১০০% বড় বড় সমস্যা সমাধানের আমল। Qurani amal গায়েবি সাহায্য রিজিক বৃদ্ধি বিপদ থেকে মুক্তির ওজিফা
১০০% বড় বড় সমস্যা সমাধানের আমল। Qurani amal গায়েবি সাহায্য রিজিক বৃদ্ধি বিপদ থেকে মুক্তির ওজিফা
আজকে যে আমলটির কথা বলব সেটি করার পর আপনার যত বড় মসিবত হউক যত বড় সমস্যা হউক চাই তা মানসিক চাই তা শারিরিক চাই তা আথিক সকল সমস্যা আল্লাহ তায়ালা মুহুতে দুর করে দিবেন। অনেকে আছেন কোটি কোটি টাকার মালিক কিন্তু ঘরে এমন এক সমস্যায় গ্রেফতার যার কারনে মনে একফোটা শান্তি তিনি পাননা। এই যে গাড়ি বাড়ী ধন দৌলত থাকা সত্বেও সুখ শান্তি নাই এর কারন কি তাও আজ জানার চেষ্টা করব এবং এর থেকে বাঁচার সহজ আমলটি জেনে নিব।
আপনার সকল অভাব আল্লাহ তায়ালা দুর করে দিবেন, আপনার সমস্ত পেরেশানি মুহুর্তের মধ্যে দুর হয়ে যাবে। আল্লাহ গায়েবী ভাবে আপনাকে সাহায্য করবেন আপনাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দিবেন আপনার মসিবত এমন ভাবে দুর হয়ে যাবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
আসুন প্রথমে নবী যুগের একটি প্রামানিক আশ্চর্য্য ঘটনা জেনে নিই
মক্কার কুরাইশ কাফেরেরা যখন দেখল ইসলামের শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন তারা নানা ভাবে আমাদের দয়াল নবীকে নাজেহাল করার জন্য পায়তারা করতে লাগল, একসময় তারা ইয়েমেনের শাসক হাবিবকে দাওয়াত দিয়ে আনলেন, ইয়েমেনের শাসক হাবিব যদিও অনেক
বড় পদের লোক ছিলেন যার টাকা পয়সার কোন অভাব ছিলনা ইজ্জত সম্মানের কমতি ছিলনা তবুও
তিনি ছিলেন মানসিক ভাবে বিপযস্ত অত্যন্ত দুঃখি, তিনি মক্কার কাফেরদের দাওয়াতে
সৈন্য সামন্ত নিয়ে মক্কায় এসে পৌঁছলেন, তিনি মক্কার কাফেরদের কথামত মুহাম্মদ (দ) কে নবী দাবির পক্ষে কোন মুজেজা দেখাতে বললেন সে দাবী করল চাঁদকে দু টুকরা করে দেখাতে, তখন নবী করিম (দ) মক্কার কাফেরদের ও ইয়েমেনের শাসক হাবিবের সামনে ২ রাকাত নামাজ পড়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের ইশারা করার সাথে সাথে চাঁদ দুই টুকরা হয়ে গেল। ইয়েমেনের শাসক নবীজির মুজেজা দেখে আল্লাহর ভয়ে কেঁপে উঠলেন
এবং বিস্মিত হয়ে গেলেন, এবার হাবিব বলল আমি বাড়ী থেকে আসার সময় মনে মনে একটি নিয়ত করেছিলাম যদি আপনি সত্যিকারের নবী হন তাহলে আমার মনের সে নিয়ত কি তা বুঝতে পারবেন।
তখন নবী করিম (দ) বলে দিলেন আপনার ঘরে আপনার একজন পঙ্গু মেয়ে আছে আর আপনি নিয়ত করেছেন যদি আমি সত্যিকারের নবী হই তাহলে আমার দ্বারা আপনার সে পঙ্গু মেয়ের জন্য দোয়া করাবেন। যান আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম সে আরোগ্য লাভ করেছে এবং সে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেছে। এই কথা শুনে ইয়েমেনের বাদশা হাবিব ও কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেল এবং দেশে গিয়ে দেখতে পেলেন তার চির পঙ্গু মেয়েটি সুস্থ হয়ে গেছে। সুবহানাল্লাহ
কিন্তু কপাল পোড়া আবু জেহেল নবীজির এমন মুজেজা দেখেও ইসলাম কবুল করতে পারলনা
শুধুমাত্র নেতৃত্ব চলে যাওয়ার ভয়ে, পক্ষান্তরে ইয়েমেনের শাসক নবীজির মুজেজা দেখে আল্লাহর ভেয়ে
কেঁপে উঠল, এবং কলমা
পড়ে মুসলমান হয়ে গেল আর ঐ দিকে তাঁর সারা জীবনে সকল দুঃখ সকল পেরেশানি সকল কষ্ট
আল্লাহ তায়ালা মুহুর্তের মধ্যে দুর করে দিল। সুবহানাল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা সুরা আরাফের ৯৬ নং আয়াতে এরশাদ করেন
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ
وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ وَلَـكِن
كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী ও পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম।
কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের
কৃতকর্মের বদলাতে। [সুরা আরাফ - ৭:৯৬]
আবু জেহেল মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাই আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়েছে পক্ষান্তরে ইয়েমেনের শাসক হাবিব ঈমান এনেছে এবং পরহেযগারি অবলম্বন করেছে তাই আল্লাহ তার জন্য আসমান ও জমিনের নেয়ামতসমুহ উম্মুক্ত করে দিয়েছেন
সুতরাং যে কেউ যদি সত্যিকার অথে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর ঈমান আনে এবং আল্লাহকে ভয় করে পরহেযগারি অবলম্বন করে তার জন্য গায়েবি সাহায্য আসবে, তার সব বিপদ মুহুতে দুর হয়ে যাবে, সারা জীবনের কষ্ট মুহুর্তের মধ্যে বিলিন হয়ে যাবে, অভাব অনটন দুর হয়ে যাবে, সব ধরনের বাধা বিপত্তি মসিবত থেকে মুক্তি দান করবেন মহান আল্লাহ-
যেমন আল্লাহ তায়ালা সুরা তালাকের ২ নং আয়াতে বলেন
مَن كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ
الْآخِرِ وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا
এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। [সুরা তালাক - ৬৫:২]
তাকওয়া অবলম্বন পরহেযগারি অবলম্বন করলে আল্লাহ
আপনার সকল কাজ সহজ
করে দিবেন যেমন
সুরা তালাকের ৪
নং আয়াত
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مِنْ أَمْرِهِ
يُسْرًا
যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন। [সুরা তালাক - ৬৫:৪]
অপর আয়াতে আছে (ওয়া
এয়ারজুকহু মিন হাইসু
লা এয়াহতাসিব) তাকওয়া
অবলম্বনকারীকে আল্লাহ এমন
জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন যে
সে কল্পনা করতে
পারবেনা।
সুতরাং
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সত্যিকার অথে ঈমানদার হওয়ার সত্যিকার ভাবে
তাকওয়া অবলম্বনকারী সত্যিকার পরহেযগার বান্দা হিসেবে
চলার জীবন যাপন করার
তৌফিক দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই