রমজানের ২৫টি বরকতময় দোয়া ও আমল

 

রমজানের ২৫টি বরকতময় দোয়া ও আমল হল


নাম্বার ১- চাঁদ দেখা, এটা সুন্নত আমল নবীজি ও সাহাবাদের আমল বুখারীর ১৯০০ নং হাদিসে আছে নবী করিম (দ) এরশাদ করেন- তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখবে চাঁদ দেখে রোজা ছাড়বে।

নাম্বার ২- চাঁদ দেখে দোয়া পড়া তিরমিজি শরীফের ৩৪৫১ নং হাদিস নবী করিম (দ) চাঁদ দেখে এই দোয়াটি পড়তেন

«اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ»

নাম্বার ৩- রমজান মাস ব্যাপী সিয়াম পালন করা আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ১৮৩ নং আয়াতে বলেন

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। [সুরা বাকারা - ২:১৮৩

নাম্বার ৪- রমজান মাস ব্যাপী ২০ রাকাত তারাবীর নামাজ আদায় করা যেমন নাসাঈর ২২০৮ ইবনে মাজার ১৩২৮ নং হাদিস

নবী করিম (দ) বলেন আল্লাহ তোমাদের জন্য রোজাকে ফরয করেছেন আর আমি তোমাদের জন্য তারাবীর নামাজ সুন্নত করেছি

নাম্বার-৫ সুর্য ডুবার সাথে সাথে ইফতার করা, বুখারী শরীফের ১৯৫৭ নং হাদিস

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে  ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।

নাম্বার-৬ খেজুর দিয়ে ইফতার করা কিংবা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করা সুন্নত

নাম্বার-৭ রমজানে সেহরী খাওয়া সুন্নত ও বরকতময়

যেমন বুখারী শরীফের ১৯২৩ নং হাদিস

«تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহিরীতে বরকত রয়েছে।

নাম্বার-৮ সেহরী শেষ রাতে খাওয়া

নাম্বার-৯ সেহরীতে খেজুর খাওয়া, আবু দাউদের ২৩৪৫ নং হাদিস

«نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنَ التَّمْرُ» 

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনের জন্য সাহরীর উত্তম খাবার হলো খেজুর।

নাম্বার-১০ ইফতারের সময় দোয়া করা

বায়হাকির ৩/৩৪৫ নং হাদিস, নবী করিম (দ) বলেন ৩ ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেয়া হয়না (১) বাবার দোয়া (২) রোজাদারের দোয়া (৩) মুসাফিরের দোয়া

নাম্বার-১১ মিথ্যা গিবত এসব ছেড়ে দেয়া বুখারীর ১৭৮২ নং হাদিস

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।

নাম্বার১২ ঝগড়া বিবাদ ছেড়ে দেয়া বুখারীর ১৯০৪ নং হাদিস নবী করিম () এরশাদ করেন যদি কেহ রোজা রেখে ঝগড়া করতে আসে তাকে বলবেন

 إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ

অর্থ্যাৎ আমি একজন রোজাদার

নাম্বার১৩- অপর রোজাদারকে ইফতার করানো, তিরমিজির ৮০৭ নং হাদিস নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদার ইফতার করাবে সে রোজাদারের সম পরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।

নাম্বার১৪- কোরআন তেলাওয়াত করা, এই রমজান হল কুরআন নাজিলের মাস সে জন্য রমজান মাস আসলে নবীজির কাছে জিবরাইল আসতেন কুরআন পড়ে শুনাতেন আর নবীজিও জিবরাইলকে কুরআন পড়ে শুনাতেন

নাম্বার ১৫- অধিকহারে দান সদকরা করা, কারন রমজান মাসে যে কোন আমলের প্রতিদান বা সাওয়াব ৭০ গুন বেশী পাওয়া যায় তাই রমজান মাসে বেশী বেশী দান সদকা করলে এর সাওয়াব অন্য মাসের তুলনায় ৭০ গুন বেশী পাওয়া যাবে

নাম্বার ১৬- মিসওয়াক করা অন্যান্য মাসে যেমন সুন্নত রোজা রেখেও মিসওয়া করা সুন্নত অনেকে রমজান মাসে রোজা রেখে মিসওয়াক করা থেকে বিরত থাকেন এটা ভুল

নাম্বার১৭- সুযোগ ও সামথ থাকলে রমজানে ওমরা করা আল্লাহর নবী বলে দিয়েছেন যে রমজান মাসে ওমরা করবে সে আমার সাথে হজ্ব করার সাওয়াব লাভ করবে

নাম্বার ১৮- শেষ ১০ দিন ও রাতে এবাদতে নিমগ্ন হওয়া

রাসুল () শেষ দশকে এবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতেন বেজোড় রাতসমুহে শবে কদর তালাশ করতেন


নাম্বার ১৯- শেষ দশকে এতেকাফ করা

নাম্বার ২০- জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা (আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান্নার)

নাম্বার ২১- নেক আমলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া

নবী করিম () এরশাদ করেন যখন রমজানের ১ম রাত আসে তখন একজন আহ্বানকারী বলে (এয়া বাগিয়াল খাইরি আকবিল, এয়া বাগিয়াল শাররি আকসির) হে কল্যাণকামী এগিয়ে যাও হে মন্দকাজ কারী থাম

নাম্বার ২২- গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও তাকওয়া অবলম্বন করা

মাহে রমজানের স্পেশাল টাগেট হল তাকওয়া, কারন আল্লাহ বলেছেন আমি মুমিনের জন্য রোজা ফরয করেছি যাতে তারা তাকওয়া অজন করতে পারে

নাম্বার ২৩- বেশী বেশী ক্ষমা প্রাথনা করা নিজের জন্য পরিবারের জন্য

(আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি এয়া গফুর)

নাম্বার ২৪ তাহাজ্জুদ পড়া

বছরের ১১ মাস তাহাজ্জুদে উঠা অনেকের জন্য কষ্টসাধ্য হয় কিন্তু রমজান মাসে সেহরীর সময় সে আমলটি করার সুযোগ রয়েছে, এবং আশা করা যায় এই তাহাজ্জুদের সাওয়াব আমরাফরযের সমান করে পাব

নাম্বার ২৫ সেহরীর সময় উঠে ১টি দোয়া পড়া

হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা) হতে বর্ণিত  তিনি বলেন- নবী করিম (দ) বলেছেন যে ব্যক্তি রাতে জেগে উঠে এই দোয়াটি পড়বে

لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু
ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন কাদির

الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسُبْحَانَ اللهِ وَلآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ এরপর বলবে (আল্লাহুম্মাগফিরলি)

তারপর যে দোয়া করবে সেটাই কবুল হবে এবং তখন যে নামাজই পড়বে সে নামাজ কবুল হবে

প্রিয় নবীজি ঘোষনা দিয়েছেন

دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ

দোয়াও কবুল হবে তারপর অজু করে সালাত পড়লে সালাতও কবুল হবে


কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.