রমজানের ৩০ রোজার ৩০ ফজিলত দোয়া ও আমল

 

রমজানের ৩০ রোজার ৩০ ফজিলত দোয়া ও আমল

 


(আ্ততারগীব ওয়াত্তারহিব, ২য় খন্ড, ২০ পৃ)

 

১। রমজানের প্রতিটি মুহুত রহমতে ভরপুর

২। এ মাসের সাওয়াবও বেশী প্রতিটি নফল ফরযের সমান প্রতিটি ফরযের সাওয়ার ৭০ গুণবৃদ্ধি করা হয়

৩। রমজানে রোজাদারের ঘুমও এবাদত হিসেবে গন্য হয়

৪। আরশবাহী ফেরেশতারা রোজাদারের দোয়ার উপর আমিন বলে

৫। রমজানে রোজাদারের জন্য সমুদ্রের মাছগুলো ইফতারের সময় পযন্ত মাগফেরাতের দোয়া করে

 

(কানযুল উম্মাল ৮ম খন্ড, ২০৯ পৃ)

৬। রোজা হচ্ছে এবাদতের দরজা

 

৭। এই মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে (শাহরু রামদানাল্লাজি উনজিলা ফিহিল কুরআন) (বাকারা ১০৫)

৮। রমজান অথ জ্বালিয়ে ফেলা, যেহেতু এই মাসে গুনাহ সমুহ রোজার বরকতে জ্বলে যায় তাই এর নাম রমজান রাখা হয়েছে

 

হযরত আবু সাঈদ খুদুরী হতেবর্ণিত- নবীজি ফরমান

শুআবুল ঈমান ২য় খন্ড ২১৪ পৃ

৯। রমযানের প্রথম রাত এলে রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয়

১০। এ মাসের রাতে যে নামাজ পড়ে তার প্রতি সিজদার বদলায় (১) ১৫০০ নেকি লিখা হয়, (২) জান্নাতে ১টি লাল মহল তৈরী করা হয় (৩) যে মহলে ৬০ হাজার দরজা থাকবে (৪) প্রতিটি দরজার কপাট হসে স্বর্ণের

১১। যে রমজানের ১ম রোজা রাখবে তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা মাগফিরাতের দোয়া করবে

১২। রমজানে রাতে ও দিনে  প্রতি সিজদার বিনিময়ে ১টি করে গাছ দান করা হবে যে গাছের ছায়া অতিক্রম করতে একজন অশ্বারোহির ৫০০ বছর লাগবে।

 

হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ হতে বর্ণিত- নবীজি ফরমান

আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২য় খন্ড ২০ পৃষ্ঠা

 

১৩।রমজান এর প্রথম রাতে আল্লাহ বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান আর যার দিকে রমহতের দৃষ্টিতে তাকান তাকে কখনো আযাব দিবেন না

১৪। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মুশকের চেয়েও বেশী খুশবুদার হয়

১৫। রমজানে ফিরিশতারা রোজাদারের জন্য দিন রাত মাগফিরাতের দোয়া করে

১৬। জান্নাতকে রোজাদারের জন্য সুসজ্জিত করা হয়

১৭। রমজানের শেষ রাতে সকলকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন।

 

সহি ইবনে খোযায়মা ৩য় খন্ড ১৯০ পৃষ্ঠ

১৮। নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যদি বান্দাগন জানত রমজানের কি ফজিলত তাহলে তারা আকাংখা করত গোটা বছর রমজান হওয়ার।

১৯। রমজান এমন এক মাস যাতে শবে কদর আছে আর যে রাতে এবাদত করলে হাজার মাস এবাদতের সাওয়াব পাওয়া যায়

২০। নবী করিম (দ) ফরমান রমজান মাসে মুমিনের জীবিকা বৃদ্ধি করা হয়

২১। রমজানে যে রোজাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তাকে হওযে কাউসারের পানি পান করাবেন ফলে সে আর পিাপাসার্ত হবেনা

২২। যে রমজানে তার কমচারীর কাজের বোঝা কমিয়ে দিবে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন

২৩। কিছু সংখ্যক আলিম বলেন যদি কোন মুসলমান রমজানে মৃত্যুবরণ করে তাকে কবরে প্রশ্ন করা হয়না।

২৪। এ মাসে শয়তানকে বন্ধী করে রাখা হয়, দুযখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়।

২৫। নবী করিম (দ) রমজান মাসে কয়েদীদের মুক্ত করে দিতেন, প্রত্যেক ভিখারিকে দান করতেন।

২৬। পবিত্র কুরআনে ১২টি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র রমজান মাসের নাম উল্লেখ আছে, নারীদের মধ্যে বিবি মরিয়াম, সাহাবাদের মধ্যে যায়েদ বিন হারেসার নাম আছে

২৭। রমজান মাসে ইফতার ও সেহরীর সময় দোয়া করলে তা কবুল হয়

 


২৮। ৪টি ওজিফা ও দোয়া বেশী বেশী কর (১) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ প্রতিদিন ১০০ বার পড়বেন (২) আসতাগফিরুল্লাহ কমপক্ষে ৭০ বার পড়বেন, (৩) জান্নাত তালাশ করা (৪) জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নার)

হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে জান্নাত প্রাথনা করি জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাই। প্রতি রমজানে এই ৪টি দোয়া ও জিকির করা মিস করবেন না।

২৯। রোজা হচ্ছে শরীরের যাকাত, ইবনে মাজাহ ২য় খন্ড ৩৭৪ পৃষ্ঠার হাদিস হুযুর পুরনুর (দ) এরশাদ করেন প্রতিটি বস্তুর যাকাত আছে শরীরের যাকাত হল রোযা। আর রোযা হচ্ছে ধৈর্য্যের অর্ধেক।

৩০।প্রত্যেক নেকির প্রতিদান আছে, আর রোজা এমন এক এবাদত যার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.