ওজিফাটি 2 সেকেন্ডে কাজ করে। আপনার সকল দোয়া কবুল হবে।

 

ওজিফাটি 2 সেকেন্ডে কাজ করে। আপনার সকল দোয়া কবুল হবে।



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল।

তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার। হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত নাজিল ফরমাও।

আসসালামু আলাইকুম অল বাংলা চ্যানেলের প্রিয় বন্ধুরা। ১টি কয়েদখানা হল যা দুনিয়ার লোকেরা বানিয়েছেন, আর আরেকটি কয়েদখানা হল আল্লাহ তায়ালার বানানো কয়েদখানা। যার আলোচনা আজকের ভিডিওতে আমি করতে যাচ্ছি। কিভাবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবী (আ) এর জন্য  সমুদ্রের ভিতর কয়েদখানা তৈরী করেছেন? আর  আপন নবীকে সে কয়েদখানায় রাখলেন।আবার তাকে সে কয়েদ খানা থেকে রেহায় দান করলেন। সেটা কোন দোয়া যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তার নবীকে এই কয়েদখানা থেকে নাজাত দিয়েছেন।

আর আপনিও এই দোয়ার মাধ্যমে নিজের দোয়াকে কিভাবে কবুল করাতে পারবেন? আজকের ভিডিওতে আপনাদেরকে সে দোয়ার ব্যপারে বলব। আর সে দোয়ার আমলও বলে দিব। যেটি এক ফকির ৮ বছর আগে আমাকে বলেছেন তবে যদিও কথাটা ফকিরের কিন্তু আসলে তা হল কুরআনেরই ১টি ওজিফা। যাতে আপনার দোয়া খুব দ্রুত কবুল হবে। এই আমল খুবই স্পেশাল। ইনশা আল্লাহ এর বরকতে আপনার সব দোয়া ২ সেকেন্ডের মধ্যে কবুল হয়ে যাবে।

মনে রাখবেন এটা এমন এক আমল যে আমলের সত্যতা হুজুর (দ) এর হাদিসে মোবারকেও মওজুদ আছে। সে জন্য আপনি এই ভিডিওটি স্কীপ করবেন না আর এই আমলের ব্যপারে বিস্তারিত জানার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ ভিডিওটি শেষ পযন্ত অবশ্যই দেখবেন।

বন্ধুরা মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে হাদীস শরীফের আলোকে দোয়া কবুল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূণ ওয়াক্তের ব্যপারে জানাব। যদি এই ওয়াক্তসমুহের মধ্যে আপনি দোয়া করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি দোয়া কবুল হয়।

হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত নবী করিম (দ) এরশাদ করেন মানুষ তার রবের সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হয় সিজদারত অবস্থায় সে জন্য সিজদায় বেশী বেশী দোয়া কর।

হযরত আবু উমামা (রা) হতে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ (দ) এর কাছে প্রশ্ন করা হল কোন দোয়া বেশী কবুল হয়? হুজুর (দ) ফরমালেন রাতের শেষাংশে।আর ফরয নামাজের পরের দোয়া। একই ভাবে হযরত সাহাল বিন সাআদ (রা) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন- ২টি দোয়া ফেরত দেয়া হয়না। এক আযানের সময় ২য় বৃষ্টির সময়।

হযরত আনাস বিন মালিক (রা) হতে বণিত- রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন  আযান ও একামতের মাঝে কৃত দোয়া ফেরত দোয়া হয়না। সাহাবাগণ প্রশ্ন করলেন এয়া রাসুলাল্লাহ (দ) আমরা সে সময় কি দোয়া করব? হুজুর (দ) ফরমালেন আল্লাহ তায়ালার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনা কর।

বন্ধুরা এ কথা কখনো বলা উচিত নয় যে দোয়া কবুল হয়না।কেননা যে দোয়া দুনিয়াতে কবুল হয়না আল্লাহ তায়ালা তার বদলায় আখেরাতে প্রতিদান দিবেন।যা দেখে বান্দা আফসুস করে বলবে হায় আমার কোন দোয়া যদি দুনিয়াতে কবুল না হত কতইনা ভাল হত, আজ আখেরাতে আমি তার প্রতিদান ভোগ করতাম। সুতরাং দোয়া কবুল না হলে পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নাই।

প্রত্যেকের দোয়া করা উচিত দোয়া কবুল না হলেও অধৈর্য্য হওয়া যাবেনা। আর চেষ্টা করা দরকার সে সব সময়গুলিতে দোয়া করা যাতে আপনার দোয়া দ্রুত কবুল হয়ে যায়।

এবার আসুন আজকের মুল বিষয়ের দিকে। আমি যে নবীর কথা বলছিলাম সে নবী হলেন হযরত ইউনুস (আ) আর যে দোয়ার কথা আমি বলতে চাচ্ছি সে দোয়া হল দোয়া ইউনুস। মনে রাখবেন এই দোয়াটি কুরআনের সুরা আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াতে আছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন

وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ

এবং মাছওয়ালার কথা স্মরণ করুন তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাঁকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি অন্ধকারের মধ্যে আহবান করলেনঃ তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গুনাহগার। [সুরা আম্বিয়া - ২১:৮৭]

فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ

অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি। [সুরা আম্বিয়া - ২১:৮৮]

বন্ধুরা কোরআনে হাকিমের এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায়  আল্লাহর নবী ইউনুস (আ) যখন মাছের পেটে গ্রেফতার হয়ে গেলেন আর বিপদে ফেসে গেলেন, তিনি এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালাকে এই কলমাসমুহের দ্বারা ডাক দিলেন। আর আল্লাহ তায়ালা তাকে ৩টি অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করলেন সমুদ্রের অন্ধকার, রাতের অন্ধকার, মাছের পেটের অন্ধকার। আর আমাদের জন্য পথ দেখালেন যত বড় বিপদ হউক মসিবত হউক কেহ যদি আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন। তাকে মসিবত থেকে উদ্ধার করেন।

সে জন্য আকাবিরিন একরাম সকল বিপদে ও মসিবতে এই দোয়া ইউনুসের ওজিফা করার জন্য তাকিদ করেন। যখনই আপনার কোন বিপদ আসে আপনি এই আয়াতে করিমা পাঠের সাথে সাথে যদি সে বিপদ থেকে উদ্ধারের দোয়া করেন আল্লাহ পাক আপনাকে সে বিপদ থেকে নাজাত দান করবেন।

এই দোয়া ইউনুসকে ইসমে আজমও বলা হয় সে জন্য যখনই কোন দোয়া করবেন প্রথমে (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন) কয়েক বার পড়বেন তারপর নিজের সকল আশা আরজুর কথা মনের খাহেশের কথা সকল সমস্যার কথা চাই সে সমস্যা বড় হউক কিংবা ছোট কঠিন হউক বা সহজ আল্লাহর কাছে তুলে ধরবেন ইনশা আল্লাহ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আপনার সকল সমস্যা কুদরতি ভাবে সমাধান হয়ে যাবে।

ভিডিওটি সদকায়ে জারিয়া মনে করে যে কোন বিপদগ্রস্থ মসিবত গ্রস্থ ভাই বোনের কাছে শেয়ার করে দিন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.