রমজানের ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তারিখের সেরা ওজিফা। শবে কদরের আমল।
রমজানের ২১,২৩,২৫,২৭,২৯ তারিখের সেরা ওজিফা। শবে কদরের আমল।
মসজিদে নববীর একজন ক্বারী ছিলেন যিনি মসজিদে নববীতে মানুষকে কুরআন শিখাতো,
তার মুখ থেকে খুশবু বের হত, উনার সাগরেদরা প্রায় সময় প্রশ্ন করত যে হুজুর আপনার মুখ
থেকে এত খুশবু বের হয় কেন? তিনি প্রায় সময় এর রহস্য এড়িয়ে যেতেন একবার এক ছাত্র নাছোড়
বান্দা যে হুজুরের পিছেই পরে গেল, বার বার হুজুরকে বিরক্ত করত হুজুর আপনার মুখে এত
সুন্দর খুশবু হয় এর রহস্য কি? আপনি কি মুখে এলাচি রাখেন? অবশেষ হুজুর সাগরেদ এর পীরাপিরিতে
বলেই দিল
তিনি বলেন আমি প্রতিদিন মসজিদে নববীতে কুরআন পড়াই এবং আমি রাত্রে যখন
ঘরে থাকি তাহাজ্জুদের সময় উঠেও আমি কুরআন পাঠ করি, একদিন রাতে আমি কুরআন পড়ে ঘুমিয়ে
গেলাম তখন হুজুর (দ) স্বপ্নে আমার কাছে এসে বললেন তুমি এত সুন্দর কুরআন পড় আর পড়াও
তাতে আমি তোমার প্রতি খুবই সন্তুষ্ট এ কথা বলে হুজুর (দ) আমার মুখে চুিমু দিলেন আর
সেদিন থেকে আমার জবান থেকে এই সুন্দর খুশবু বের হয়।
সুতরাং যারা বেশী বেশী কুরআন পড়েন এবং যারা কুরআন পড়ান নবী করিম (দ)
তাদের উপর স্নতুষ্ট হন এবং তাদেরকে স্বপ্নে দেখাও দেন।
যেহেতু রমজান কুরআনের মাস তাই এই মাসে অপ্রযোজনীয় সকল কাজ ছাড়তে হবে
এবং খুব বেশী বেশী কুরআন পড়তে হবে, আর অণ্য সব ওজিফা বাদ দিয়ে রমজান মাসে শুধু কুরআন
পড়ার মধ্যে মুবতালা হয়ে যাবেন, ঘরের নারীরাও কুরআন পড়বেন, পুরুষেরাও কুরআপন পড়বেন, বাচ্চারাও কুরআন পড়বেন, বৃদ্ধরাও কুরআন পড়বেন, যত
বেশী পড়তে পারেন পড়বেন,
সুরা ফাতির ২৯-৩০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَّن تَبُورَ
যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি,
তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে
না।
কুরআন পড়তে পড়তে আপনি শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে যাবেন যেমন
তিরমিযি শরীফেল ২৯০৯ নং
হাদিস
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ "
আলী (রাযিঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে লোকই
তোমাদের মধ্যে উত্তম যে কুরআন শিক্ষা করে এবং তা অন্যকে শিখায়।
যারা এতদিন পড়তে পারেন
নি তারা আগামী শবে কদরের ২১,২৩,২৫,২৭,২৯রমজানে আর কোন এবাদত করতে না পারলেও অন্তত
কুরআন তেলাওয়াত করবেন। আর কুরআন তেলাওয়াত করতে করতে যদি চোখের পানি বের হয় সে চোখ
জাহান্নামের আগুনে স্পশ করবেনা।
আর
যারা কুরআন পড়তে পারেন না তারা সুরা এখলাস ৩ বার পড়লে ১ খতমের সাওয়াব পাবেন ২০০
বার পড়লে জান্নাতে ১টি মহলের মালিক হবেন ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ
তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই