আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক ২১ বার পড়লে কি হয়? সুরা আলাম নাশরাহলাকা সাদরাকা এর ওজিফা

 

আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক ২১ বার পড়লে কি হয়? আলাম নাশরাহলাকা সাদরাকা এর ওজিফা


 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য, তিনিই নেক লোকদের বন্ধু। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদে বরহক নাই। তিনি এক তার কোন শরিক নাই। তিনিই সব মাখলুকাতের মাবুদে বরহক। আর আমি এটাও সাক্ষী দিচ্ছি আমাদের নবী (দ) আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল।

তিনি তামাম আম্বিয়া কেরাম ও রাসুলদের সরদার। হে আল্লাহ নবীর উপর তার আহলে বায়ত ও তামাম সাহাবায়ে কেরামের উপর রহমত সালামতি ও বরকত নাজিল ফরমাও।

আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা!

আজ যে ওজিফা আপনাদের কাছে নিয়ে হাজির হয়েছি, তা আলাম নাশরাহ লাকা সাদারাকা বিষয়ক।যদি আপনি এই আমল করেন তাহলে অফুরন্ত খুশি আপনার নসিব হবে। এই আমলকারী কখনো কারো মুহতাজ হয়না। আল্লাহ তায়ালা এর দ্বারা সকল প্রকার পেরেশানিকে খতম করে দেন। চাই তা ডিপ্রেশন বিষয়ক হউক, কোন বাঁধা বিপত্তির ব্যপারে হউক, বাচ্চাদের লেখা পড়ার ব্যপারে হউক, পরীক্ষা, পড়া মুখস্থ না হওয়া, হেফজ না হওয়া সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধান আল্লাহ তায়ালা এই বা বরকত ওজিফার কারনে দুর করে দেন। যদি কোন বিপদ থাকে দুর হয়ে যাবে, কোন রোগ থাকলে দুর হয়ে যাবে, যে কোন কারনে যদি আপনি পেরেশান থাকেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা এর বরকতে সাহায্য ফরমান। যদি ব্যবসা বানিজ্যের কোন বিষয়ে পেরেশান হয়ে থাকেন আর যদি এই আমল করেন ইনশা আল্লাহ আপনার ব্যবসা বানিজ্যও লাভজনক হবে। যে লোক এই ওজিফা করেন আর নিয়মিত করেন, আল্লাহ তায়ালা তার দুঃখকে দুর করে দেন। আর জিন্দেগীতে সুখ শান্তি নেমে আসে।

সুরা আলাম নাশরাহ কুরআনে পাকের অনেক সুন্দর একটি সুরা, এর ওজিফা আপনি কিভাবে করবেন তার মুকাম্মাল তরিকা আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের জন্য জিকির করব।

এই ওজিফার ব্যপারে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাদের কাছে এলতেমাছ, আলোচনাটি শেষ পযন্ত অবশ্যই দেখবেন।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমল বহুত লা জাওয়াব। একে তেম-নি আপনি করবেন যেমনটি আমি বলব প্রথমে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আমল বলব তারপর অন্যান্যদের জন্য আমল বলব-

যে সব ছাত্র ছাত্রী স্কুল মাদ্রাসা বা হেফজ খানায় পড়ে তারা যেন তাদের পড়ালেখায় ভালো পারফম করতে পারে, হেফজ শক্তি ভালো হয়, পরীক্ষায় ভালো র্মাক তুলতে পারে

তার জন্য আলাম নাশরাহ লাকা সাদরাক সুরাটি বাচ্চাকে মুখস্থ করিয়ে দিবেন, যদি তার মুখস্থ করার বয়স হয়, সে বাচ্চা যখনই পড়তে বসবে চাই স্কুলে হউক, কিংবা টিউশনে হউক, চাই হোম ওয়াক করুক, সে আলাম নাশরাহ লাকা সাদরাকা সুরাটি পড়ে বুকে ১ বার ফুক দিবে, আমরা দেখেছি বাচ্চার স্মরণ শক্তিতে ইমেজিং পাথক্য চলে আসে। যে সব ছাত্র হেফজ করে তারা অবশ্যেই এই আমল করবে, আমরা হেফজ বিভাগের অসংখ্য ছাত্রদেরকে এই আমলটি শিখিয়েছি এবং দেখা গেছে যারা হেফজ করে ভুলে যায় এমন ছাত্ররা এই আমলটি করার পর আর ভুলে না। তেমনি যে সব ছাত্র ছাত্রীর মুখস্থ শক্তি ভালোনা তারাও এই আমলটি করবেন তাহলে অবশ্যই নিজ চোখে এর রেজাল্ট দেখতে পাবেন।

২য় আমল হল প্রথমে ৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন, যে কোন দরুদ শরীফ পড়তে পারেন, তবে চেষ্টা করবেন দরুদে ইবরাহিমি পড়ার, এরপর ২১ বার সুরা আলাম নাশরাহ লাকা সাদরাকা পড়বেন অবশ্যই এই সুরার অর্থের দিকে গভির চিন্তা করবেন, ২১ বার পড়ার পর পুনরায় ৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ

আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?

وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ

আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,

الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ

যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ

وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি

فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে

فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ

অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন

وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ

এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন

এভাবে অথের দিকে খেয়াল করে করে ২১ বার পড়বেন দরুদ পড়বেন তারপর

নিজ ভাষায় দোয়া করবেন। তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়বে, মানসিক অশান্তি দুর হবে, মানসিক চাপ দুর হবে, সকল পেরেশানি দুর হয়ে মনে শান্তি ফিরে আসবে।

যারা হাটের রোগী তারা বুকের উপর হাত রেখে এই আমল করবেন, আর যারা মানসিক চাপে থাকতে থাকতে হতাশ হয়ে গেছেন তারা মাথায় হাত রেখে এই আমল করবেন। ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা কতিথ সকল সমস্যা সমাধান করে দিবেন, এই আমল নিয়মিত করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.