২টি ওজিফা বলব কাজ হল ২ মিনিটের; কিন্তু ফায়দা হল লাখ লাখ বছরের চেয়েও বেশী।
আজকে
যে ২টি ওজিফা বলব কাজ হল ২ মিনিটের; কিন্তু ফায়দা হল লাখ লাখ বছরের চেয়েও বেশী।
একটি
দোয়া এমন আছে যে দোয়াটির ব্যপারে হুজুর (দ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি এই দোয়াটি যদি ২৫
বার পড়ে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে জীবন থাকতেই তাকে আবদাল বানিয়ে দিবেন। আর কিয়ামতের
দিন তাকে আবদাল হিসেবে উত্তোলন করবেন।
আবদাল
তাদেরকে বলেন আল্লাহ তায়ালা যাদের বরকতে বৃষ্টি নাজিল করেন। আবদাল সে লোক যার বরকতে
জমিন থেকে সবজি উৎপাদন হয়। আবদাল সে সব লোক যাদের বরকতে মুসিবত সমুহ দুর হয়ে যায়। আর
আবদালের দোয়া কখনো আল্লাহ তায়ালা ফেরৎ দেন না।
হুজুর
(দ) এর শিখানো সে আবদাল এর দোয়াটি কি তা পরে বলছি; তার আগে ১টি অত্যন্ত দামী ও গুরুত্বপূণ ফজিলতময় ওজিফা আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি।
যদি
আপনি এ ওজিফা পড়েন তাহলে আপনার অনেক বরকত অজিত হবে। আপনার রুজি রোজগারে বরকত হবে, আপনার
হায়াতে বরকত হবে, আপনার আটকে থাকা কাজ সমাধান হয়ে যাবে, আপনার সকল সমস্যা সমাধান হয়ে
যাবে। সকল দুঃখ বেদনার ঔষধ এই ওজিফা মধ্যে আছে।
হাদীস
শরীফে আছে যখন কোন বান্দা এই ওজিফা পড়ে তখন আল্লাহর আরশ দুলতে থাকে, তখন আল্রাহ তায়ালা
আরশে বলেন হে আরশ থাম, আরশে আরজ করে মওলা কিভাবে থামব? আপনার এক বান্দা এই ওজিফা পড়েছে
যতক্ষন তার গুনাহ মাফ হবেনা ততক্ষন আমি থামবনা। তখন আল্লাহ আরশকে সুখবর দিয়ে বলেন হে
আরশ তুমিতো পরে দুলতে শুরু করেছ, কিন্তু আমি তার সে ওজিফা পড়া শেষ করার আগেই তাকে ক্ষমা
করে দিয়েছি।
সে
জন্য এই মহা মূল্যবান ওজিফাটি বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন। ওজিফাটি সব সময় পড়া যাবে,
উঠতে বসতে চলতে ফিরতে এই কলমা পড়বেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু
আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর
নবি নূহ আলাইহিস সালামের মৃত্যু কালে তাঁর ছেলেকে বলেন, আমি তোমাকে অসিয়ত করছি।
দুটি জিনিসের নির্দেশ করছি এবং অপর দুটি নিজিস থেকে নিষেধ করছি। আদেশ করছি লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহর। স্মরণ রাখ! যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায়
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ রাখা হয়। তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর পাল্লা ভারি হবে। যদি সাত আসমান
ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছদ্য গোলাকার বৃত্ত হত, তাহলে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সুবহানাল্লাহি
ওয়া বিহামদিহি সবকিছুকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর
মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি জীবিকা পেয়ে থাকে।(অর্থ্যাৎ নুহ (আ) তার সন্তানকে বলছেন এই কলমার
কারনেই আল্লাহ তায়ালা সকল সৃষ্টিরাজিকে রিজিক দেন) এরপর নুহ (আ) তার সন্তানকে ২টি বিষয়ে
নিষেধ করেন আর বলেন তোমাকে নিষেধ করি শিরক
ও অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)
মানুষ
প্রশ্ন করে কোন ওজিফা পড়ব? মানুষকে কঠিন কঠিন ওজিফা দিলে সেগুলিকে বেশী গ্রহণ করে,
কিন্তু এমন এমন সহজ ওজিফা আছে যেগুলি সবচেয়ে কাযকরী ও দামী। আর এসব ওজিফার মধ্যে সবচেয়ে
সহজ ও সেরা ওজিফা হল কলমার ওজিফা।
এই
কলমা পড়ার সাথে সাথেই আরশ দুলতে থাকে, এই কলমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা আরশে লিখেছেন, কুরসিতে লিখেছেন, জান্নাতের দরজায় লিখেছেন, জান্নাতি হুরদের
কপালে লিখেছেন, যদি এ্রর চেয়ে কোন কলমা থাকত আল্লাহ তায়ালা সেটিই লিখতেন। সুতরাং যে
কলমা আল্লাহ তায়ালা সব জায়গায় লিখেছেন আমরা সে কলমাকে অত্যন্ত হালমা ওজিফা মনে করি।
মনে রাখবেন এই কলমার ওজিফা হল সবচেয়ে বড় ওজিফা। এটা এমন ওজিফা যা একবার পড়লে কাফের
মুমিন হয়ে যায়, তার জীবনের সকল ছোট বড় গুনাহ মাফ হয়ে যায়। দেখুন এই কলমার কত শক্তি
ও বরকত। এখন আপনি যে মকসদে এই কলমার ওজিফা পড়বেন আল্লাহ তায়ালা আপনার সে মকসদ পুরণ
করে দিবেন। একটি নিদৃষ্ট সময়ে প্রতিদিন একটি নিদৃষ্ট সংখ্যা যেমন ১০০ বার ২০০ বার ৩০০
বার এভাবে যতবার আপনার জন্য পড়া সহজ হয় ততবার কলমার জিকির করবেন, আর প্রতিবার পড়ার
সময় ঈমানকে নবায়নের নিয়ত করবেন। তাহলে আপনার সকল গুনাহও মাফ হয়ে যাবে আপনার সকল মকসদ
আল্লাহ পুরণ করে দিবেন।
যে
কোন ওজিফা প্রতিদিন নিয়ম করে পড়বেন, একদিন পড়লেন ২ দিন পড়লেন না এমনটি করলে ওজিফার
ফায়দা পাওয়া যায়না, তাই যতটুকু পরিমান আপনি প্রতিদিন পড়তে পারবেন চাই তা সংখ্যায় কম
হউক কিন্তু প্রতিদিন করতে হবে।
এবার
আসুন যে দোয়া ২৫ বার পড়ার কথা বলেছি সেটির ব্যপারে নবী করিম (দ) এরশাদ করেন -দোয়াটি
যদি কেহ ২৫ বার পড়েন এবং এরপর পাহাড়কে তার স্থান থেকে সরে যাওয়ার জন্য দোয়া করে তাহলে
আল্লাহ তায়ালা সে পাহাড়কেও নিজ স্থান থেকে সরিয়ে দিবেন। নবী করিম (দ) সাহাবাদের সে
দোয়াটি শিখিয়েছেন তাহল (আসতাগফিরুল্লাহা লি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালি জামিইল মুসলিমিনা
ওয়াল মুসলিমাত ওয়াল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত আল আহিয়াউ মিনহুম ওয়াল আমওয়াত)
যদি
কেহ এই দোয়াটি প্রতিদিন ২৫ বার পড়বে সে মুসতাজাবুদ দাওয়াত হবে তার দোয়া কখনো বৃথা যাবেনা
যা দোয়া করবে তাই কবুল হবে। আর সে আবদালদের অন্তভূক্ত হয়ে যাবে। সে জন্য প্রতিদিন ২৫
বার এই দোয়াটি পড়বেন এবং সহজ কলমার জিকিরটি করবেন। আল্লাহ তায়ালা আমার ও আপনাদের সকল
নেক মকসদ পুরণ করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই