সন্তানকে বাধ্য করার আমল। অবাধ্য স্বামীকে বাধ্য করার দোয়া

  بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ

সন্তানকে বাধ্য করার আমল। অবাধ্য স্বামীকে বাধ্য করার দোয়া



দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আজকাল অধিকাংশ পিতা মাতার অভিযোগ সন্তান নাফরমান, এমন কোন ঘর নাই যেখানে এই সমস্যা নাই

অনেক সময় বিবিও নাফরমান হয়, স্বামীও নাফরমান হয়, ভাই বোন নাফরমান হয়, মা বাবাও নাফরমান হয়, কর্মচারী নাফরমান হয়

আজকে আমি এমন এক কোরআনি সুরা বা ইসমে আজম এর ওজিফা দিব যা শুনার পর নিজেই বলবেন এই আমলটি খুব দামী আমল

এমন অনেক ঘর আছে যা স্বামীর নাফরমানির কারনে বরবাদ হয়ে গেছে, অনেক ঘর স্ত্রীর নাফরমানির কারনে বরবাদ হয়

কত ঘর এমনও আছে যা শুধু শাশুড় শাশুড়ির কারনে উজার হয়ে যায়,  অতএব ঘরে যদি কোন নাফরমান থাকে চাই সে মা হউক, বাবা হউক

ভাই বোন হউক, স্বামী স্ত্রী হউক, সন্তান হউক, ঘরের কর্মচারী হউক কখনো আমরা তাদের বিরুদেধ এই অভিযোগ করিনা যে এ নামাজ পড়েনা

কোন স্ত্রী এই অভিযোগ করেনা যে আমার স্বামী নামাজ পড়েনা, কোন স্বামী এই অভিযোগ করেনা যে আমার স্ত্রী নামাজ পড়েনা,

কোন সন্তান এটা অভিযোগ করেনা যে আমার মা বাবা নামাজ পড়েনা, কোন মা বাবা এটা অভিযোগ করেনা যে আমার  সন্তান নামাজ পড়েনা

আমরা বেশী অভিযোগ করে থাকি সন্তান নাফরমান, কথা শুনেনা। মনে রাখবেন যখন আপনি নাফরমানি করবেন তখন আল্লাহর নিয়ম হল তিনি 

আপনার অধিনস্থদেরকে নাফরমান বানিয়ে দিবেন। হযরত ফুযাইল বিন আয়ায (রহ) ফরমান যখন আমি কোন বাহনের উপর সওয়ার হই

আর আমার সাওয়ারি যদি জিদ করতে থাকে, আমাকে উঠতে না দেয়, কিংবা উসৃংকল আচরন করে তখন আমি বুঝতে পারি আমার দ্বারা 

আল্লাহর কোন নাফরমানি হয়ে গেছে। সুতরাং যদি সন্তান নাফরমানী করে তাহলে প্রথমে দেখতে হবে মা বাবার দ্বারা কোন গুনাহ হয়েছে কিনা।

প্রথমে সে গুনাহ থেকে তওবা করবেন তারপর এই আমলটি করবেন। তাহলেই উপকার পাবেন। আর যদি শুধুমাত্র আমল বা ওজিফা করেন তাতে উপকার হবেনা।

এখন আমি সে ইসমে আজমের আমলটি বলব যে আমলটি করলে নাফরমান যেই হউক, সে যত বড় ধরনের নাফরমানই হউক বাধ্য হবে

যে সমস্ত আউলিয়া কেরাম গন বড় বড় কুফুরি শিরিকি এলাকায় গিয়ে যে ইসমে আজমের দ্বারা এলাকাকে কুফুর শিরিক মুক্ত করেন

নাফরমান বান্দাদেরকে ফরমাবরদার বানান, সে ইসমে আজম এর দ্বারা আপনিও আপনার অধিনস্থ যে কোন নাফরমানকে ফরমাবরদার বানাতে পারবেন

