অফুরন্ত বরকতের আমল। রিজিক বৃদ্ধির আমল। রমজানের আমল।

 ৩০ রোজায় অফুরন্ত বরকতের সহজ আমল।



আজকে  মিশকাত শরীফের ১৯৬৫ নং হাদিসের আলোকে এমন ১টি আমল বননা করব যে আমলটি রমজান মাসে প্রত্যেকে করতে পারেন, ধনীরাও করতে পারেন, গরীবরাও করতে পারেন, আর এই আমল করতে কোন কষ্ট নাই কিন্তু কি পরিমান প্রতিদান তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা, যেমন

এই আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে, কুরআন না পরেও রাত দিন কুরআন পড়ার সাওযাব পাবেন, হাদীস না পরেও রাত দিন হাদিস পড়ার সাওয়াব পাবেন, তাহাজ্জুদ না পরেও তাহাজ্জুদ পড়ার সাওয়াব পাবেন,

এমন মূল্যবান আমলটি জানতে হলে অবশ্যই শেষ পযন্ত অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পুরা হাদিসটি শুনবেন

হযরত সালমান আল ফারিসী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, শাবান মাসের শেষ দিনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদেরকে ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বারাকাতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার মধ্যে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ এ মাসের রোজা ফরয করেছেন

আর এ মাসে রাতে কিয়ামকে নফল করে দিয়েছেন । যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করেন, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয সম্পাদন করল।

(সুতরাং আপনি যদি রমজানে তারাবি পড়েন তার সাওয়াব পাবেন ফরযের মত, আর যদি ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাজ পড়ের তার সওয়াব পাবেন ৭০ গুন বেশী)

(এরপর প্রিয় নবীজি (দ) ফরমান-) এ মাস সবরের (ধৈর্যের) মাস; সবরের সাওয়াব জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার মাস। এটা এমন এক মাস যাতে মুমিনের রিযক বৃদ্ধি করা হয়।

যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, এ ইফতার তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, হবে জাহান্নামের অগ্নিমুক্তির উপায়। তার সাওয়াব হবে রোজাদারের অনুরূপ। অথচ সায়িমের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না।

আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সকলে তো রোজাদারকে ইফতারীর আয়োজন করতে সমর্থ নয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সাওয়াব আল্লাহ তাআলা ঐ ইফতার পরিবেশনকারীকেও প্রদান করেন, যে একজন রোজাদারকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করায়।

(তাহলে বুঝা গেল ১জন রোজাদারকে ১ ঢোক পানি দিয়ে বা ১টি খেজুর দিয়ে হলেও ইফতার করালে ৩টি লাভ

 (১) গুনাহ মাফ হবে (২) জাহান্নাম থেকে মুক্তি (৩) রোজাদারের সমান সওয়াব

তারপর নবীজি বলেন- আর যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে পেট ভরে খাইয়ে পরিতৃপ্ত করল, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এভাবে পানি খাইয়ে পরিতৃপ্ত করবেন, যার পর সে জান্নাতে (প্রবেশ করার পূর্বে) আর পিপাসার্ত হবে না।

সুতরাং ১ জন রোজাদারকে পেট ভরে খাওয়ালে গুনাহ মাফ হবে, জাহান্নাম থেকেও মুক্তি হবে সে রোজাদারের সমান সাওয়াবও পাবে আর সাথে সাথে আরো ১টি সুখবর তা হল কেয়ামতের দিন হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করতে পারবে এবং আর পিপাসাথ হবেনা।



এমনকি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটা এমন এক মাস যার প্রথম অংশে রহমত। মধ্য অংশে মাগফিরাত, শেষাংশে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত। যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধিনস্তদের ভার-বোঝা সহজ করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন।

তাহলে আমাদের উচিত প্রতিদিন কোন না কোন রোজাদারকে ইফতার করানো, যদি পারেন কোন হেফজখানায় ১ কাটন খেজুর পাঠিয়ে দিবেন, যদি পারেন ১ বস্তা ছোলাবুট দিয়ে দিবেন, যে সব ছাত্ররা হেফজখানায় সারাদিন কোরআন পড়বে তারা আপনার দেয়া খেজুর দিয়ে ইফতার করবে আর তারা সারাদিন কুরআন পড়ে পড়ে যে সাওয়াব কামাই করল আপনি ইফতার করিয়ে সে সাওয়াব কামাই করে ফেলতে পারবেন। সাথে আপনার গুনাহ মাফ হবে, েএবং জাহান্নাম থেকে মুক্তিরও সৌভাগ্য নসিব হবে।

যারা বাসা বাড়ীতে থাকেন, আপনার বাসার দরোয়ান, কেয়ার টেকার, ড্রাইভারকে ইফতার করান, যাদের অধিনে কমচারী আছেন তাদেরকে প্রতিদিন ইফতারের খরচ দিয়ে দিন, আপনার সামথ আছে তরমুজ কেনার আপনার প্রতিবেশী গরীব তার ঘরেও ১টি তরমুজ কিনে পাঠিয়ে দিন এভাবে অত্যন্ত সহজভাবে আপনি অফুরন্ত কল্যাণ ছাওয়াব মানুষের দোয়া কামাই করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন আমিন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.