রাতারাতি ধনী হওয়ার দোয়া। জীবনে টাকার অভাব হবেনা। বড়লোক হওয়ার আমল।

 

রাতারাতি ধনী হওয়ার দোয়া। জীবনে টাকার অভাব হবেনা। বড়লোক হওয়ার আমল।



আপনি যদি বেশী গরিব হয়ে থাকেন, টাকা পয়সার সমস্যা থাকে, রুজি রোজগারের কোন রাস্তা না থাকে, অনেক চেষ্টা করেও কোন রুজি রোজগার এর ব্যবস্থা করতে না পারেন

যারা চান জীবনে যেন টাকার অভাব না হয়, যারা চান দ্রুত ধনী হতে তাদের জন্য আজকে ৪টি নববী দোয়া ও আমল বলব ৩ নং আমলটি সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং

প্রতিটি দোয়া ১০০% পরীক্ষিত, প্রতিটি দোয়া আমল হাদীস শরীফ থেকে বর্ননা করব তাই এতে সন্দেহের অবকাশ নাই। যারাই এই দোয়া আমল আন্তরিকতার সাথে করেছেন তারাই অভাব মুক্ত হয়েছেন ধনী হয়েছেন

যেহেতু দোয়াগুলি আমার দয়াল নবীর দেয়া, সেহেতু অনুরোধ এই রবিউল আউয়াল মাসে সে নবীজির জন্য ১ বার দরুদ শরীফ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লিখে দিন 

১ম নববী দোয়া হল: একজন সাহাবী রাসুলে করিম (দ) এর কাছে গিয়ে বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ, আমি বেশী গরিব, এয়া রাসুলাল্লাহ আমার অনেক সন্তান লেকিন আমি বেশী গরিব- আমি কি করব?

রাসুল (দ) বললেন হে আমার সাহাবী আমি তোমাকে ছোট্ট একটি তসবিহ দিব সেটি বেশী বেশী পড়বে তাহলে আল্লাহ তোমার দারিদ্রতা তোমার অভাব দুর করে দিবেন

নবীজি বললেন তুমি পড়বে (সুবহানাল্লাহে ওয়াবিহামদিহি) সাহাবী নবীর দেয়া আমলটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করলেন, কারন গুলি মিস হবে নবীজির দেয়া আমল মিস হবেনা 

সাহাবী ঘরে গিয়ে স্ত্রীকেও সে তসবিহটি বেশী বেশী পড়ার অনুরোধ করলেন আর নিজেও পড়তে লাগলেন সকালেও পড়েন, দুপুরেও পড়েন, বিকালেও পড়েন এভাবে ১ বছর ধরে পড়তে থাকলেন

১ বছর পর সাহাবী নবীজির দরবারে গিয়ে বলেন এয়া রাসুলাল্লাহ আপনি আমাকে ১ বছর আগে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য ১টি তাসবিহ দিয়েছিলেন ছুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি

এক বছর যাবৎ আমি তাসবিহটি বেশী বেশী পড়ার কারনে আল্লাহ তায়ালা আমাকে এত ধনী করে দিয়েছেন যে এখন আমার উপর যাকাত ফরয হয়ে গেছে।

২য় দোয়াটি হল: সুনানে আবি দাউদের একটি হাদিস আল্লাহর রাসুল (দ) নিজেও প্রায় এই দোয়াটি পড়তেন (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি ওয়াজজিল্লা)

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি দরিদ্রতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই স্বল্পতা থেকে ও অসম্মানী থেকে। 

মনে রাখবেন যে কোন আমল পূর্ণ একিনের সাথে করলে, অবশ্যই এর সঠিক ফল পাওয়া সম্ভব, মনে সন্দেহ নিয়ে আমল করলে ফল পাওয়া সম্ভব না।

৩য় আমল হল- ওসমান (রা) এর আমল, যে আমলটি করে হযরত ওসমান (রা) সাহাবীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী হয়েছেন, তার ধন সম্পদ এত বেশী ছিল তিনি নবীজির কাছে গিয়ে ধন সম্পদ কমানোর দোয়া চাইলেন

তখন নবী করিম (দ) তাকে পরামর্শ দিয়ে বললেন তুমি উটের পিঠে গাধার পিঠে বসে খাওয়া দাওয়া করওসমান (রা) ধন সম্পদ কমানোর জন্য সে আমলটি করতে লাগলেন কিন্তু তাঁর সম্পদ না কমে বরং আরো বেড়ে গেল

তখন নবী করিম (দ) কে গিয়ে ঘটনা বললে নবীজি তাঁকে প্রশ্ন করলেন তুমি উটের পিঠে বসে যখন খাবার খাও তখন যদি কোন খাবার তোমার হাত থেকে পরে যায় তখন তুমি কি কর?

ওসমান (রা) বলেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমি এমনিতেই খাবার পরে গেলে তা আবার তুলে পরিস্কার করে খায়, এখন উটের পিঠে বসে খাবার খাওয়ার সময় যদি খাবার পরে যায় কষ্ট সত্বেও আমি উটের পিট থেকে নেমে সে খাবার তুলে পরিস্কার করে খেয়ে নিই।

ওসমান (রা) এতই ধনী ছিলেন তিনি তাবুকের যুদ্ধে একাই ৩০ হাজার সৈন্যের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, উনার মত এত বড় মাপের ধনী পৃথিবীর জমিনে ২য় আরেকজন পাওয়া দুস্কর হবে

সে উসমান সামান্যতম রিজিকের অমর্যাদা হতে দেন না, তাই নবীজি ফরমান তুমি যেভাবে আল্লাহর দেয়া রিজিকের সম্নান কর শুকরিয়া আদায় কর, এই যে আল্লাহ পাকের নেয়ামতের প্রতি তোমার যে শ্রদ্ধা

এর শুকরিয়া স্বরুপ আল্লাহ পাক তোমার ধন সম্পদ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। সুতরাং আমরাও যদি আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের শোকরগুজার হই, রিজিককে সন্মান করি তাহলে আল্লাহ ধন সম্পদ বাড়িয়ে দিবেন।

৪থ আমল হল- বেশী বেশী লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, পড়া যে ব্যক্তি এই দোয়া বেশী বেশী পাঠ করে আল্লাহ তায়ালা তার ৭০টি বিপদ দুর করে দেন আর তার মধ্যে সর্বনিন্ম বিপদ হল দারিদ্রতা।

তাহলে ১ নং তসবিহ হল (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি) ২নং তসবিহ (লা হাওয়ালা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) ৩ নং দোয়া (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়াজজিল্লাহ) ৪ নং আমল হল রিজিকের অসন্মান না করা ও আল্লাহর শোকর আদায় করা

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.