১০০% পরীক্ষিত রমজানে সেহরীর সময় ১টি ওজিফা সব আশা পুরণ হবে সব দোয়া কবুল হবে

 

১০০% পরীক্ষিত রমজানে সেহরীর সময় ১টি ওজিফা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিবে সব আশা পুরণ হবে সব দোয়া কবুল হবে



প্রিয় বন্ধুরা আজকে রমজানে সেহরীর সময় করার মত এমন একটি ওজিফার কথা বলব যে ওজিফাটি ১০০% পরীক্ষিত যারাই এ ওজিফাটি করেছেন তারাই সফল হয়েছেন ১ম রমজানের সেহরী থেকে ওজিফাটি করা আরম্ভ  করবেন ইনশা আল্লাহ রমজান শেষ হওয়ার আগে আগে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে আপনার সব চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে আপনার যত দোয়া যত মনের আশা পুরণ হবে সারা জীবন যে দোয়া কবুল হয়নি তাও কবুল হবে

বুখারী শরীফের হাদিস আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা) স্বপ্ন দেখলেন তখন সাহাবীরা স্বপ্ন দেখলে তা রাসুলুল্লাহ (দ) কে শুনাতেন আর হুজুর (দ) স্বপ্নের তাবির করতেন কেহ কোন মিথ্যা স্বপ্ন শুনাতেন না, কারন যদি কেহ মিথ্যা স্বপ্ন বর্ননা করত তা হুজুর (দ) ধরে ফেলতেন ইবনে ওমর নওজোয়ান ছিল- তিনি বলেন আমারও আশা ছিল আমি কোন ভালো স্বপ্ন দেখব আর তা হুজুরকে বলব অবশেষে একদিন স্বপ্ন দেখলেন- ২ ব্যক্তি  তাঁকে ধরে নিয়ে গেল একটি আগুনে ভরপুর কুয়া যাতে তাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তিনি খুবই ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে গেলেন, অনেক চিৎকার করতে লাগলেন আবদুল্লাহ বলেন আমি সেখানে এমন কিছু লোককে দেখতে পেলাম যাদেরকে আমি চিনতে পারছিলাম হঠাৎ দেখতে পেলেন সে কুয়ার মুখ বন্ধ, ফলে যারা তাকে কুয়াতে নিক্ষেপ করছিল তাদেরও কুয়াতে নিক্ষেপে সমস্যা হচ্ছিল।

তখন একজন ৩য় ব্যক্তিকে দেখা গেল, আর তিনি বললেন ভয় পাবেনা। আর তিনি ঐ দুই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলেন তোমরা একে কেন জাহান্নামে নিক্ষেপ করছ? তাকে ছেড়ে দাও। এতটুকুতেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল, আবদুল্লাহ (রা) স্বপ্নটি হুজুরকে না বলে নিজের বোন হযরত হাফসাকে শুনালেন, যাতে হুজুর থেকে এর  তাবির জিজ্ঞেস করে, উম্মুল মুমিনিন হযরত হাফসা (রা)  নিজ ভাই এর স্বপ্নের কথা নবী করিম (দ) কে বললেন স্বপ্নটি দেখার পর হুযুর (দ) এক আজিব কথা বললেন-

"‏ نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ‏"‏‏.

অর্থ্যাৎ আবদুল্লাহ কতইনা ভালো লোক! যদি সে রাত জেগে নামাজ পড়ত? এরপর থেকে হযরত আবদুল্লাহ (রা) রাতে নামাজ পড়তেনখুব কমই ঘুমাতেন। সুত্র: বুখারী ১০৫৫, মুসলিম ৬১৪৬

এ ঘটনায় আমাদের জন্য একটি ওজিফা আছে তা বলব তার আগে আরো ১টি হাদিসের দোয়া শিখে নিন যা অত্যন্ত উপকারী এবং রমজানে করা সহজ হযরত উবাদা ইবনে সামিত (রা) হতে বর্ণিত  তিনি বলেন- নবী করিম (দ) বলেছেন যে ব্যক্তি রাতে জেগে উঠে এই দোয়াটি পড়বে

لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু
ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন কাদির

الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسُبْحَانَ اللهِ وَلآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ এরপর বলবে (আল্লাহুম্মাগফিরলি)

তারপর যে দোয়া করবে সেটাই কবুল হবে এবং তখন যে নামাজই পড়বে সে নামাজ কবুল হবে হাদিসের সুত্র বুখারী ১১৫৪ প্রিয় বন্ধুরা আমরা আজকের সহি বুখারীর ২টি হাদিস থেকে যে মুজাররব ওজিফাটি পেলাম তা হল  যখন সেহরীর সময় উঠবেন তখন প্রথমে দোয়াটি পড়বেন তারপর (আল্লাহুম্মাগফিরলি ) বলবেন তারপর নিজের জন্য অন্যের জন্য যত দোয়া আছে সকল দোয়া করবেন, তারপর অজু করবেন এরপর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বেন তাহলে আপনার দোয়াও কবুল হবে নামাজও কবুল হবে কারন প্রিয় নবীজি ঘোষনা দিয়েছেন

دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ

দোয়াও কবুল হবে তারপর অজু করে সালাত পড়লে সালাতও কবুল হবে

রমজানে প্রায় প্রত্যেকেই সেহরী খেতে উঠেন তখন এই দোয়াটি পড়বেন ১০০% আপনার সব দোয়া সব আশা পুরন হবে এরপর তাহাজ্জুদ পড়লে তাও কবুল হবে দোয়াটি লিখে রাখবেন আমি আবার বলছি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলক ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন কাদির ু আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ

অন্যসময় তাহাজ্জুদ পড়তে কঠিন হলেও রমজানে এ আমল সকলের জন্যই সহজ যে নামাজ আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষার জন্য যথেস্ট হবে যেমন আবদুল্লাহ বিন ওমরের স্বপ্নের ব্যপারে হুজুর (দ) বলেছেন ২ রাকাত করে করে ১২বা১০বা৮বা৬বা৪ বা ২রাকাত পড়বেন রমজানের ১ মাস করে দেখুন হাতে হাতে ফল পাবেন।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.