সব দোয়া কবুল সব আশা পুরনে ৭টি ইসমে আজম এর আমল
সব দোয়া কবুল সব আশা
পুরনে ৭টি ইসমে আজম এর আমল
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, প্রিয় বন্ধুরা
যাদের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে, তাদের জন্য আজকের দোয়াটি ১০০% কার্যকরী
যারা দোয়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন, যাদের দোয়া
কবুল হয়না তাদের জন্য সুখবর, যাদের মনের আশা পুরন হয়না যাদের সমস্যা
সমাধান হয়না তাদের জন্য
সুখবর। যাদের অভাব অনটন দুর হয়না, যাদের ঋণ পরিশোদের কোন ব্যবস্থা হচ্ছেনা তাদের জন্য সুখবর
আজকে ৭টি দোয়া ও ইসমে আজম শেয়ার করব, যে ইসমে আজমের পর
যত কঠিন সমস্যা হউক সমাধান হয়ে যাবে মনের সব আশা পুরণ হবে, সকল দোয়া
কবুল হবে, পাহাড় সমান ঋণ
পরিশোধের ব্যবস্থা হবে, যত কঠিন
সমস্যাই হউক ইনশা
আল্লাহ সমাধান হবে
প্রথম দোয়াটি হল জলিলুল কদর তাবেঈ হযরত সাঈদ ইবনুল মুসায়্যিব থেকে হযরত ইমাম ইবনে আবি শাইবা (রহ)
লিখেন একদিন হযরত সাঈদ
ইবনুল মুসায়্যিব (রহ)
ফজরের নামাজের জন্য বের হলেন, অথচ তখনও ফজর হতে অনেক দেরি ছিল তিনি ফজর হয়েছে ভেবে মসজিদে গভির রাতে পৌঁছে গেলেন, তিনি যখন মসজিদে একাকি ছিলেন হঠাৎ পিছনে কিছু একটা নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলেনআওয়াজ শুনে তিনি ভয় পেয়ে গেলেন, তখন পিছন থেকে কেহ একজন বলল ভয় পেওনা, তুমি এই দোয়াটি পড়
তারপর তোমার যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে চাও, আল্লাহ
তোমার সকল চাওয়া পুরন করে দিবেন, হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রহ) বলেন আমি সে কলমাটির সাহায্যে পরবর্তীতে যে দোয়াই করেছি আমার সে দোয়া আল্লাহর ফজলে কবুল হয়েছে এই কলমার সাহায্যে আমি আল্লাহর কাছে যাই চেয়েছি আল্লাহ তায়ালা আমাকে তাই দিয়েছেন, আমার সব আশা পুরণ হয়েছে দোয়াটি হল:
اللهم، إنك مليك مقتدر ما تشاء من أمر يكون
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা মালিকুন মুকতাদির মা তাশাউ
মিন আমরিন এয়াকুন
আল্লামা মক্কি হিজাজি বলেন- এক লোক মসজিদে
নামাজের পর বসে বসে দোয়া করছে আর কাঁদছে, অন্তত্য নম্রতার সাথে কাঁকুতি মিনতির সাথে দোয়া করছিল।
সে সময় সেখানে একজন আল্লাহর অলি উপস্থিত হলেন, তিনি দেখলেন কাঁদতে কাঁদতে সে বেচারার হালত খুবই নাজুক হয়ে গেছে তখন সে বুযুর্গ সে লোকের পাশে বসলেন এবং তার সমস্যার কথা
জিজ্ঞেস করলেন- তখন সে লোক বলল হুযুর আমি এত বেশী কর্জের মধ্যে ডুবে গেছি যে যদি আমি আমার জায়গা জমি ঘর বাড়ী
সবকিছু বিক্রীও করে দিই তবুও আমার সে কর্জ আমি পরিশোধ করতে পারব না, তাছাড়া আমি একজন সম্মানিত ব্যক্তি,
এখন কেহ যদি কর্জের টাকা নিতে এসে যায় তাহলে আমিতো লজ্জায় মরে যাব, আমি এখন পাওনাদারদের কি বলব কি ভাবে বুঝাব বুঝতে পারছি না, তখন সে বুযুর্গ তার সব কথা শুনে বললেন ভাই এটা এত কঠিন কোন
বিষয় না যে তুমি এ জন্য এত পেরেশান হয়ে আছ,
আজ আমি তোমাকে এমন এক দোয়া শিখিয়ে দিব, সে দোয়াটি তুমি ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়বে এবং বিশেষ করে তাহাজ্জুদের সময় উঠে ২ রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে এই দোয়াটি পড়বে তাহলে তোমার সকল কর্জ
