হযরত খিজির (আ) এর ইসমে আজম হাজত পুরণ, রোগ মুক্তি, অভাব দুর করার দোয়া ও আমল

 

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

হযরত খিজির (আ) এর ইসমে আজম

সব হাজত পুরণ হবে, ক্যান্সার সহ কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া, জীবনে অভাব হবেনা, দারিদ্রতা দুর করার আমল।



প্রিয় বন্ধুরা আজকে হযরত খিজির (আ) যে ইসমে আজম পড়তেন  সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, আমেরিকার মুফতি মুনির আহমদ আকন্দ বলেন আমি এই ইসমে আজম দিয়ে আমেরিকাতে যে সব কেন্সার রোগী ৪থ স্টেইজে পৌঁছে গেলে এমন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি সে রকম ৭ জন কেন্সার রোগী সুস্থ হয়ে গেছে, যা দেখে আমেরিকার ডাক্তার পযন্ত অবাক হয়ে গেছে।

এছাড়া এই ইসমে আজম এর আরো ১টি মুজেজা হল যদি কোন মানুষ চাই তার কোন মকসদ কোন হাজত পুরণ হউক, চাই তা দ্বীনি হাজত হউক যেমন কেহ চাচ্ছে হজ্জে যেতে, তার সে হাজত আল্লাহ পুরণ করে দিবেন, তেমনি যদি কোন দুনিয়াবি কাজ পুরণ হওয়ার আশা রাখে যেমন চাকরীর হাজত, ব্যবসা হাজত, বিয়ে শাদির হাজত, সন্তান সন্তুতির হাজত, এসব বিষয়ের সমাধান চাই তাহলে এই ইসমে আজমের বরকতে সমাধান হয়ে যাবে।

তেমনি ভাবে কেহ কঠিন রোগ ব্যধিতে লিপ্ত সে উক্ত রোগ ব্যধি থেকে যদি মুক্তি চাই তাহলে সে বৃহস্পতিবার সূয উদিত হওয়ার সময় এই ইসমে আজম এর জিকির শুরু করবে, ১০৪১ বার এই ইসমে আজমটি পড়তে হবে। এভাবে প্রতিদিন করবেন পরপর ৭ দিন পড়তে হবে। প্রথমদিন সুয উদিত হওয়ার সময় শুরু করবেন পরবর্তী ৬ দিন যে কোন সময় পড়তে পারেন, জুহরের পরে আসরের পর মাগরিবের পর যখন সুযোগ হয় তখন পড়তে পারবেন। আর আগে ও পরে ১ বার সুরা ফাতেহা পড়বেন।  আর সুরা ফাতেহা পড়ার সময় বিসমিল্লাহ পড়ার নিয়ম হল (বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমিল হামদুলিল্লাহি রাব্বীল আলামিন--- আমিন পযন্ত এভাবে পড়তে হবে। এভাবে পড়ে আপনি আপনার সকল হাজতের জন্য সকল রোগ মুক্তির জন্য, সকল সমস্যা সমাধানের জন্য দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ ৭ দিনের মধ্যে আপনার সকল হাজত পুরণ হবে।

এর ২য় ফায়দা হল - যদি কেহ দ্বীন থেকে দুরে চলে যায়, দ্বীন ধম ছেড়ে দেয়, ছেলে মেয়ে যদি নাস্তিক হয়ে যায়, মা বাবার কথা না শুনে, তার দিল যদি মুর্দা হয়ে যায় তাহলে এসব মুর্দা দিলকে জিন্দা করার তাছির এই ইসমে আজমের মধ্যে আছে।

মুর্দা দিল জিন্দা করার জন্যও আগে বণিত নিয়মে এই ইসমে আজম ১০৪১ বার পড়তে হবে, তবে শুরু করতে হবে বৃহস্পতিবার সকালে সুয উদিত হওয়ার সময়, বাকী ৬ দিন যে কোন সময় পড়তে পারবেন তবে প্রতিদিন সুয উদিত হওয়ার সময় পড়লে  বেশী ফায়দা হবে। এভাবে পড়ে মুদদিল অন্তর লোকের জন্য দোয়া করবেন, অবাধ্য সন্তানের জন্য দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ দেখবেন ৭ দিনের মধ্যে তার অন্তরে ঈমানী জজবা তৈরী হবে।

তেমনি ভাবে যারা এমন রোগে গ্রেফতার যে রোগের কোন চিকিৎসা নাই, এমন রোগীর জন্য একটি চিনির প্লেট নিবেন তাতে মেশক ও জাফরান মিক্স করে কাঠের কলম দিয়ে এই ইসমে আজম লিখবেন, শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভি (রহ) ফরমান এর সাথে সুরা ফাতেহা লিখলে আরো ভালো, লিখার পর একটি কাপে সামান্য মিসরি পানি দিয়ে গুলে সে মিসরির মিশ্রন প্লেটের মধ্যে ঢালবেন প্লেটের দোয়া লেখাগুলি সে মিসরির পানির সাথে মিশে যাবে তখন সে পানি রোগীকে সকালে খালি পেটে পান করিয়ে দিবেন। এভাবে রোগীকে মোট ১১ দিন পান করাতে হবে। ১১ দিনের মধ্যে আপনি নিজ চোখে সে রোগীর মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এভাবে যদি ৪১ দিন এই পানি প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন ইনশা আল্লাহ কোন ধরনের কেন্সার বাকী থাকবেনা।

খন্দকার মুনির আহমদ আকন্দ যিনি আমেরিকার একজন মুফতি তিনি বলেন আমি নিজে ৭ জন কেন্সার রোগীকে এই ইসমে আজমের চিকিৎসা দিয়েছি তারা আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ হয়ে গেছেন। এ ধরনের যে কোন কঠিন রোগের জন্য একই ভাবে এই ইসমে আজম  লিখে রোগীকে ১১ দিন থেকে ৪১ দিন পযন্ত পান করাতে পারবেন।

তেমনি কেহ দারিদ্রতার মধ্যে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তারাও একই নিয়মে এই ইসমে আজমের আমল করতে পারেন ১১ দিনের মধ্যে ইনশা আল্লাহ রোজি রোজগারের রাস্তা খুলে যাবে, বরকত নিজ চোখে দেখতে পাবেন। যার অভাব নাই কিন্তু কোনদিন যেন অভাবে না পরে সেটা চাই তারাও এই আমল করলে কোনদিন অভাবে পতিত হবেনা।

সে মহামূল্যবান দোয়াটি হল

(এয়া হাইয়্যু হিনা লা হাইয়্যা ফি দাইমুমাতি মুলকিহি, ওয়া বাকাইহি এয়া হাইয়্যু)

এর অথ হল হে ঐ জাত যিনি সে সময়ও জিন্দা থাকবেন, যখন কোন বাদশাহর বাদশাহি বাকী থাকবেনা, সব ফানা হয়ে যাবে শুধু হে আল্লাহ তোমার জাতই বাকী থাকবে।

হযরত খিজির (আ)কে আল্লাহ তায়ালা এই ইসমে আজম দিয়েছেন, উনাকে যখন ইসমে আজমটি দেয়া হল তখন তিনি তা জিকির করা আরম্ভ করে দিলেন, তিনি এই ইসমে আজমটি পড়তে পড়তে যখন কামেল পর্যায়ে পৌঁছলেন তখন তাঁর কাছে ৩ জন ফেরেশতা পাঠানো হল, সে ফেরেশতারা এসে বলল আমদেরকে আপনার খেদমতে প্রেরণ করা হয়েছে, এখন থেকে আপনার যে কোন কাজে আমরা আপনাকে সাহায্য সহযোগিতা করব। এই ফেরেশতারা হযরত খিজির (আ) কে আবে হায়াত পান করালেন, ফলে আল্লাহ হযরত খিজির (আ) কে হায়াতে জাবেদানি দান করলেন। সেজন্য হযরত খিজির (আ) আজো জিন্দা সালামত আছেন। কিছু কিছু ওলামা বলেন তিনি জিন্দা নাই, তবে তাদের সে কথার জবাব মুহাক্কিক ওলামাকেরাম দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন হযরত খিজির (আ) আজো জিন্দা।

যারা এই ইসমে আজমটি দিনে ৭০০০ বার রাতে ৭০০০ বার পড়বে তাদের রুহানি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। অন্তদৃষ্টি খুলে যাবে।

অতএব এই ইসমে আজমটি হযরত খিজির (আ) কে আল্লাহ তায়াল শিক্ষা দিয়েছেন, এর যে সব নিয়মাবলী বয়ান করলাম যে নিয়ম অনুসরণ করলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আপনার সে সমস্যা দুর করে দিবেন।জটিল কঠিন রোগিরা প্লেটে লিখে পান করবেন, যারা শক্ত ও কঠিন হৃদয়ের মানুষকে নরম করতে চান, তারাও নিয়ম মোতাবেক আমল করবেন, যারা অভাব দুর করতে চান তারাও নিয়ম অনুযায়ী আমল করবেন।

আশা করি আপনাদের জীবনের সকল হাজত আল্লাহ তায়ালা এই ইসমে আজমের বরকতে পুরণকরে দিবেন।

 এই লেকচারটি আমি মুফতি মুনির আহমদ আকন (মজিআ)যিনি একজন আমেরিকার মুফতি উনার লেকচার থেকে হুবহু আপনাদের জন্য বাংলা প্রচার করলাম। ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.