সুখবর! সকাল সন্ধ্যার আমল। রিজিকে বরকতের আমল। আমলে বরকতের আমল।
সুখবর!
সকাল সন্ধ্যার আমল। রিজিকে বরকতের আমল। আমলে বরকতের আমল।
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম, সম্মানিত সুধী বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহামাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
আজ ফযর
ও আসরের সময় রিযিকে বরকত ও আমলে বরকতের এমন আমলের কথা বলব যেটি সহীহ বুখারীর
৫৫৫নং ও মুসলিম এর ৬৩২ নং হাদিসে বর্ণিত আছে
আবূ হুরায়রাহ্
(রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের
কাছে রাতে একদল ও দিনে একদল ফেরেশতাগণ আসতে থাকেন। তারা ফজর ও ‘আসরের ওয়াক্তে মিলিত হন। যারা তোমাদের কাছে থাকেন তারা আকাশে উঠে
গেলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের কাছে (বান্দার) অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করেন, যদিও তিনি তাদের সম্পর্কে অধিক অবগত। বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কী অবস্থায়
রেখে এসেছো? উত্তরে ফেরেশতারা বলেন, হে আল্লাহ! আমরা আপনার বান্দাদেরকে নামাজ আদায়ে
রত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। আর যে সময় আমরা তাদের কাছে গিয়ে পৌঁছেছি তখনও তারা নামাজ আদায়
করছিল। (বুখারী ও মুসলিম)
এ হাদিসের
ব্যাখ্যায় হাদিসবেত্তা গন লিখেন
নামাজই
যে সর্বোচ্চ ‘ইবাদাত তা এ হাদীস দ্বারা
জানা যায়। কারণ এ ‘ইবাদাতটির ব্যাপারে আল্লাহ
এবং ফেরেশতাদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর হয়। আরো জানা যায় যে, (ফজর) এবং ‘আসরের নামাজ অন্যান্য নামাজ থেকে বেশি মর্যাদাপূর্ণ। কারণ এ দু’ ওয়াক্ত নামাজে ফেরেশতাদের দু’টি দল
একত্রিত হন। অন্য নামাজ গুলোতে একদল ফেরেশতা থাকে। আরো বর্ণিত আছে, (ফজরের) নামাজের
পর রিযক্ব বা (জীবিকা) বণ্টিত হয় আর দিনের শেষে ‘আমলসমূহ
আল্লাহর নিকট উঠিয়ে নেয়া হয়। তাই যে ব্যক্তি ঐ সময় দু’টোতে আল্লাহর আনুগত্যমূলক কাজে লিপ্ত থাকবে তার রিযক্ব এবং ‘আমলে বারাকাত
দেয়া হবে।
অতএব সমস্ত
ফেরেশতাগন যেন আপনার পক্ষে সাক্ষি দেন আপনার রিযিকে যেন বরকত হয় আপনার আমলে যেন বরকত
হয় সে জন্য ফজর ও আসরের নামাজ জামায়াত সহকারে আদায় করবেন এবং এই দুই নামাজের পর কিছুক্ষণ
জিকির আযকার, মাসনুন দোয়া ও দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।
সকাল সন্ধ্যার
যে সব মাসনুন দোয়া আছে সেগুলি পড়বেন, নামাজের পর যে সব মাসনুন দোয়া ও জিকির আছে সেগুলি
পড়বেন, ইনশা আল্লাহ আপনার আমলে ও রিযিকে অফুরন্ত বরকত হবে।
কোন মন্তব্য নেই