হায়াত ও রিজিক বৃদ্ধির আমল।

 

১টি আমল করলে হায়াত ও রিজিক বাড়তেই থাকবে



রিজিকে হায়াতে বরকত চান কারা কারা? আপনারা কি রিজিকে হায়াতে বরকত চান? ১টা আমল করবেন রিজিকও বাড়বে হায়াতও বাড়বে  আমলটি প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে শুনে যদি বুঝে আমল করতে পারেন তাহলে ১০০% আপনার রিজিক ও হায়াত বৃদ্ধি পাবে

আমাদের অবস্থা হল যদি আমাদের সামনে কুরআন ও হাদীসের পরিস্কার বিধান রেখে দেয়া হয় তবুও আমরা শুধুমাত্র লোকে কি বলবে  লোকে কি মনে করবে চিন্তা করে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী সে কাজটি করে ফেলি। যেমন বিয়ে অনুষ্ঠানে মেহেদী অনুষ্ঠান এর নামে গান বাজনা করি

আমরা যে পেন্ট পরিধান করি, তা টাখনুর নিচে পরি, অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃযে টাখনুদ্বয়ের নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরা হয় তা আগুনের মধ্যে জ্বলবে” 

অপর হাদিসে আছে আল্লাহ তায়ালা তার দিকে কিয়ামতের দিন ফিরেও তাকাবেন না।
এত বড় ধমক দেয়া সত্বেও আমরা  টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে এই জন্য পরিধান করি যে লোকে কি বলবে? বন্ধুরা বলবে কিরে ছোট ভায়ের পেন্ট পরে চলে আসছস নাকি?

খাবারের সময় বাম হাত দিয়ে পানি পান করি কারন লোকে কি বলবে? রাসুল (সা.) আজীবন ডান হাত দিয়ে খাবার খেতেনবাম হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন তিনিআব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত,

রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বাম হাত দ্বারা খাবার খেয়ো না ও পান করো নাকেননা শয়তান বাম হাতে খায় ও পান করে’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৩৭৬; মুসলিম, হাদিস নং: ২০২২)

আমরা প্রায় সকলেই পানি খাওয়ার সুন্নতটা এই জন্য তরক করি বাম হাতে পানি পান করি কারন কি? লোকে কি বলবে?

আমরা নবীর হকুমকে অমান্য করা থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনে টিস্যু দিয়ে গ্লাস ডান হাতে ধরতে পারি, অথবা খাবার শেষে হাত ধুয়ে তারপর ডান হাতে পানি পান করতে পারি

আঙুল চেটে খাওয়ার ফলে বরকত লাভের অধিক সম্ভাবনা থাকেকারণ খাবারের বরকত কোথায় রয়েছে মানুষ তা জানে নারাসুল (সা.) বলেন,

তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করো তখন আঙুল চেটে খাওকেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৯১৪)
কিন্তু আমরা এই আমল করিনা কারন লোকে কি বলবে?

খাবার গ্রহণের সময় কখনো কখনো থালা-বাসন থেকে এক-দুইটি ভাত, রুটির টুকরো কিংবা অন্য কোনো খাবার পড়ে যায়। সম্ভব হলে এগুলো তুলে পরিচ্ছন্ন করে খাওয়া চাই।

রাসুল (সা.)-এর খাবারকালে যদি কোনো খাবার পড়ে যেত, তাহলে তিনি তুলে খেতেন। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের খাবার আহারকালে যদি লুকমা পড়ে যায়, তাহলে ময়লা ফেলে তা ভক্ষণ করো। শয়তানের জন্য ফেলে রেখো না। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১৯১৫;

এক সাহাবী রোমের বাদশার দাওয়াতে মাটিতে পরে যাওয়া খাবার যখন তুলে খেতে লাগলেন তখন একজন বললেন এটা খেলে রোমের বাদশা মাইন্ড করবে, তখন সে সাহাবী বললেন  রোমের বাদশার পরোয়া করিনা খাবার মাটিতে পরে গেলে তা প্রয়োজনে ধুয়ে খাওয়া আমার প্রাণের নবীর নির্দেশ।

