দ্রুত ধনী হওযার আমল। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দোয়া।
দ্রুত ধনী হওযার আমল। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দোয়া।
بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ
ٱلرَّحِيمِ
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ
আপনার চাকরি
নাই? কোন সমস্যা নাই। আমরা চাকরির
জন্য ১বছর ২ বছর ৫ বছর ১০ বছর চেষ্টা করি
বিশ্বাস করুন
আমি একজন ভাইকে চিনি যার ১০ বছর যাবৎ কোন চাকরি ছিলনা
কিন্তু গত ৬
মাসে সে আয় করেছে ৬ মিলিয়ন টাকা। কি ঘটল? আল্লাহ তায়ালা কি তাকে একসাথে সবকিছু দিয়ে দিলেন?
এটা একটিসত্য
ঘটনা। অথচ ১০ বছর সে এত বেশী চেষ্টা করেছে, কষ্ট করেছে তবুও উপার্জন ছিল হেন্ড টু মাউথ
সকলে তাকে ইগনুর
করে চলত, কিন্তু এখন আল্লাহ তার জন্য
রহমত বরকতের দরজা খুলে দিয়েছেন
অনেক লোক আছে
চেষ্টা করছে কিন্তু পাশাপাশি আল্লাহর কাছে চায়না, তার মন দৌঁড়াদৌঁড়ি করে
যেখান থেকে
বরকত আসবে যে দিক থেকে আল্লাহর রহমত আসবে সে দিকগুলি বন্ধ করে রাখে—যেমন তার একটি হল বিয়ে না করা
অনেকে মনে করে
ভালো আয় রোজগার করার পর বিয়ে করব, আর
সে নেশায় সঠিক সময়ে বিয়ে করেনা যার ফলে আল্লাহর রহমত আসতেও দেরি হয়
অনেকের সঠিক
স্থানে কলব স্থির থাকেনা, হয়ত সে যে কাজে
সফল হবে সে কাজ অল্প দিন করে ছেড়ে দেয়
অনেকে ববসা
শুরু করে অল্পদিন করেই ছেড়ে দেন, হয়ত
ব্যবসাটিতে যখন সফলতা আসতে শুরু করবে তার আগ মুহুর্তেই ছেড়ে দেয়
কিন্তু সে যদি
লেগে থাকত, তার উপর স্থির থাকতে পারত
তাহলে হয়ত সফলতার নাগাল পেত।
সে জন্য প্রত্যেকের
উচিত প্রতিদিন দোয়াটি পড়া, যে
দোয়াটি আমাদের নবীজি (দ)ও পড়তেন
তিরমিজি শরীফের
৩৫২২ নং হাদিস শাহর ইবন হাওশাব (রহঃ) থেকে
বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি উন্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে বললামঃ হে উন্মুল
মুমিনীন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন
আপনার কাছে অবস্থান করতেন তখন অধিকাংশ সময় তিনি
কি দুয়া করতেন? তিনি বললেনঃ তাঁর অধিকাংশ
দু’আ ছিলঃ
يَا مُقَلِّبَ
الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
উচ্চারণঃ ইয়া মুকাল্লিবাল কুলূব ছাব্বিত কালবী আলা দীনিকা অর্থঃ হে
অন্তর পরিবর্তনকারি! আমার অন্তর তুমি তোমার দীনে সুদৃঢ় রাখ।
তিনি বলেনঃ
আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি অধিকাংশ সময় এই দু’আ কেন করেন যে, ইয়া মুকাল্লিবাল কুলূব ছাব্বিত কালবী আলা দীনিকা?
তিনি বললেনঃ
হে উন্মে সালমা! এমন কোন মানুষ নেই যার অন্তর আল্লহ ত’আলার অঙ্গুলী সমূহের দুই অঙ্গুলের মাঝে নেই।
যাকে তিনি ইচ্ছা
তাকে তিনি দিনের উপর কায়েম রাখেন, যাকে
ইচ্ছা তিনি সরিয়ে দেন।
সুতরাং আমাদের
অন্তর কে স্থির রাখবেন আমাদের অন্তরকে সঠিক স্থানে স্থায়ী রাখবেন আমাদের অন্তরকে সঠিক
দিকে ধাবিত করবেন
তিনি হলেন আমাদের
আল্লাহ, আল্লাহ যদি আমাদেরকে সঠিক
দিকে মনকে না ফিরান, কিংবা আল্লাহ যদি আমাদের অন্তরকে
সঠিক স্থানে
স্থায়ী না রাখেন তাহলে আমরা বছরের পর বছর সট্রাগল করতে থাকব সফলতার নাগাল পাবনা
তাই সঠিক সিদধান্ত
নিতে পারার জন্য, সঠিক কাজে হাত দেয়ার জন্য,
সঠিক উপায় অবলম্বন করার জন্য
আল্লাহর কাছে
আমাদের দোয়া করে যেতে হবে তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের মনকে বক্র হতে দিবেন না।
সফলতার দোড়
গোড়ায় গিয়ে আমরা ফিরে আসবনা, এবং
আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বরকতের দরজা খুলে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই