হয়ে গেল।

এখন এইযে একটি গল্প সে গল্পটি শুনে আমরা হাসি আর জমিদারের সাহেবজাদা সাহেবজাদিকে সবচেয়ে বোকা মানুষ বলে ভাবি।

কিন্তু আমরা যদি একটু নিজেদের দিকে তাকাই নিজেদের কমকান্ডের দিকে একটু খেয়াল করি তাহলে বুঝতে পারব আমরা আজ অধিকাংশ লোক সে জমিদারের সাহেবজাদা সাহেবজাদি থেকেও বড় বোকা।

কারন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হায়াত দিয়েছেন আল্লাহর এবাদত করার জন্য, (ওয়ামা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়াবুদুন) আল্লাহ জ্বিন ও মানুষকে এবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। দুনিয়াতে আখেরাতের ফসল বানানোর জন্য, কিন্তু আমরা কি করি, সুযোগ পেলেই এমন এমন বেহুদা কাজে লিপ্ত হয়ে যায় যার কোন নাই দুনিয়াবি ফায়দা নাই কোন আখেরাতের ফায়দা।

ঘন্টার পর ঘন্টা আমরা এসব কাজে ব্যস্ত যার কোনই উপকারিতা নাই। তখনকার সাহেবজাদা বোকামির কারনে দুনিয়ার সম্পদ বরবাদ করেছেন, কিন্তু আজকের যুগের সাহেবজাদা সাহেবজাদিরা সবচেয়ে দামী সম্পদ স্থায়ী সম্পদ আখেরাতের সম্পদকে বরবাদ করে দিচ্ছে। রাত দিন ২৪ ঘন্টা ‍শুধু ফেইসবুক, চেটিং, মেসেজিং, সেলফি, লাইক, শেয়ার, সমালোচনা, গিবত, গাল গল্প, এসব কাজেই আমাদের সময় চলে যাচ্ছে। অথচ আমাদের এক একটি মুহুত অনেক দামী, এক একটি সেকেন্ড অনেক দামী। আপনি যদি ১ সেকেন্ডে একবার সুবহানাল্লাহ বলেন ১ বার আলহামদুলিল্লাহ বলেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আসমান জমিনের মাঝে খালি জায়গা পুণ সাওয়াব আপনার আমার আমল নামায় দেয়ার ওয়াদা করেছেন। (তামলাউল মিযান, তামলাউ মা বাইনাস সামাওয়াতে ওয়াল আরদ)

কয়েক সেকেন্ডে ৩ বার সুরা এখলাস পড়ে আপনি ১ খতম কুরআন পড়ার সাওয়াব কামাতে পারেন।

৩ মিনিটে ১ পৃষ্ঠা কুরআন পড়তে পারেন,

১ মিনিটে আপনি কুরআনের ১টি আয়াত মুখস্থ করে নিতে পারে, কুরআনে যত বেশী আয়াত আপনার মুখস্থ হবে তত আপনি জান্নাতের উঁচু স্তরে পেঁৗছতে পারবেন।

১ মিনিটে মহানবী (সা.) এর উপর ৫০ বার দরুদ পাঠ করা যায়। শুধু ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়লেও চলে। প্রতিদানে আল্লাহ ৫০০ বার রহমত পাঠাবেন। আর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ ১০ বার প্রতিদান দেন।

এক মিনিটে আপনি সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে পারেন যা দ্বারা আল্লাহ হয়ত এমন কোনো কল্যাণের পথ খুলে দেবেন যা আপনি ভাবতেও পারেননি।

তাই আসুন নিজের আসল লাভ কি তা বুঝার চেষ্টা করি। বোকার মত কাজ করে  আখেরাতের মত স্থায়ী সম্পদকে নষ্ট না করি।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.