ইনশা আল্লাহ পরিশোধ হয়ে যাবে।
দোয়াটি হল (এয়া আলিয়্যু এয়া আজিমু এয়া আলিমু এয়া হালিম- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা
মালিকুন মুকতাদির মা তাশাউ মিন আমরিন এয়াকুন, আল্লাহুম্মা আছইজনি ফিদ দারাইন, আল্লাহুম্মা ইখজি আন্নাদ দাইন)
এই দোয়াটি পড় কেননা এতে আল্লাহ দুটি এমন নাম আছে (মালিক ও মুকতাদির) এই দুটি
নাম হল ইসমে আজম। যেমন সুরা
ক্বমরের ৫৫ নং আয়াতে এই দুটি নাম আছে
فِي مَقْعَدِ صِدْقٍ عِندَ مَلِيكٍ مُّقْتَدِرٍ
যোগ্য
আসনে, সর্বাধিপতি
সম্রাটের সান্নিধ্যে। [ সুরা ক্বামার ৫৪:৫৫ ]
সে লোক বলেন আলহামদুলিল্লাহ আমি এই দোয়া পড়া শুরু করে দিলাম এবং অতি অল্প
দিনের মধ্যেই আমার সকল কর্জই আল্লাহর রহমতের পরিশোদ হয়ে গেল, আমার ব্যবসার মধ্যে অফুরান বরকত এসে গেল, আমার ক্ষেত খামারে বরকত এসে গেল কয়েক মাসের মধ্যেই আমার সকল কর্জই পরিশোধ হয়ে গেল এবং আমি
ক্রোরপতি বনে গেলাম।
আল্লাহর হাবিব (দ) বলেন দোয়া নিশ্চয়ই কবুল হবে যদি ৪টি ইসমে আজম থেকে কোন ১টি
ইসমে আজম দিয়ে দোয়া কর। তা কখনো ফেরত দেয়া হবেনা।
অজু করে কেবলামুখি হয়ে এই ৪টি কলমা থেকে কোন ১টি কলমা অবশ্যই পড়বেন
১ম কলমা হল (ওয়া
ইলাহুকুম ইলাহুও ওয়াহিদ লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রাহমানুর রাহিম)
২য় কলমা (আলিফ লাম লিম, আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম)
৩য় কলমা (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা বি আন্নি আশহাদু আন্নাকা আনতাল্লাহু লা
ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম এয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম এয়াকুন
লাহু কুফুয়ান আহাদ)
৪থ কলমা (আল্লাহুম্মা লা ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতে ওয়াল আরদ, জাল জালালি ওয়াল ইকরাম)
এই ৪টি কলমা থেকে কোন ১টি কলমা পড়ে যদি দোয়া করেন আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া
ফিরিয়ে দিতে পারেন না।
কারন এগুলি হল ইসমে আজম আল্লাহর রাসুল (দ) বলেন
(ইজা দুঈয়া ফা আজাব ওয়া ইজা সুঈলা ফা আতা) যা দোয়া করবে তা কবুল হবে, যা চাইবে তাই দেয়া হবে।
নবী (সা.) দোয়ার ক্ষেত্রে যে দুটি জিনিস প্রাধান্য দিতেন তা হলো, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম এবং ইয়া ইইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম বিরহমাতিকা আস্তাগিছ।
অনেকে এ কথা বলেছেন যে এ দুটি হল ইসমে আজম, এ জন্য রাসুল (সা.) এটাকে বেশি প্রাধান্য দিতেন।
হযরত সুলাইমান (আ) এর যুগে যে লোক রানি বিলকিসের সিংহাসন চোখের পলকে নিয়ে এসেছেন তাকে আল্লাহ তায়ালা কিতাবের এলম দিযেছেন আর সে এলম সম্পর্কে মুফাসসিরিনে কেরাম বলেন সেটা হল ইসমে আজমের এলম,
তিনি ইসমে আজম পড়ে দোয়া করার সাথে সাথে হযরত সুলাইমান (আ) চোখের পলক ঝাপটানোর আগে আগেই
রানি বিলকিসের সিংহাসন সামনে উপস্থিত হয়ে গেল। এটাই হল ইসমে আজমের তাছির বা প্রভাব ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উক্ত ৭টি
ইসমে আজম গুলি মুখস্থ করে সেগুলির মাধ্যমে দোয়া করার তৌফিক দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই