কুন ফায়াকুন এর ওজিফা, সুরা যুমারের ওজিফা, টাকা পয়সার সমস্যা সমাধানের দোয়া আমল
কুন ফায়াকুন এর ওজিফা, সুরা যুমারের যাদু
আল্লাহ তায়ালা
যখন হও বলেন তখন হয়ে যায়, যাকে কুরআনের ভাষায় বলে কুন ফায়াকুন। বান্দার কাজ হল আল্লাহর
উপর ভরসা করে কাজ চালিয়ে যাওয়া। যারা কুরআন বুঝেন কুরআন পড়নে তারা কুরআন থেকেই সাহায্য
লাভ করেন, এক অনেক বড় আলেম ছিল মুহাম্মদ ইবনে নসর খুযাঈ তিনি একবার এমন জায়গায় গ্রেফতার
হয়ে গেলেন, যে দেশের বাদশা ছিল বদ মাযহাব নাস্তিক, তাই সে বদ মাযহাবের লোকদেরকে সাহায্য
করত। গুরুত্ব দিত। সে আলেম এক বড় ময়দানে আলোচনা করছিলেন, চতুর্দিকে বাদশার লোকজন ছিল,
আর সে আলেম এর পক্ষে অল্প সংখ্যক আলেম ও ছাত্র ছিল। তিনি সে যুগের একজন ভালো আলেম ছিলেন।
তখন তিনি তার সাগরিদদের মধ্যে থেকে একজনকে কাছে ডেকে বললেন আমার মনে এক অজানা ভয় কাজ
করছে, কথা বলতে সংকোচ বোধ করছি, তুমি আমাকে এমন কোন আয়াত মনে করিয়ে দাও যা শুনে আমার
মনবল বৃদ্ধি পাবে, তখন সাগরেদ সুরা যুমারের ৩৬ নং আয়াত পড়লেন,
اَلَیۡسَ اللّٰهُ
بِکَافٍ عَبۡدَهٗ
ؕ وَ یُخَوِّفُوۡنَکَ
بِالَّذِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِهٖ ؕ ﴿ۚ۳۶﴾
আল্লাহ
কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? অথচ তারা তোমাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদের ভয় দেখায়।
এ আয়াত শুনে তার মনবল এতই বৃদ্ধি পেল আর কন্ঠস্বর বড় হয়ে গেল, এত সুন্দর
ও মজবুত দলিল সহকারে যুক্তি সংগত কথা বলতে লাগলেন যে সে ভরা মজলিশে বাদশা সকলের আগে
মুসলমান হয়ে গেলেন।
এভাবেই কুরআন ওয়ালারা কুরআন থেকেই মনবল
সংগ্রহ করে। কুরআনের আয়াতের প্রতি যাদের পূণ ঈমান আকিদা তারাই এর থেকে ফায়দা হাসিল
করে। বান্দা হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। তাহলে অবশ্যই আল্লাহ
আমাদের জন্য যথেষ্ট হবেন। এবং সব কাজে গায়েবী সাহায্য দান করবেন। যেমন অপর আয়াতে বলেন
ওয়া মাইইয়াতাওয়াক্কাল আলাল্লাহি ফাহুওয়া
হাসবুহ” যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করে, তার
জন্য আল্লাহই যথেষ্ট”।
সুরা শূরার ওজিফা মিলে গেল
আজ থেকে টাকা পয়সার টেনশন শেষ
সে আয়াতটি কতবার পড়বেন কখন পড়বেন তা আজ বিস্তারিত বলব ইনশা আল্লাহ, তার আগে অনুরোধ যারা আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করেননি এখনই সাবস্ক্রাইব করে নিন এবং পাশে থাকা বেল আইকনে ক্লিক করে রাখুন তাহলে আমাদের পরবর্তী সকল দোয়া ও আমলের ভিডিওর নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন।
আজকে সুরা শূরার যে আয়াতের ওজিফাটি বলব সে আয়াতের অথ হল আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিয্ক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী।
এ আয়াতটির ব্যাখ্যায় তফসীরে মাযহারীতে বলা হয়েছে- আল্লাহ তায়ালা রিযিক অনেক প্রকার, জীবন ধারনের রিযিক সবাই পাই, এর পর স্পেশাল রিযিক বন্টনে আল্লাহ বিভিন্ন স্তর ও মাপ রেখেছেন। কাউকে ধন সম্পদের রিযিক অধিক দান করেন, কাউকে কম, কাউকে স্বাস্থ্য ও শক্তির রিযিক, কাউকে জ্ঞান ও মারেফতের রিযিক দান করেছেন। আর কাউকে অন্যান্য রিযিক দান করেছেন। এভাবে প্রত্যেকে প্রত্যেকের মুখাপেক্ষি থাকে যার উপর মানব সভ্যতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত।
اَللّٰهُ
لَطِیۡفٌۢ
بِعِبَادِهٖ
یَرۡزُقُ
مَنۡ یَّشَآءُ
ۚ وَ هُوَ الۡقَوِیُّ
الۡعَزِیۡزُ
আল্লাহু লাতিফুন বি ইবাদিহি
এয়ারজুহু মান এয়াশাউ ওয়াহুয়াল কাবিয়্যুল আজিজ
এটি সুরা শূরার ১৯ নং আয়াত
আয়াতটির ব্যাখ্যায়
তফসীরে মাআরেফুল কুরআনের বাংলা সংস্করনের ১২১৪ পৃষ্ঠায় ১টি পরীক্ষিত ওজিফার কথা লিখেছেন
তা হল এই আয়াতটি যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা ৭০ বার পাঠ করবে তার টাকা পয়সা ধন
সম্পদ রিজিকের সকল অভাব অনটন আল্লাহ তায়ালা দুর করে দিবেন। এটি বহুল পরীক্ষিত আমল।
اَللّٰهُ
لَطِیۡفٌۢ
بِعِبَادِهٖ
یَرۡزُقُ
مَنۡ یَّشَآءُ
ۚ وَ هُوَ الۡقَوِیُّ
الۡعَزِیۡزُ
কোন মন্তব্য নেই