রজব মাসে ২টি আমল- পয়সা দ্বিগুণ হবে সব দোয়া কবুল হবে

 

রজব মাসে ২টি আমল- পয়সা দ্বিগুণ হবে  সব দোয়া কবুল হবে



হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসূল (সা.)-এর সামনে এই আয়াত তিলাওয়াত করলাম- হে মানবজাতি, পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তোমরা তা আহার করো ...। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে মুসতাজাবুদ-দাওয়া (যার দোয়া কবুল হয়) হওয়ার দোয়া করে দেন। নবীজি (সা.) বললেন, হে সাদ! হালাল ও পবিত্র খাবার খাবে তাহলে তুমি মুসতাজাবুদ-দাওয়া হয়ে যাবে। ঐ সত্ত্বার কসম যার হাতে মোহাম্মদের প্রাণ! প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি নিজের পেটে হারাম খাবার দিয়ে দিয়েছে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার ইবাদত কবুল হবে না।

আজ প্রায়ই অনেকের মুখে অভিযোগ শোনা যায়- এত দোয়া করছি, তারপরও তো আমাদের অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে না! অথচ একটু চিন্তা-ফিকির করলেই দেখা যাবে, আমাদের সমাজ জীবনে হালাল উপার্জনের চিন্তা কতটুকু আছে? বলতে গেলে প্রায় শূণ্যের কোটায় আমাদের হালাল-হারাম বেঁচে চলার মানসিকতা।

নবীজি (সা.) বলেছেন, মানুষের এমন এক কাল অতিক্রম করবে, যাতে মানুষ এ কথার চিন্তা করবে না, যে সম্পদ উপার্জন করা হচ্ছে তা হালাল নাকি হারাম? (মিশকাত)

অবৈধ উপায়ে উপার্জিত সম্পদ পুরাই ধ্বংস। কোনো কল্যাণ নেই এতে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, যে বান্দা হারাম সম্পদ অর্জন করে, যদি তাকে সদকা করে দেয় তবে তা কবুল হবে না। আর যদি খরচ করে তাহলে তাতে বরকত নেই। মৃত্যুর পর রেখে গেলে তবে জাহান্নামে যাওয়ার উপকরণ। (মুসনাদে আহমদ)

যখন মানুষ হালাল খাবারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। ধৈর্য, অল্পেতুষ্ঠি, যুহদ (দুনিয়া অনাসক্তি), অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া, লোভ-লালসা এবং বিলাসিতা পরিহার এগুলোকে তোয়াক্কা করে না, তখন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ বরকত শেষ হয়ে যায়। যার দরুন বেশিও অল্প মনে হয়। এ ধরনের ব্যক্তির যদি কারুনের ভান্ডারও মিলে যায়, সেটাকেও সে নিতান্ত কম মনে করবে। এটাই কারণ যে, সে যখন এই অবৈধ সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় দান-খয়রাত করে তখন তা কবুল হয় না। তা ছাড়া হারাম ব্যাংক-ব্যালেন্স যতক্ষণ পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে ততক্ষণ তার জন্য দোজখের রাস্তা সুগম হতে থাকে।

হারাম সম্পদ কম আর বেশি নয়, এর থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা একমাত্র হালাল খাবার দ্বারাই সমাজজীবন ঠিক থাকে। দোয়া কবুল হয়। সবকিছুতে বরকত হয়।

আপনার সবকিছুর ব্যপারে ১টি প্রশ্ন হবে কিন্তু আপনার রুজি রোজগারের ব্যপারে ২টি প্রশ্ন হবে বলা হবে এই সম্পদ তুমি কিভাবে উপাজন করেছ? আর কোন রাস্তায় খরচ করেছ? সুতরাং উপাজনও করতে হবে হালাল পন্থায় খরচ করতে হবে হালাল রাস্তায়। তাহলে আপনার এই হালাল উপাজন অল্প হলেও তাতে এত বরকত হবে আপনার কাছে দ্বিগুন মনে হবে। পক্ষান্তরে হারাম উপাজন বেশী হলেও দ্বিগুন হলেও তা আপনার কাছে খুব অল্প দেখাবে।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.