বেশী বরকত বেশী সন্তান বেশী সম্পদ লাভের দোয়া

 

বেশী বরকত বেশী সন্তান বেশী সম্পদ লাভের দোয়া



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,

সম্মানিত দশক শ্রোতা মন্ডলী আজ আমি এমন ১টি দোয়া আপনাদের সামনে তুলে ধরব যে দোয়াটি হযরত আনাস (রা) কে প্রিয় নবীজি দিয়েছেন, যে দোয়ার মাধ্যমে আমাদের ধন সম্পদে বরকত হবে, আমাদের সন্তান সন্ততিতে বরকত হবে আমাদের রুজি রোজগারে বরকত হবে, আমাদের মাল ও দৌলতে বরকত হবে, আমাদের যা কিছু আছে সব কিছুতে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করবেন, চাকরী থাকলে চাকরিতে বরকত দিবেন, ব্যবসা থাকলে ব্যবসায় বরকত দিবেন, কৃষি কাজ থাকলে কৃষিতে বরকত দিবেন, খামার থাকলে খামারে বরকত দিবেন, দোয়াটি শিখতে হলে শেষ পযন্ত অবশ্যই শুনতে হবে,

আমাদের উচিত নিজের জন্য নিজে দোয়া করা কিংবা অন্যের মাধ্যমে দোয়া করানো, সাহাবাগন নবীর কাছে দোয়া চাইতেন, আগের যুগে মানুষ বুযুগানে দ্বীনের কাছে দোয়া চাইতেন এখনকার মানুষ সেলফি চায় যা বড়ই আফসোসের বিষয়,

হযরত মুহাম্মদ ইয়াযিন ওয়াসেতী যিনি ছিলেন মুসতাজাবুদ দাওয়াত িযার দোয়া কবুল হত, তিনি হাদিস শাস্ত্রের একজন দক্ষ আলেম ছিলেন, তিনি ১৯০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন, তাঁর ইন্তেকালের পর এক বুযুগ তাঁকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলেন (মা ফালাল্লাহু বিকা) আল্লাহ আপনার সাথে কিরুপ আচরন করেছেন? তিনি বললেন একবার জুমার দিন আসরের নামাজের পর হযরত আবু আমর বসরী (রহ) আমাদের এলাকায় এসেছিলেন। তারপর আসরের নামাজের পর তিনি দোয়া করেছিলেন সে দোয়াতে আমি শরিক হয়ে আমিন বলেছিলাম আর আল্লাহর অলির সাথে দোয়াতে আমিন বলার কারনে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।(মাউসুআতুল ইমাম ইবনে আবিদ দুনিয়া ৩য় খন্ড ১৫৬ পৃ, রহমত ১০৯ পৃ)

সব দোয়াতে শরীক হওয়ার চেষ্টা করবেন

সে জন্য যখনই কোন আল্লাহ ওয়ালাকে পাবেন কিংবা কোন জায়গায় যাবেন কোন মজলিশে মাহফিলে যাবেন চেষ্টা করবেন দোয়াতে অংশ গ্রহণ করার এবং সে দোয়াসমুহে আমিন বলবেন, কারন কোথায় কোন আল্লাহর মকবুল বান্দা লুকিয়ে আছেন বলা যায়না, তাই যখনই মসজিদে আসবেন দোয়াতে শরিক হবেন আর আমিন বলবেন, হতে পারে ১টি আমিন যদি কবুল হয় আপনার বেড়া পার হয়ে যাবে।

আলা হযরত (রহ) আল্লাহ ওয়ালাদের দ্বারা মাগফেরাতের দোয়া

আলা হযরত (রহ) হজ্বে গেলে মিনার মসজিদে মাগরীবের পর বসে বসে জিকির করছিলেন, সে মসজিদে তখন শুধু ১ জন লোককে দেখতে পেলেন যিনি বসে বসে ওজিফা পড়ছিলেন, মসজিদে আর কেহ ছিলনা, হঠাৎ মৌমাছির গুঞ্জনের মত আওয়াজ শুনতে পেলেন, আলা হযরত বলেন আমার হঠাৎ একটি হাদীস মনে পড়ল যে আল্লাহ ওয়ালাদের কলব থেকে মৌমাছির গুঞ্জনের ন্যায় শব্দ বের হয়। আমি তখন বুঝতে পারলাম উনি আল্লাহর অলি তাই উনার দিকে এই নিয়তে যেতে লাগলাম যেন উনাকে বলি আমার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করেন, আমি যখন উনার নিকট গেলাম উনাকে আমি কিছু বলার আগেই তিনি ৩ বার আমার জন্য দোয়া করলেন (আল্লাহুম্মাগফির লি আখি হাজা) অর্থ্যাৎ আমার এই ভাইকে তুমি ক্ষমা কর। আমি বলার আগেই তিনি আমার মনের মত দোয়াটি করে দিলেন। (মালফুযাতে আলা হযরত ৪থ খন্ড৪৮৯ পৃ/ রহমত ১১০ পৃ)

আমাদেরও উচিত যে কোন বুযুগ আল্লাহ ওয়ালার মাধ্যমে নিজেদের জন্য দোয়া করানো।

আনাস (রা) এর জন্য নবীর দোয়া

হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা, (একবার) আমার মা আমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই ছোট খাদেম আনাস। আপনি তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বলে দোয়া করলেন-

اللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ، وَبَارِكْ لَهُ فِيمَا أَعْطَيْتَهُ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাকছির মালুহু ওয়া ওয়া ওয়ালাদুহু ওয়া বারিক লাহু ফিমা আত্বাইতাহু। (বুখারি ও মুসলিম)

 

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দিন। আর আপনি তাকে যা (রিজিক/জীবিকা ও নেয়ামত) দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন।

সুতরাং আপনার কাছে যদি কেহ দোয়া চায় তখন আপনি এভাবে দোয়া করবেন - আর

হাদিসের অনুকরণে আপনি যদি  নিজের জন্য দোয়া করতে চান নিজের বরকতের জন্য তখন এভাবে বলবেন-

اَللهُمَّ أكْثِرْ مَالِىْ وَ وَلَدِىْ وَ بَارِكْ لِىْ فِيْمَا أعْطَيْتَنِىْ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাকছির মালি, ওয়া ওয়ালাদি, ওয়া বারিকলি ফিমা আত্বায়তানি


অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার সম্পদ বাড়িয়ে দিন, আমার সন্তান বাড়িয়ে দিন। আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দান করুন।

 

আর মনে রাখবেন দোয়া যত বেশী করবেন আল্লাহ তত বেশী খুশি হবেন, দোয়া না করলে আল্লাহ কাছে না চাইলেই আল্লাহ রাগ করেন, তাই বান্দা হিসেবে আমাদের সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, দুনিয়া আখেরাতের কল্যানের দোয়া করা উচিত, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন আমিন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.