আল্লাহর ওয়াদা। সুরা বাকারার ওজিফা । সব আশা পুরণ। সব দোয়া কবুল। সব অভাব দুর। সব সমস্যা সমাধান।
আল্লাহর ওয়াদা।
সুরা বাকারার ওজিফা । সব আশা পুরণ। সব দোয়া কবুল। সব অভাব দুর। সব সমস্যা সমাধান।
৩০ পারা কুরানের সবচেয়ে বড় আশার বাণী।
This Ayet
Will Change Your Life
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের
বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক
নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর
বান্দা ও তার রাসুল।
তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার।
হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত
নাজিল ফরমাও।
প্রিয়
বন্ধুরা আজ আমি পবিত্র ৩০ পারা কুরানের এমন ১টি আয়াত আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যে
আয়াতটি আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিবে, যে আয়াতটি আপনার মনের সব হতাশা সব দুঃখ সব
পেরেশানি মুহুর্তে দুর করে আপনার মনে এনে দিবে এক অনাবিল শান্তি যা আপনার সারা
জীবনের সব অশান্তি দুর করার জন্য যথেষ্ট, সব টেনশন খতম করার জন্য যথেস্ট।
আপনি যদি পারিবারিক, ব্যবসায়িক, সামাজিক, আর্থিক যে কোন পেরেশানিতে থাকে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে, তাই আজকের আলোচনাটি না টেনে শেষ পযন্ত অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে প্রতিটি লাইন শুনার অনুরোধ রইল।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা! হযরত আবু হুরায়রা (রা) বয়ান করেন তিরমিযি শরীফের হাদিস রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি এটা পছন্দ করেন যে কোন মসিবত দুঃখ ও বিপদে আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করুক, তার উচিত সু সময়ে সুখের সময় আরামের সময় আল্লাহ তায়ালাকে বেশী বেশী স্মরণ করা আল্লাহর কাছে বেশী বেশী দোয়া করা।।
অনেকে অভিযোগ করে দোয়া কবুল হয়না এর কারন হিসেবে হাফেজ ইবনে আসাকির লিখেন
১০টি
কারন
১)
আমরা আল্লাকে বিশ্বাস করি কিন্তু হকুম মানিনা
২)
আমরা রাসুলকে মহব্বত করি কিন্তু রাসুলের এত্তেবা করিনা
৩)
কুরআন পড়ি কিন্তু আমল করিনা
৪)
জান্নাত পছন্দ করি কিন্তু জান্নাতে রাস্তায় চলিনা
৫)
জাহান্নাম অপছন্দ করি কিন্তু জাহান্নামের রাস্তায় চলা পছন্দ করি
৬)
ইবলিশকে শত্রু ভাবি কিন্তু তার অনুসরন করি
৭)
মানুষকে দাফন করি নিজের মৃত্যুর কথা ভুলে যাই
৮)নিজের
ভায়ের দোষ তালাশ করি নিজের দোষ ভুলে যাই
৯)
সম্পদ জমা করি হিসাবের দিনের কথা মনে রাখিনা
১০)
কবর খনন দেখি তবুও আলিশান দালান বানাই।
হযরত
আতা (রহ) লিখেন- যখন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করে আমার কাছে দোয়া কর আমি তোমাদের দোয়া
কবুল করব, তখন সাহাবাগণ প্রশ্ন করল আমরা কখন দোয়া করব? তখন আল্লাহ তায়ালা
সাহাবাগনের এই প্রশ্নের জবাবে স্বীয় হাবিবকে বলেন -যখন আমার বান্দা আপনার কাছে
আমার ব্যপারে প্রশ্ন করে তখন বলে দিন আমি নিকটে আর যখন কোন দোয়াকারী দোয়া করে আমি
সে দোয়া কবুল করি।
২)দোয়ার
সময় পূণ আশার সাথে দোয়া করা,অর্থ্যাৎ এভাবে বলবেন হে আল্লাহ আমাকে রহমত দাও, আমাকে
বরকত দাও, এভাব দোয়া করবেন না যে হে আল্লাহ যদি তুমি চাও তাহলে আমাকে বরকত দিতে
পার, যদি তুমি চাও আমাকে রহমত দিতে পার।
৩)দোয়ার
সময় পূণ বিশ্বাস রাখতে হবে যে দোয়া কবুল হবে, কেননা আল্লাহ সে লোকের দোয়া কবুল
করেনা যে অলস ও অমনোযোগীতার সাথে দোয়া করে।
৪)
দোয়া কবুল হওয়ার সময়গুলিতে দোয়া করা, যেমন রাতের শেষাংশে, ফরয নামাজের পর
৫)
দোয়া কবুল হওয়ার দিন গুলিতে দোয়া করা, যেমন আরাফার দিন, রমজানে, জুমার দিন
৬)
দোয়ার সময় কেবলার দিকে মুখ করে দোয়া করা,
৭)
বেশী গলা ফাটিয়ে দোয়া না করা,
৮)
আগ্রহ ও ভয়ের সাথে দোয়া করা
৯)কাকুতি
মিনতির সাথে মনোযোগের সাথে দোয়া করা
১০)৩
/৩ বার করে দোয়া করা
১১)দোয়া
কবুল হওয়ার ব্যপারে তাড়াহুরা না করা
১২)দোয়া
কবুল হওয়ার জন্য বেশী জরুরী হল, গুনাহ থেকে তওবা করা, মানুষের কোন হক কবজ করলে তা
ফিরিয়ে দেয়া, কারো উপর জুলুম করলে তার কাছে মাফ চেয়ে নেয়া,
১৩)
দোয়া কবুলের আরো ১টি শত হল আল্লাহর আহকাম এর উপর আমল করা
১৪)
৩ জনের দোয়া দ্রুত কবুল হয় যেমন মা বাবার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং মজলুমের দোয়া
তাই মা বাবার দোয়া নেয়া, মুসাফিরের খেদমত করা এবং মজলুমের সঙ্গ দেয়া।
মনে রাখবেন বান্দা হিসেবে ৩০ পারা কুরআন থেকে সুরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াতটি আমাদের জন্য অনেক বড় সুসংবাদ অনেক বড় নেয়ামত
ওয়া ইজা সায়ালাকা ঈবাদি
আন্নী ফাইন্নী কারীবুন ঊযিবু দাওয়াতাদ্দাঈ ইজা দায়ানী ফাল ইয়াসতাজিবুলি ওয়াল
ইঊমিনুবি লায়াল্লাহুম ইয়ারশুদুন"
সূরা বাকারা: আয়াত ১৮৬।
অর্থাৎ
যখন আমার বান্দারা আমার সম্পরকে তোমাকে জিজ্ঞেস করব (তখন তাদের বলে দাও) আমি তাদের
কাছেই আছি। দু'আকারী যখনি আমার কাছে দু'আ করে তখনই আমি তা কবুল করি। সুতরাং তাদের
উচিৎ আমার আদেশ মান্ন করা এবং আমার প্রতি ঈমান আনা, যাতে তারা সরল পথ প্রাপ্ত হয়।
কোন মন্তব্য নেই