প্রথমে তাকে নামাজি বানানোর চেষ্টা করবেন, যখন সে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়ে যাবে তখন সে আপনার জুতা বহন করে আপনার পিছে পিছে চলবে

যতক্ষণ সে আল্লাহ ও রসুলের হতে পারবেনা ততক্ষণ সে আপনারও হতে পারবেনা। এই কথাটি মনের মধ্যে গেথে রাখুন

অতএব যারা বলেন সন্তান নাফরমান তারা প্রথমে নিজেকে নিজে ঠিক করবেন, তারপর সন্তানকে বা যে নাফরমান তাকে নামাজি বানান

এরপর ওজিফা হিসেবে কোরআনে ছোট ১টি সুরা পড়বেন। যে সুরাটির মধ্যে ইসমে আজম আছে সুরাটি হল সুরা তীন

এই সুরাটি ৪১ বার পড়বেন আগে পড়ে ৭ বার করে দরুদ শরীফ পড়ে যে নাফরমান তাকে ফুক দিবেন তাকে পানি পান করাবেন

ইনশা আল্লাহ ৭ দিনের মধ্যে সে আপনাকেও মান্য করবে আল্লাহ রাসুলকেও মান্য করবে

যদি বে নামাজি হয় তা হলে নামাজি হয়ে যাবে, যারা আল্লাহর ওলি তারা যখন কোন এলাকায় দাওয়াত দিতে যান তখন তারা এই সুরাটি পড়তে পড়তে যান

 যেই নাফরমান হবে সে ফরমাবরদার হয়ে যাবে, স্বামী স্ত্রীর জন্য, স্ত্রী স্বামীর জন্য, মা বাবা সন্তানের জন্য, মালিক কর্মচারির জন্য এই আমলটি করতে পারবেন 

অনেক সন্তান এমন আছে বিদেশে গিয়ে আর বাড়ীতে আসতে চায়না, সে রকম সন্তানের জন্যও মা বাবা দেশে বসে এই আমল করতে পারবে 

ইনশা আল্লাহ এর তাছির বিদেশেও পৌঁছে যাবে, তেমনি স্ত্রী রাগ করে স্বামীর ঘর থেকে চলে গেছে, বা স্বামী ঘর থেকে রাগ করে চলে গেছে

তখনও স্বামী বা স্ত্রী ৪১ বার সুরা তিন পড়ে আগে পরে ৭ বার দরুদ পরে দোয়া করবেন ইনশা আল্লাহ ৭ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে

অথ্যাৎ যারা পানি পান করাতে পারেনা বা ফুক দেয়ার সুযোগ নাই তারা এই আমল করে দোয়া করবেন। তাতেই আল্লাহর ফযলে কাজ হবে।

ওয়াত তিন ওয়াজ জাইতুন, ওয়া তুরি সিনিন, ওয়া হাজাল বালাদিল আমিন, লাকাদ খালাকনাল ইনসানা ফি আহসানি তাকভিম

ছুন্মা রাদাদনাহু আসফালা সাফিলিন, ইল্লাল্লাজিনা আমানু ওয়ামিলুস সোয়ালিহাতি ফালাহুম আজরুন গাইরু মামনুন।

ফামা ইউকাজ্জিবুকা বাদু বিদ্দিন আলাইচাল ল্লাহু বি আহকামিল হাকিমিন

আমলটি ৪০ দিন করতে হবে, তবে ৭ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

অতএব প্রথমে গুনাহ থেকে নিজে তওবা করবেন, নাফরমানকে নামাজ পড়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তারপর এই সুরার আমলটি করবেন

৭ দিন থেকে ৪০ দিনের মধ্যে আপনার, অবাধ্য সন্তান বাধ্য হবে, অবাধ্য স্বামী বাধ্য হবে, অবাধ্য স্ত্রী বাধ্য হবে ইনশা আল্লাহ।


কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.