সুরা মুমিনুনের ওজিফা। শেষ আয়াতের ফজিলত। অভাব দূর করার আমল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় বন্ধুরা আজকে পবিত্র কুরআনের
২৩ নং সুরা, সুরা মুমিনুনের শক্তিশালি
ওজিফা নিয়ে হাজির হয়েছি
এটি এমন একটি শক্তিশালি ওজিফা
যা কোন শক্তিশালি পাহাড়ের সামনে পড়লে
নবীজির ফরমান পাহাড় পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে দিবে
সন্তান কথা না শুনলে এ ওজিফার পর
কথা শুনবে, ঘরের কেহ কোন কুঅভ্যাসে
লিপ্ত থাকলে এ ওজিফার পর তার সে নেশা
সে কু অভ্যাস ছুটে যাবে
অভাব অনটন থাকলে এ ওজিফার পর
অভাব অনটন দারিদ্রতা দুর হয়ে যাবে
এই ওজিফা করলে হজ্ব নসিব হবে
এবং সবচেয়ে বড় কথা হল খাতেমা বিল খায়র হবে
অর্থ্যাৎ মৃত্যুর সময় কলমা নসিব হবে
আসুন কোন সমস্যার জন্য কিভাবে এই
ওজিফাটি করব তা ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই
প্রথমে এই সুরার শেষ ৪ আয়াতের ব্যপারে
প্রিয় নবীজি কি বলেছেন জেনে নিন
একদিন হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা)
এক পাগল লোককে দেখতে পেলেন যে
মানুষকে বিরক্ত করছিল, তাকে কাছে ডাকলেন
এবং তার কানে কিছু পড়ে ফুক দিলেন
হুজুর (দ) এ দৃশ্য দেখে আবদুল্লাহ বিন মসউদকে ডাকলেন
তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি পড়ে ফুক দিয়েছ
তখন সাহাবী জবাব দিলেন এয়া রাসুলাল্লাহ
আমি সুরা মুমিনুনের শেষ ৪ আয়াত পড়ে ফুক দিয়েছি
তখন হুজুর বললেন আবদুল্লাহ তুমি কি জান
এর ফজিলত কি? যদি কেহ পূর্ণ একিনের সাথে
পাহাড়ের উপর এই ৪ আয়াত পড়ে ফুক মারে
পাহাড়ও রাস্তা দিয়ে দিবে।
সাহাবী এক পাগলকে ফুক মারলে তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন
এই ৪ আয়াত পড়ে যে কোন কঠিন রোগীকে
ফুক দিলে ইনশা আল্লাহ সুস্থ হ’েয় যাবে।
এবার আসুন এ সুরার বাকী ওজিফাগুলি জেনে নিই
যদি নেক আমলে ঘরের কেহ অনিহা করে
নামাজে এবাদতে যদি কেহ অলসতা করে
তাহলে ১ বার সুরা মুমিনুন পড়ে সে ব্যক্তির
খাবার পানিতে যদি ফুক দেয়া যায়
তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে নামাজি বানিয়ে দিবেন
এবং তার মধ্যে এবাদতের আগ্রহ সৃষ্টি করে দেন।
প্রতিদিন ১ বার সুরা মুমিনুন পড়ে ঘরের
সকল খাদ্য দ্রব্য মসলা চিনি লবন সবকিছুতে
ফুক দিয়ে দিলে ঘরের মধ্যে সকলে নামাজি
হয়ে যাবে। সকলে এবাদত গুজার হয়ে যাবে
এই আমল ৪১ দিন পর্যন্ত করতে হবে।
এর আরেকটি উপকারিতা হল যদি কেহ নেশা করে
জুয়ার নেশায় লিপ্ত, কোন হারাম কাজে লিপ্ত
সে চাই নারী হউক বা পুরুষ, তার মধ্যে পবিত্রতা
নিয়ে আসার জন্য এই সুরাতে আলিশান
তাছির আছে। এর নিয়ম হল গোলাপ জলে
ফুক দিবে আর সে গোলাপ জল ১ চামচ
১ গøাস পানিতে মিক্স করে যদি নেশাখোরকে
হারামখোরকে পান করানো যায় তার জবরদস্ত
তাছির প্রকাশ পাবে, তার মনে আল্লাহ তায়ালা