তাই লোকে কি মনে করবে কে কি ভাববে সে জন্য আমি নবীর হকুম পালনে গড়িমসি করতে পারিনা। সুবহানাল্লাহ।

হযরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা) এক গোলামকে ১টি রুটির টুকরা পরিস্কার করে রেখে দিতে বললেন তিনি বিকালে তা চাইলে গোলাম বলল আমি তা খেয়ে ফেলেছি, তখন আবদুল্লাহ তাকে আযাদ করে দিলেন এবং ফরমান আমি শুনেছি নবী করিম () বলেছেন যে রুটির পতিত টুকরা তুলে নিয়ে খেয়ে নেয়  তা তার পেটে যাওয়ার আগে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন, সুতরাং যাকে আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন তাকে আমি কিভাবে গোলাম হিসেবে রাখতে পারি। (তাম্বিহুল গাফিলিন ৩৪৮ পৃ, ৫১৪ নং হাদিস)

আমরা ক্ষুদ্র জ্ঞানের অধিকারী কিন্তু আমাদের নবী হলেন জ্ঞানের সমুদ্র তাই আমাদের উচিত উনার কথাকে শিরধার্য্য করে নেয়া তবেই আমাদের জন্য কল্যান, যদিও সেটা আমাদের জন্য বুঝতে কষ্ট হয় তবুও আমাদের উচিত মাথা ঝুকিয়ে দেয়া আর এটার নামই হল ইসলাম

আবু দাউদ শরীফের ৩৮৪৪ নং হাদিস আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পড়লে তা এর ভিতরে ডুবিয়ে দাও।

কেননা তার এক ডানায় রোগ এবং অপর ডানায় নিরাময় রয়েছে। সে জীবাণুযুক্ত পাখা ডুবিয়ে দিতে চেষ্টা করে। কাজেই তা সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে দাও বিজ্ঞানিদের বিজ্ঞানী আমাদের নবীজির সে কথাটার সত্যতা যাচাই করে দেখে বিজ্ঞানিরা প্রমাণ পেয়েছে।

আমাদের অভ্যাস হল কোন বিধান আমাদের যুক্তিতে না ধরলে তা আমাদের কাছে মানা কষ্টকর হয়ে যায় অথচ সাহাবীদের অভ্যাস হল তারা যখনই ইসলামের বিধান জানত সাথে সাথে তা বিনা দ্বীধায় পালন করে ফেলত যতদিন মুসলমানরা নবীর কথাকে শীরধার্য্য করেছেন ততদিন মুসলমানরা বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আজ যেহেতু মুসলমানরা নবীর কথাকে অমান্য করছে তাই সারা বিশ্বে মুসলমানরা মার খাচ্ছে আজ আমরা রিজিক ও হায়াত কেন কম তা নিয়ে অভিযোগ করি, কিন্তু এই রিজিক ও হায়াত বাড়ানোর জন্য নবীজি যে আমলের কথা বলেছেন তা করিনা, অথচ আমলটি অত্যন্ত সহজ একটি আমল

(বুখারী ২০৬৭, ৫৯৮৬, মুসলিম ৬৬৮৭-৬৬৮৮) নং হাদিসের বর্ণনা

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ مَن أحَبَّ أنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ ويُنْسأَ لَهُ فِي أثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, তার রুযী (জীবিকা) প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে।

ভাই ভাই সম্পর্ক অটুট রাখবেন, ভাই বোন সম্পর্ক নষ্ট হতে দিবেন না, মা বাবার সাথে সম্পর্ক মজবুত করবেন, রক্ত সম্পর্কের কোন আত্মিয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হতে দিবেন না আল্লাহর রসুল (দ) বলেন রিজিকও বাড়তে থাকবে, হায়াতও বাড়তে থাকবে ।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.