চলতে ফিরতে সন্তানকে এ দোয়া অবশ্যই দিবেন। ছেলে মেয়ের ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া।
চলতে ফিরতে সন্তানকে এ দোয়া অবশ্যই দিবেন। ছেলে মেয়ের ভাগ্য পরিবর্তনের দোয়া।
সাহাবী এসে বলে এয়া রাসুলাল্লাহ
এ আমার ছেলে তার এই এই বিষয়ের বদ অভ্যাস আছে, এয়া রাসুলাল্লাহ আপনি তার জন্য একটু দোয়া
করে দিন। নবী করিম (দ) সে ছেলেটির সিনার উপর হাত রেখে দোয়া করে দিলেন হে আল্লাহ তার
সিনাকে তুমি পাক সাফ করে দাও, তার গুনাহ সমুহ মাফ করে দাও। আল্লাহর রাসুল (দ) এমন ভাবে
দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তায়ালার সামনে বসে বসেই দোয়া করছেন।
হুজুর (দ) সে লোককে এমন বলেন
নি যে তুমি এই আমল কর, এই ওজিফা করতে থাক, নবীজির এমন সরাসরি দোয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে,
যেমন দোয়া করেছেন হে আল্লাহ এর অন্তরকে দুনিয়ার মহব্বত থেকে পাক সাফ করে দাও, হে আল্লাহ
একে তুমি নিরাপত্তা দান কর। সিনার উপর হাত রেখে দোয়া করেছেন হে আল্লাহ এর দিলকে এলম
এর নুর দ্বারা আলোকিত করে দাও। (আল্লাহুম্মা ফাক্কিহু ফিদ দিন) হে আল্লাহ একে দ্বীনের
গভীর জ্ঞান দান কর। প্রিয় নবী এমন ভাবেই দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তায়ালাকে দেখতে পাচ্ছেন।
একদিন এক সাহাবী হুজুর (দ) এর
কাছে অভিযোগ করল এয়া রাসুলাল্লাহ আমার এই ছেলেটির জন্য দোয়া করুন সে মানুষের বাগানে
ঢুকে গাছের ফল পেরে খেয়ে ফেলে, তখন হুজুর (দ) তাকে কোছে ডাকলেন আর বুঝালেন এভাবে অপরের
ফল খাওয়া হারাম, তারপর হুজুর (দ) তার সিনাতে হাত রেখে দোয়া করলেন হে আল্লাহ এর দিলকে
পাক করে দাও এর অতিরিক্ত ক্ষুধাকে দুর করে দাও, এই দোয়া করার পর সে বাচ্চা আর কোন দিন
কারো বাগানে হাত বাড়ায়নি। এভাবে আল্লাহর নবী যেমন আল্লাহর কাছে সরাসরি দোয়া করতেন,
ঠিক তেমনি ভাবে আপনিও নিজের ঘরে
এই প্রেকটিস করুন, আপনার বাচ্চাদের চলতে ফিরতে দুয়া দিতে থাকুন, যেটাই বাচ্চার মধ্যে কম সেটার জন্য আল্লাহকে বলুন,
চলতে ফিরতে বলুন হে আল্লাহ আমার এই বাচ্চাটাকে তুমি ভদ্র নম্র করে দাও, হে আল্লাহ আমার এই বাচ্চাটাকে পড়ালেখায় মনোযোগি
করে দাও, হে আল্লাহ আমার বাচ্চাটাকে নেক বানিয়ে দাও, হে আল্লাহ আমার বাচ্চাকে সুস্থতা
দান কর, হে আল্লাহ আমার বাচ্চাকে জ্ঞান বুদ্ধি বাড়িয়ে দাও, এভাবে বলুন যেন আল্লাহ আপনার
সবচেয়ে কাছে আছেন, সে জন্য সব সময় ঘরে এমন ভাবে দোয়া করবেন যেন সামনে আল্লাহ তায়ালা
মওজুদ আছেন। আর আমরা দোয়া করার সময় পায় না কারন আমরা মনে করি আল্লাহ অনেক দুরে, অথচ
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন (ফাইন্নি করিব) নিশ্চয়ই আমি নিকটে। (উজিবু দাওয়াতাদ দাঈ) আল্লাহ
দোয়া কারীর দোয়ার জবাব দিয়ে থাকেন।
সে জন্য সদা সবদা আল্লাহর কাছে
হাটতে বসতে বলতে ফিরতে নিজের জন্য নিজের ঘরের লোকদের জন্য সন্তানদের জন্য দোয়া করতে
থাকুন, কারন মা বাবার দোয়া সন্তানের জন্য আল্লাহ তায়ালা খুব দ্রুত কবুল করেন। এর জন্য
আপনাকে কোন ওজিফা করার দরকার নাই, আরবীতে বলার দরকার নাই বরং আপনি নিজের ভাষাতেই আল্লার
কাছে সন্তানের কল্যানের ব্যপারে বলুন যেন আপনি আল্লাহকে সামনে দেখতে পাচ্ছেন। আল্লাহর
কাছে চাইতে থাকাই হল বান্দার কাজ। এর ফলে মকসদে জিন্দেগীর রহস্য ভেদ হয়ে যাবে। ইনশা
আল্লাহ। আপনার সন্তান এর পরিবতন আপনি নিজ চোখে দেখতে পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই