সব সমস্যার ১টাই সমাধান। সব সমস্যা সমাধানের আমল
সব সমস্যার ১টাই সমাধান। সব সমস্যা সমাধানের আমল
দুঃখ, কষ্ট, মসিবত,
পেরেশানি, এসব যেন
না আসে সেটাই মানব জাতির সবচেয়ে বড় চাওয়া
আপনারা যারা শুনছেন
তাদের এই চাওয়া আছে কি নাই?
নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে দেখুন উত্তর হবে হ্যাঁ।
২য় চাওয়া হল যে দিকে
হাত বাড়াই, যে দিকে দৃষ্টি দেই, যে দিকেই পা বাড়াই, যে কাজই করতে যাই যেন সহজ থেকে
সহজতর হয়
কোন কাজই যেন মুশকিল
না হয়, এই চাওয়াটা আছে কি নাই
তাও একবার নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন অবশ্যই উত্তর পাবেন
৩য় চাহিদা- ধন দৌলত
যেন এত বেশী হয় যাতে
আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে পারেন,
হালাল তরিকায় সব আশা
যেন পুরণ হয় এমন আশা অনেক করে,
আর অনেকে হারাম পন্থায় চাহিদা পুরণের প্ল্যানিং করেন।
৪র্থ চাহিদা- ইনসান
বা মানুষ শব্দটি যেটি নিসিয়ান থেকে উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হল ভুলে যায়, মানুষের চাওয়া হয়
ভুল হলে বলে- হে আল্লাহ
আমার থেকে গুনাহ হয়ে গেছে;
কিন্তু তুমিতো ক্ষমাকারী আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও।
যত গুনাহগার আছে সকলেই
চায় তার
গুনাহ যেন আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
৫ম চাওয়া- হে আল্লাহ
আমি দুর্বল, আমি বেশী আমল করতে পারিনি; যদিও খুবই অল্প আমল করেছি তবুও আমার চাহিদা
তুমি
আমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস
দান করিও।
বান্দাকে আল্লাহ হতাশ
হতে নিষেধ করেছেন
দয়ালু প্রভুর রহমত বড়ই
প্রশস্থ। বান্দার
এই ৫টি চাওয়া একমাত্র আল্লাহর কাছে;
৫টি চাওয়া নয় শুধু এই
ধরনের ৫ হাজার চাওয়াও
যদি থাকে আমার রব সব চাওয়া পুরণ করতে সক্ষম।
যেমন সুরা বাকারার ১৮৬
নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ
إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُواْ لِي وَلْيُؤْمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
অর্থ : আর আমার বান্দারা
যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা
প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই,
যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে
বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।
সুতরাং যত যেমনই চাহিদাই
হউক বান্দা হিসেবে আমাদের কর্তব্য হল আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা আর আল্লাহর কাছে
চাওয়া।
তাহলে অবশ্যই আল্লাহ
তায়ালা
আমাদের সকল চাহিদা পুরণ করে দিবেন।
তবে দোয়া করতে হবে নিষ্ঠার
সাথে, আল্লাহর গুনবাচন নাম দিয়ে ডাকতে হবে, দোয়ার আগে কয়েকবার দরুদ পাঠ করবেন,
কেবলামুখি হয়ে হাত উঠিয়ে
বিনয়ের সাথে দোয়া করবেন, প্রচন্ড
আশা নিয়ে দোয়া করবেন, অশ্রুসিক্ত নয়নে দোয়া করবেন,
দোয়ার পর দোয়া করেই
যাবেন, কবুল হচ্ছেনা কেন এটা নিয়ে তাড়াহুড়া বা টেনশন করা যাবেনা। মনে রাখবেন দোয়া করাটাও
একটা এবাদত
মুমিনের দায়িত্ব হলো, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা।
ছোট-বড় সব প্রয়োজনের জন্য দোয়া করা।
আল্লাহ প্রার্থনাকারীকে পছন্দ করেন। প্রার্থনা না করলে
তিনি রাগ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না তিনি তাঁর
ওপর রাগান্বিত হন। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৩)
মনে রাখবেন আপনি যে
চাহিদা পুরণের দোয়া করছেন তা যদি দুনিয়াতে পুরণ না হয় তার বদলা আপনাকে আখেরাতে দেয়া
হবে
তখন মানুষ আফসুস করে
বলবে ইস যদি দুনিয়ায় আমার কোন দোয়া কবুল না হত তাহলে তার বদলা আখেরাতে পেতাম।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেককে
বেশী বেশী
দোয়া করার তৌফিক দান করুন! আমিন..
এ ধরনের ভিডিও পেতে
চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন
ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন, আল্লাহ হাফেজ
কোন মন্তব্য নেই