ধন সম্পদ রিজিক বৃদ্ধির কোরআন হাদীসের আমল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-
ধন সম্পদ রিজিক বৃদ্ধির কোরআন হাদীসের আমল
হু হু করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই টেনশন থেকে
মুক্তির জন্য রুজি রোজগার বৃদ্ধির বিকল্প নাই
শবেবরাত, রমজান শবে কদরকে সামনে রেখে
আজ কোরআন হাদীস থেকে এমন কিছু সহজ আমল দিব
যে আমলগুলি করলে দ্রæত রিজিক ধন সম্পদ বৃদ্ধি পাবে
১ম আমলটি সুরা ফাতিরের ২৯ ও ৩০ নং আয়াতের আমল
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَّن تَبُورَ
যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে,
এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।
لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ
পরিণামে তাদেরকে আল্লাহ তাদের সওয়াব পুরোপুরি দেবেন
এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
তাহলে আল্লাহর কাছে বেশী বেশী পাওয়ার জন্য, শুধু লাভবান হওয়ার জন্য, লোকসান থেকে বাঁচার জন্য আমাদের
১ম আমল হল কুরআন তেলাওয়াত করা, যদি ব্যস্ততার
কারনে কুরআন পড়ার সুযোগ না হয় আপনার যে সুরাগুলি মুখস্থ আছে সেগুলি বারবার পড়তে থাকুন
২য় আমল হল নামাজ কায়েম করা এরপর গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করা
সুরা আরাফের ৯৬ নং আয়াতে বরকত লাভের ১টি আমলের
বর্ননা এসেছে- যেমন আল্লাহ পাক বলেন
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং
পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম।
তাহলে সুরা আরাফের এই আয়াতে আসমান জমিনের অফুরন্ত নেয়ামত লাভের আমল সম্পর্কে জানলাম তা হল
ঈমান ও পরহেযগারী অবলম্বন করা।
এবার হাদীস থেকে ১টি আমল করব যে আমলের বরকতে আমাদের সকল চিন্তা সকল দুঃখ কষ্ট আল্লাহ দুর করে দিবেন
হাদিসটি তিরমিজি শরীফের ২৪৫৭ নং হাদিস
উবাই (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরূদ পাঠ করি।
আপনার প্রতি দরূদ পাঠের জন্য আমি আমার সময়ের কতটুকু খরচ করবো?
তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়?
তনি বললেন, তুমি যতটুকু ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়ে অধিক পরিমাণে পাঠ করতে পারলে এতে তোমারই মঙ্গল হবে।
আমি বললাম, তাহলে আমি কি অর্ধেক সময় দরূদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ চাও
যদি এর চেয়েও বাড়াতে পারো সেটা তোমার জন্যই কল্যাণকর।
আমি বললাম, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ সময় দরূদ পাঠ করবো? তিনি বললেন,
তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়েও বাড়াতে পারলে তোমারই ভাল।
আমি বললাম, তাহলে আমার পুরো সময়টাই আপনার উপর দরূদ পাঠে কাটিয়ে দিব?
قَالَ " إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ "
তিনি বললেনঃ তাহলে তোমার চিন্তা ও কষ্টের জন্য তা যথেষ্ট হবে এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।
অর্থ্যাৎ সাহাবীকে নবীজি বুঝালেন তুমি অন্যান্য ওজিফা যদি নাও পড় শুধু দরুদ শরীফই পাঠ কর তার বরকতে
আল্লাহ তায়ালা তোমার সকল দুশ্চিন্তা সকল কষ্ট দুর করে দিবেন
আসুন যেভাবে জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে
আমাদের জন্য একটি দুশ্চিন্তার বিষয়, কষ্টের বিষয়
এই দুশ্চিন্তা কষ্ট থেকে মুক্তির জন্য আমরা শবে বরাতের রাতে
নিজেদের গুনাহ থেকে তওবা করব, রমজানে পরহেযগারীতা অবলম্বন কর, নিয়মিত নামাজ পড়ব, কোরআন তেলাওয়াত করব
প্রকাশ্যে গোপনে দান সদকা করব, আর বেশী বেশী দরুদ পড়ব
ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে অভাব থেকে
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দান করবেন।
কোন মন্তব্য নেই