মুসলমানদের জন্য সুখবর! রাতের দোয়া ও ওজিফা। সব আশা পুরণ। অভাব দুর । সকাল সমস্যা সমাধান
মুসলমানদের জন্য সুখবর! রাতের দোয়া ও ওজিফা।
সব আশা পুরণ। অভাব দুর । সকাল সমস্যা সমাধান
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের
বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক
নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর
বান্দা ও তার রাসুল।
তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার।
হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত
নাজিল ফরমাও।
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা অধিকাংশ লোক এটা অভিযোগ করে যে
আমি রাতে ঘুমাতে পারিনা, রাতে হঠাৎ হঠাৎ চোখ খুলে যায়, আমাদের মধ্যে খুব কম লোকই আছে
যাদের রাতে চোখ খুলে না। কারো পাশ্ব পরিবতনের কারনে চোখ খুলে যায়, কারো কারো কোন দুঃশ্চিন্তার
কারনে চোখ খুলে যায়, আবার কারো কারো দুঃস্বপ্ন দেখার ফলে চোখ খুলে যায়,
প্রিয় ভাই বোনেরা আপনি কি খেয়াল করেছেন সাধারণত আমাদের যে সময়টিতে চোখ
খুলে যায় তা রাতের ২টা থেকে ৫ টার মধ্যে হয়ে থাকে।প্রায় সকলেরর ক্ষেত্রেই এমনটি হয়ে
থাকে। যদি আপনার সাথে এমনটি হয় তাহলে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য খুবই জুরুরি হতে যাচ্ছে।
আজকের আলোচনায় আমি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা
করব, রাতের এই অংশে মানুষের চোখ কেন খুলে যায়? ঘুম কেন ভেঙ্গে যায়? এর পিছনে কি কারন,
সে সময় কি দোয়া ও ওজিফা করলে প্রিয় নবী সুসংবাদ দিয়েছেন আর এ বিষয়ে বিজ্ঞান কি বলেছে
সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য, আপনার কাছে অনুরোধ আমার এ আলোচনাটি নিজের উপকারার্থে
শেষ পযন্ত অবশ্যই দেখবেন
বন্ধুরা এটা চিন্তার বিষয় যে প্রতিদিন
রাতে সে কোন সত্বা যিনি এই প্রহরটিতে আপনাকে জাগিয়ে দেয়? প্রতিদিন আপনাকে সে সময়টিতে
কেন আলটিমেটাম দেয়া হয়?
এ ব্যপারে সায়েন্স যা বলে তা হল- যদি প্রতি
রাতে ১টি প্রহরে আপনার চোখ খুলে যায় তাহলে সায়েন্স অভয় দিয়ে বলেন পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন
নাই, কেননা বিশেষজ্ঞদের মতে এটা সুস্বাস্থ্য এবং ভালো ঘুমের একটি আলামত। আর রাতে চোখ
খুলে যাওয়া কোন অসুস্থতার লক্ষন নয় বরং স্বাস্থ্যবান লোকদেরও রাতে চোখ খুলে যায়।
তবে
রাতের ২টা থেকে ৫ টার মধ্যে যদি আপনার চোখ খুলে যায় তা আপনার সৌভাগ্যের লক্ষণ।কেননা
সে সময় আপনার চোখ খুলে যাওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনাকে এই দিকে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে যে,
আপনি এই মুহুর্তে আল্লাহকে ডাকুন আল্লাহর কাছে চান, কারন এটা দ এসে আপন বান্দাকে ডাক
দেন, কেউ কি আছ আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার? আছ কি কেউ আমার কাছে রিজিক তালাশ করার? আর
সে ঘোষনার সময় বান্দার চোখ খুলে যাওয়াটা মুলত তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত
ও সুযোগ। যারা নানান ধরনের পেরেশানিতে আছেন, অভাবে আছেন, কোন দুঃখ বিপদে আছেন, কিংবা
কোন সমস্যায় আছেন তারা রাতে চোখ খুলে যাওয়ার এই নেয়ামতের ব্যপারে অবহেলা করবেন না,
সে সময় নবীর দেয়া ১টি দোয়া ও ওজিফার আমল করে নিন তাহলে সব সমস্যা আল্লাহ সমাধান করে
দিবেন যেমন বুখারী শরীফের ১০৮৭ নং হাদিস
"
مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ
لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ. الْحَمْدُ
لِلَّهِ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلاَ
حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ. ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي. أَوْ
دَعَا اسْتُجِيبَ، فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ "
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ
যে
ব্যাক্তি
রাতে
জেগে
ওঠে
এ
দু’আ
পড়ে
তারপর বলে,
ইয়া
আল্লাহ্!
আমাকে
ক্ষমা
করুন। বা (অন্য
কোন)
দু’আ
করে,
তাঁর
দু’আ
কবূল
করা
হয়। এরপর উযূ
(ওজু/অজু/অযু)
করে
(সালাত
আদায়
করলে)
তার
সালাত
(নামায/নামাজ)
কবূল
করা
হয়।
সুতরাং যদি আপনি সে রকম সৌভাগ্যের অধিকারী
হন তাহলে উঠে দোয়াটি পড়ে নিবেন তারপর অজু করে কমপক্ষে ২ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে নিবেন
আর মন খুলে দোয়া করবেন তাহলে প্রিয় নবী সুসংবাদ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা আপনার সে নামাজও
কবুল করবেন আপনার দোয়াও কবুল করবেন আর সে মোবারক সময়ে আপন রবের কাছ থেকে ঝুলি ভরে নিতে
পারবেন। সকল সমস্যার সমাধানের পথ খুজে পাবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক
দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই