১০০% দ্রুত দোয়া কবুল হবে। এবার মনের সব আশা পুরন হবে। All bangla dua amol...
এটি হল ইসমে আজম, আর ইসমে আজমের এফেক্ট খুবই শক্তিশালি (আল্লাজি ইজা দাআ বি হিদায়া বিহি ইউসতাজিবা) যখন ইসমে আজমের সাথে দোয়া করা হয় সে দোয়া সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়।
এ দোয়াটি সব দোয়ার শুরুতেই পড়লে যে কোন দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।
আমি একটি জিনিষ বারবার বলে থাকি দোয়াতে প্রথম বিষয়টি হল পূণ একিন বা বিশ্বাস হতে হবে, দ্বিতীয়ত এখলাস পাক্কা হতে হবে, তৃতীয়ত সিদকে মকাল ও আকলে হালাল হতে হবে, অথ্যাৎ দোয়াকারী সত্যবাদী হতে হবে এবং হালাল রিযিক গ্রহণকারী হতে হবে।
যদি মানুষর খাবার দাবার হারাম কামাই থেকে হয় তাহলে তার কোন দোয়াই কবুল হবে না,
হযরত সুলাইমান (আ) এর যুগে যে লোক রানি বিলকিসের সিংহাসন চোখের পলকে নিয়ে এসেছেন তাকে আল্লাহ তায়ালা কিতাবের এলম দিযেছেন আর সে এলম সম্পর্কে মুফাসসিরিনে কেরাম বলেন সেটা হল ইসমে আজমের এলম, তিনি ইসমে আজম পড়ে দোয়া করার সাথে সাথে হযরত সুলাইমান (আ) চোখের পলক ঝাপটানোর আগে আগেই রানি বিলকিসের সিংহাসন সামনে উপস্থিত হয়ে গেল। এটাই হল ইসমে আজমের তাছির প্রভাব প্রফেক্ট।
এক ব্যক্তিকে নামাযে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন।নবী ﷺ সাহাবাদেরকে
বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন।তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আঁমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন। (আবু দাউদ, নাসাঈ, আহমদ)
একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ
لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ،
يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا
حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন, ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আউ’যু বিকা মিনান্না-র।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আঁপনার কাছে প্রার্থনা করি কারন,সকল প্রশংসা আপনার জন্য,কেবলমাত্র আঁপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই,আঁপনার কোনো শরীক নেই,আঁপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক! আমি আঁপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।
মুনাজাতের মাঝে এ ইসমে আজমের দুয়া পড়ে এর পরে নিজের ইচ্ছামতো যেকোন দুয়া করবেন আপনি হালাল রিযিক গ্রহণকারী হলে অবশ্যই আপনার মনের চাহিদা নেক দোয়া আল্লাহ দ্রুত পুরন করবেন।
তবে নবী (সা.) দোয়ার ক্ষেত্রে যে দুটি জিনিস প্রাধান্য দিতেন সেটি হলো, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম এবং ইয়া ইইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম বিরহমাতিকা আস্তাগিছ। অনেকে এ কথা বলেছেন যে এটা ইসমে আজম, এ জন্য রাসুল (সা.) এটাকে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
কোন মন্তব্য নেই