মহানবী (দ) কসম করে বলেছেন। ১টি আমল অবশ্যই কর।ধন সম্পদ বৃদ্ধির আমল অভাব দুর করার আমল

 মহানবী (দ) কসম করে বলেছেন। ১টি আমল অবশ্যই কর।ধন সম্পদ বৃদ্ধির আমল অভাব দুর করার আমল



তিরমিজি শরীফের ২৩২৫ নং হাদিস আবূ কাবশা আল-আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আমি তিনটি বিষয়ে শপথ করছি এবং সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি। তোমরা এগুলো মনে রাখবে। প্রিয় নবীর সে শপথ করা ৩ টি গুরুত্বপূণ কথা জানার আগে কয়েকটি কথা বুঝা দরকার-

মাল ও দৌলত একটি আল্লাহর নেয়ামত, তাই তা খরচ করার সময় চিন্তা করুন কোন ভুল জায়গায় খরচ হচ্ছে কিনা, যখন কামাই করছেন দেখুন কোন ভুল জায়গা থেকে কামাই করছেন কিনা? আল্লাহ তায়ালা মাল ও দৌলত দিয়েও বান্দাকে পরীক্ষা করেন, মাল ও দৌলত ছিনিয়ে নিয়েও পরীক্ষা করেন, অনেক সময় এমন সময় আপনার কাছে একজন লোক সাহায্যের জন্য এসে যাবে যখন আপনি নিজেই অভাবে অনটনে আছেন, আপনার পকেটে ২০ টাকা আছে, এমনই সময় আপনার কোন গরীব আত্মিয় সাহায্য চাইতে চলে আছে, কিংবা ছিড়া ফাটা কাপড় পরিধান করে কোন ফকির আপনার সামনে চলে আসে আর বলে আমাকে ২০টি টাকা দিন, তখন আপনি এমনটি ভাবনেননা যে আমার কাছে আছেই ২০ টাকা আমি একে কোথা থেকে দিব?

আপনি ২টি রুটি নিয়ে বসেছেন এমন সময় একজন এসে বলল ভাই আমাকে ১টি রুটি দিন তখন আপনি যদি চিন্তা করেন আমার কাছে মাত্র ২টি রুটি আছে ১টি যদি তাকে দিয়ে দিই আমার পেট কিভাবে ভরবে? এমন ভাবনা থেকে সে ফকিরকে কখনো ফিরিয়ে দিবেন না, মনে রাখবেন আজো আল্লাহ তায়ালা হযরত খিজির (আ) কে এমন ফকির ও মিসকিন এর সুরতে পরীক্ষা করার জন্য অনেককে পাঠান।

বনি ইসরাইলের ৩ ব্যক্তি অন্ধ, কুষ্টরোগ ও টাক মাথা ওয়ালাকে যেমন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা পাঠিয়ে পরীক্ষা করেছেন তেমনি আমাদেরকেও হযরত খিজির বা ফেরেশতা পাঠিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন, তারা তখনই আসেন যখন আপনি আমি নিজেই অভাবে থাকি, যখন নিজে মসিবতে থাকি অভাবে থাকি তখন আল্লাহর হকুমে তারা নিজেদের অভাবের অভিযোগ নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়,

তখন আপনি বুঝে নিন আল্লাহর তরফ থেকে আপনার উপর রহমত হওয়ার সময় এসেছে, আজ আপনি নিজে মসিবতে আছেন অভাবে আছেন এমন সময়ও যদি আপনি আর একজন অভাবীর মাথায় হাত রেখে দেন, অভাবীর অভাব দুর করেন আল্লাহ তায়ালা পরের মুহুর্তে আপনাকে মসিবত অভাব থেকে মুক্তি দান করবেন।

কখনো এই রাজকে ভুলবেন না, অথচ লোকেরা এমন অভাবীকে বলে দেয় ভাই এখন যানতো আমি নিজেই অভাবি তোমাকে কিভাবে সাহায্য করব? খবরদার সত্যি যদি আপনি অভাবে থাকেন সত্যি যদি আপনি নিজে মসিবতে থাকেন, সত্যি যদি আপনি নিজে ক্ষুধাথ থাকেন আর সে সময় আপনার কাছে কোন অভাবী ক্ষুধাথ চলে আসে তাহলে তাকে কখনো ফিরাবেন না। এটাই আপনার জন্য টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। কারন আল্লাহ সব কিছু জানেন তিনি আপনার অভাবের কথা জানেন, আপনার ক্ষুধার কথা জানেন আর সে সময়টাতেই যখন আরেক অভাবী আরেক ক্ষুধাথকে আল্লাহ আপনার সামনে পাঠিয়েছেন এর অথ এখন আপনার জন্য পরীক্ষা আর সে পরীক্ষার সময় যদি আপনি সে অভাবিকে কিছু না কিছু দিতে পারেন তাহলে আপনার জন্য সাফল্যের দরজা আল্লাহ খুলতে যাচ্ছেন।

সে জন্য নবী করিম (দ) ৩টি জিনিষ কসম করে বলেছেন এরশাদ করেছেন আমি কসম করে বলছি

(১) দান-খাইরাত করলে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। 

(২) কোন বান্দার উপর যুলুম করা হলে এবং সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই তার সম্মান বাড়িয়ে দেন।

(৩) কোন বান্দাহ ভিক্ষার দরজা খুললে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলাও তার অভাবের দরজা খুলে দেন 

অর্থ্যাৎ আপনি যদি ভিক্ষা করেন আল্লাহ আপনার অভাব আরো বাড়িয়ে দিবেন, ভিক্ষা করে আপনি কখনো অভাবমুক্ত হতে পারবেন না।

অতএব যারা চান মাল দৌলত বৃদ্ধী পাক তাতে বরকত হউক তাঁদের জন্য ১টাই কাজ তা হল সদা সবদা আল্লাহর রাস্তায় ফরয ও নফল সদকা করতে থাকা।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.