গুনাহের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দিবেন।
যদি গোলাপ জল খাওয়ানো না যায় তাহলে
সাদা পানিতে ১ বার সুরা মুমিনুন পড়ে ফুক
দিয়ে সে পানি পান করাতে পারবেন।
তবে গোলাপ জল যে কোন ভাবে খাওয়াতে
পারলে খুব দ্রæত তাছির হবে।
যারা বিভিন্ন ড্রাগস, ইন্টারনেটের ফিতনাতে
জড়িত, কোন ভাবেই ছুটতে পারছেনা তাদের
জন্য এটা অনেক জবরদস্ত ওজিফা।
এই সুরার ৩য় ওজিফা হল যদি ঘরে অভাব থাকে
আর্থিক সমস্যা থাকে, তাহলে প্রতিদিন ১ বার তেলাওয়াত করে
পানিতে ফুক দিবে আর সে পানি ঘরের দেওয়ালে ছিটাতে হবে
এটা ৭১ দিন পর্যন্ত করতে হবে ইনশা আল্লাহ জবরদস্ত তাছির হবে
ঘরের মধ্যে সচ্ছলতা ফিরে আসবে ।
এ সুরা যদি স্বপ্নে দেখে তার তাবির হল
আল্লাহ তাকে পবিত্র জীবন দান করবেন
কারন এ সুরা শুরু হয়েছে
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ
মুমিনগন সফলকাম হয়ে গেছে দিয়ে
এরপর আল্লাহ মুমিনের ১৩টি গুনাবলী বয়ান করেছেন
এবং যদি কেহ সুরা মুমিনুন পড়তে স্বপ্ন দেখে
তার হজ্ব নসিব হবে। কেননা ঈমানের তাকমিল
হজ্বের মাধ্যমে হয়, ফলে ঈমানের সকল গুনাবলী
যখন তার হাছিল হয়ে যাবে তার জন্য আল্লাহ
আল্লাহর ঘর জেয়ারত সহজ করে দিবেন
এবং এই সুরা স্বপ্নে দেখার আরো ১টি তাবির হল
তাকে আল্লাহ স্বচ্ছলতা দান করবেন
এবং তার মৃত্যু ঈমানের সাথে হবে।
আর ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করতে পারা
এটা অনেক বড় নেয়ামত
আমি সুরা মুমিনুন এর শুরু থেকে কিছুটা তেলাওয়াত করছি
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَমুমনিগণ সফলকাম হয়ে গছে,ে
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَযারা নজিদেরে নামাযে বনিয়-নম্র
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَযারা অর্নথক কথা-র্বাতায় নর্লিপ্তি,
وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَযারা যাকাত দান করে থাকে
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَএবং যারা নজিদেরে যৌনাঙ্গকে সংযত রাখ।ে
এবার শষেরে ৪ আয়াত শুনুন
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَতোমরা কি ধারণা কর য,ে আমি তোমাদরেকে অর্নথক সৃষ্টি করছেি এবং তোমরা আমার কাছে ফরিে আসবে না?
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِঅতএব র্শীষ মহমিায় আল্লাহ, তনিি সত্যকিার মালকি, তনিি ব্যতীত কোন মাবুদ নইে। তনিি সম্মানতি আরশরে মালকি।
وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَযে কউে আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাক,ে তার কাছে যার সনদ নইে, তার হসিাব তার পালণর্কতার কাছে আছ।ে নশ্চিয় কাফরেরা সফলকাম হবে না।
وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَবলূনঃ হে আমার পালনর্কতা, ক্ষমা করুন ও রহম করুন। রহমকারীদরে মধ্যে আপনি শ্রষ্টে রহমকারী।
কোন মন্তব্য নেই