যে ঘরে বৃদ্ধ, নারী ও শিশু আছে সে ঘরের জন্য সুখবর। রমজানে রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল। All bangla dua
যে ঘরে বৃদ্ধ, নারী ও শিশু আছে সে ঘরের জন্য সুখবর। রমজানে রিজিক বৃদ্ধির পরীক্ষিত আমল। All bangla dua
প্রিয় মুসলমান ভাই ও বোনেরা – আপনারা জেনে খুশি হবেন রমজানে মাসের শুরু থেকে যদি আমলটি করতে পারেন আপনার সকল অভাব ইনশা আল্লাহ দূর হবে অর্থের কষ্ট ঈদের আগে আগেই আর থাকবেনা, রিজিকে বরকত হবে সম্পূর্ণ আমলটি বুঝতে হলে প্রতিটি কথা খুব মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে সুলতান মাহমুদ গজনবী এক বৃদ্ধ লোককে দেখলেন যার হাত কাপছিল এরপরও সে বৃদ্ধ জমিনে চারা রোপন করছিল – মাহমুদ গজনবী সে বৃদ্ধকে দেখে হয়রান হয়ে গেলেন আর সে বৃদ্ধের কাছে গিয়ে বললেন বাবা আপনি এই বয়সে এসব কি করছেন?
বৃদ্ধ জবাব দিল একটি ফল
গাছের চারা লাগাচ্ছি সুলতান মাহমুদ বললেন
আপনার যে বয়স এই বয়সে আপনি যে চারা লাগাচ্ছেন তার ফলও আপনি খেতে পারবেন না এর ছায়াতেও আপনার বসার সুযোগ
হবেনা তখন বৃদ্ধ জবাব দিল
বেটা আমি খেতে না পারলেও আমার নাতিরাতো খেতে পারবে আমি পরবর্তীদের জেনারেশনের জন্য কল্যাণময় কাজ
করছি সুলতান মাহমুদ বললেন
বাবা আপনার চিন্তা ভাবনা অনেক শানদার সুলতান মাহমুদ খুশি হয়ে বৃদ্ধকে ১ থলে আশরফি দান
করলেন বৃদ্ধ আশরফির থলে
হাতে নিয়ে হাসতে লাগলেন
তখন সুলতান মাহমুদ জিজ্ঞেস করলেন আপনি আশরাফির থলে দেখে হাসছেন কেন? তখন বৃদ্ধ জবাব দিল বেটা তুমি এখনই বলেছ এই চারা লাগালে আমি এর ফল
খেতে পারবনা, কিন্তু দেখ আল্লাহ তায়ালা চারা লাগানোর
সাথে সাথেই এর ফল আমার হাতে
দিয়ে দিয়েছেন। এ কথা শুনে মাহমুদ আরো অবাক হলেন খুশি হলেন বৃদ্ধকে আরো ১টি আশরফির থলে
দিয়ে দিলেন তখন বাবাজি আবার হাসলেন আর বললেন বেটা দেখুন আমার আল্লাহ কত মেহেরবান আমি মানুষের কল্যাণের জন্য
এখলাসের সাথে চারা লাগাচ্ছি
মানুষ চারা লাগালে তাতে বছরে এক বার ফল হয় কিন্তু আমার রব
আমাকে চারা লাগানোর সাথে
সাথে ২ বার ফল দিয়ে দিলেন।
এটাই হল এখলাসের সাথে
মানুষের উপকার করার নতিজা
হযরত সাদ বিন মায়াজ (রা) নবী পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসলেন – উনার কবিলার কিছু যুবকও সেখানে বসা ছিলেন সাদ বিন মায়াজ তাদের মধ্যে
বয়স্ক ছিলেন বৃদ্ধ ছিলেন
হযরত সাদ যখন আসলেন তখন সে যুবকেরা বসে ছিলেন নবী করিম (দ) প্রথমে সে যুবকদেরকে দেখলেন হযরত সাদ (রা) কিছুক্ষণ
সেখানে ছিলেন তারপর চলে গেলেন হুজুর পাক (দ) যুবকদেরকে সম্বোধন করে বললেন সাদ তোমাদের কবিলার বয়স্ক লোক, তোমরা তাঁকে উঠে কেন স্বাগতম জানাওনি? তোমরা তার দিকে একটুও সম্মান দেখাওনি, মুলত নবীজি সে যুবকরা যে একজন বয়স্ক লোককে সম্মান প্রদর্শন করেনি সেটা
অপছন্দ করেছেন আমরা অনেক সময় কোন
লাইনে বয়স্ক লোকদেরকে, দুর্বলদেরকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখি, তখন যদি যুবকরা সে দূর্বল লোককে আগে জায়গা করে দেয় এতে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল খুশি হয়ে যান।
মনে রাখবেন মেশকাতের হাদিস – অত্যন্ত সুন্দর হাদিসের শব্দসমুহ নবী করিম (দ) এরশাদ করেন-
আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিজিক দেন এটা একমাত্র তোমাদের দূর্বলদের কারনে দিয়ে থাকেন ঘরের কোনায় যে বৃদ্ধ মা বাবা
পরে থাকে তাদেরকে স্ক্রাপের মাল বুঝবেনা- আপনার উপর আল্লাহর যে মেহেরবানি রহমত নাজিল হচ্ছে ঐ বৃদ্ধ মা বাবার কারনে
নাজিল হচ্ছে। আর নবী করিম (আ) এরশাদ ফরমায়েছেন – রব তায়ালা তোমাদের
উপর গযব নাজিল করতে চান, তোমাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দিতে চান কিন্তু তোমাদের দুর্বলদের
কারনে বয়স্কদের কারনে তিনি বৃষ্টি নাজিল করেন এই দুর্বল দ্বারা নারী, অসুস্থ, শিশু, বৃদ্ধ সকলকেই বুঝায় এদের বরকেত আল্লাহ বৃষ্টি
বর্ষন করেন, রিজিক দানকরেন যারা আপনার জন্য রিজিকের
কারন, যারা বৃষ্টি নাজিলের
কারন তারাই আপনার কাছে
আমার কাছে পরিবারের কাছে সবচেয়ে বেশী অবহেলিত,
তাদের কথা আমাদের ভালো লাগেনা বিরক্ত লাগে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ঘরের নারী শিশু দুর্বল
বৃদ্ধ অসুস্থ যারা আছে তাদের সাথে
অত্যন্ত সম্মানের সাথে আচরন করা তাদেরকে এমন শান ও শওকতের সাথে রাখা যেন তারা ঘরের এক একজন রাণী এক একজন
বাদশাহ।
তাহলে দেখতে পাবেন আল্লাহ
কিভাবে আপনার ঘরে বরকত দান করেন রমজান মাসেই নিজের দুর্বল আত্মিয় স্বজনদের
সাথে এই আমলটি করুন মানুষের কল্যাণে
অত্যন্ত খুলুছের সাথে কাজ করুন দেখবেন সুলতান মাহমুদ গযনবির সে বৃদ্ধের মত ডাবল প্রতিদান
পাবেন দরকার হল নিয়তের
বিশুদ্ধতা দরকার হল বৃদ্ধ দুর্বলদের প্রতি রাজা বাদশার মত আচরন করা।
কোন মন্তব্য নেই