হিন্দু মেয়ের বিসমিল্লাহর ওজিফার আযব ঘটনা। বিছমিল্লাহর ফজিলত ও বরকত

 

হিন্দু মেয়ের বিসমিল্লাহর ওজিফার আযব ঘটনা। বিছমিল্লাহর ফজিলত ও বরকত



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সম্মানিত দর্শক শ্রোতা মন্ডলি, আসসালামু আলাইকুম, আজ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর ফজিলতের এমন এক মজার ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যা শুনে আপনি নিজেও বিসমিল্লাহর ভক্ত হয়ে যাবেন তার আগে এই বিসমিল্লাহর কিছু ফজিলত ও আমল আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই, আশা করি আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে ফেরেশতাগণ তোমার অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। তুমি যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করবে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি গোসল শেষ করবে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। সেই সহবাসে যদি তোমার কোনো সন্তান লাভ হয়, তবে সেই সন্তানের নিঃশ্বাস এবং তার যদি বংশধারা চালু থাকে, তবে যতকাল তা চালু থাকবে, ততকাল পর্যন্ত তাদের সবার নিঃশ্বাসের সংখ্যা পরিমাণ পুণ্য তোমার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন পশুর পিঠে চড়বে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে তার প্রতি কদমে তোমার জন্য পুণ্য লেখা হবে। আর যখন নৌকায় চড়বে, তখনো বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি তা থেকে নামবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লেখা হতে থাকবে।`

রোম সম্রাট একবার খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর দরবারে তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছিল। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে একটি টুপি প্রেরণ করেছিলেন। যতক্ষণ এ টুপি মাথায় থাকতো ততক্ষণ মাথা ব্যথা হতো না। কিন্তু যখনই মাথা থেকে টুপি সরানো হতো, সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হতো। এ ঘটনায় সবাই বিস্মিত হয়। অবশেষে টুপি খুলে এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেল যে তাতে শুধু বিসমিল্লাহ লিপিবদ্ধ রয়েছে।

যে ব্যক্তি ১০০ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির লিখে ক্ষেতে-খামারের দাফন করে রাখে, আল্লাহ তাআলা সব ধরনের বালা-মুসিবত থেকে ফসলের হেফাজত করেন। ফসলের বরকত বৃদ্ধি করে দেন।

যে ব্যক্তি কোনো নেক মকসুদ হাসিলের জন্য বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ১২ হাজার বার এভাবে পাঠ করে যে, প্রত্যেক ১ হাজার বার পাঠ করার পর দুরাকাআত নামাজ আদায় করে দোয়া করবে। এভাবে ১২ হাজার বার পাঠ করে দোয়া করলে, আল্লাহ তাআলার রহমতে ঐ ব্যক্তির মকসুদ পূর্ণ হয়।

হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, `আদম সন্তান যখন কাপড় খোলে, তখন তার সতর ও নিজদের চোখের মধ্যবর্তী পর্দা হচ্ছে `বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহিম`। তাহলে আল্লাহ ইচ্ছা করলে বিসমিল্লাহর আমলকারীদের জন্য জাহান্নামকেও আড়াল করে দিতে পারেন।

এবার আসুন মুল ঘটনাটি জেনে নিই- এক হিন্দু পাড়ায় একটি মুসলিম পরিবার বাস করত, সে মুসলিম পরিবারে প্রতিবেশীর এক হিন্দু মেয়ে আসা যাওয়া করত, সে মেয়েটি মুসলমানদের নামাজ কুরান তেলাওয়াত এবাদত এসব দেখে মুগ্ধ হত, এক সময় মেয়েটি ইসলাম সম্পকে জানার আগ্রহন প্রকাশ করলে তাকে কিছু ধর্মীয় বই পুস্তক দিলে সে এসব পড়ে ইসলাম ধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে গেল এবং ইসলাম কবুল করার আগ্রহ প্রকাশ করলে মুসলিম পরিবারটি তাকে কলমা পড়িয়ে মুসলমান বানিয়ে নিল, তাকে নামাজ কুরান পড়া শিখাল, সেও গোপনে গোপনে তার বাবা না দেখে মত ইসলাম ধম পালন করতে থাকে, একদিন তার হিন্দু বাবা মেয়েকে নামাজ পড়তে দেখে ধরে ফেলল আর যখন জিজ্ঞেস করল মেয়েটি বাবাকে বলে দিল হ্যাঁ বাবা আমি মুসলমান হয়ে গেছি, বাবা আর উচ্চবাচ্চ করল না, তবে মনে মনে মেয়েকে শাস্তি দেয়ার গোপন ফন্দি আটতে থাকল,

মেয়েটি যে কোন কাজ করার সময় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে, খেতে বসলে ঘর ঝাড়ু দিলে, বাহিরে যাওয়ার সময়, ঘরে প্রবেশের সময়, পানি পানের সময়, এইসব দেখে হিন্দু বাবা খুব জ্বলত তবে কিছু বলত না

একদিন মেয়েটির বাবা একটি কাঠের বাক্স এনে মেয়েকে দিল বলল এটি প্রতিবেশীর বাক্স আমার কাছে আমানত রেখেছে এতে অনেক মূল্যবান ১টি হার আছে তুমি এটা সামলে রাখ, মেয়েটি যথারিতি সে বাক্সটি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে রেখে দিল,

একদিন রাতে মেয়েটির বাবা মেয়েকে বলল প্রতিবেশী বাক্সটি ফেরত চাচ্ছে তুমি বাক্সটি নিয়ে আস মেয়ে বাক্সটি নিয়ে আসল, পিতা মেয়েকে বলল দেখ মূল্যবান হারটি আছে কিনা, মেয়েটি সরলমনে বিসমিল্লাহ বলে বাক্সটি খুলে দেখল তাতে অত্যন্ত মূল্যবান ১টি হার মওজুদ আছে, েএটা দেখে হিন্দু পিতা আশ্চর্য্য হয়ে গেল আর নিজেই মুসলমান হয়ে গেল, আর মেয়েকে বলতে লাগল বেটি তুমি যখন থেকে মুসলমান হয়েছ আর প্রতি ক্ষণে ক্সনে যে বিসমিল্লাহ বল তা আমার সহ্য হত না তাই আমি এই বাক্সের ভিতর ১টি বিষাক্ত সাপ দিয়ে তোমাকে সায়েস্তা করার জন্য তোমাকে দিয়েছি এবং মিথ্যা বলেছি যে এতে একটি মূল্যবান হার আছে কিন্তু যখন আমি দেখলাম তোমার বিসমিল্লাহর বরকতে আল্লাহ তায়ালা সত্যি সত্যি এই সাপটিকে হারে পরিনত করে দিলেন তখন আমি বুঝতে পারলাম যে সত্যি সত্যি বিসমিল্লাহ খুবই মূল্যবান ওজিফা এবং ইসলাম সত্য ধম তাই আমি ইসলাম কবুল করে নিলাম।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেও সব কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ার তৌফিক দান করুন তাহলে আমাদের সব কাজে আল্লাহ বরকত দান করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.