গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দোয়া টি পড়ুন, যা চাইবেন তাই পাবেন। সমস্যা সমাধান। অভাব দূর দোয়া কবুল হবে।

 

গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দোয়া টি পড়ুন, যা চাইবেন তাই পাবেন। সমস্যা সমাধান। অভাব দূর দোয়া কবুল হবে।



আজকে হাদিস শরীফ থেকে রাতের এমন সহজ আমলটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যে আমল করলে ফলাফল দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন রাতে ঘুমানোর সময় ও রাতে চোখ খুলে গেলে মাত্র ১০ সেকেন্ডের আমলে বিশ্বনবী কি কি সুখবর দিয়েছেন তা শুনে কোন ঈমানদার এসব আমল জীবনেও মিস করতে পারবেনা একান্ত বোকা লোক কিংবা নবীর বাণীর প্রতি অবিশ্বাসীরা ছাড়া আর কেহই এই ফজিলতপূর্ণ দোয়া ও আমলগুলি বাদ দিতে পারবেনা।

প্রত্যেকটি আমল হাদীস শরীফের রেফান্সেসহ তুলে ধরেছি, যারা পুরা রাত নিরাপত্তা চান, যারা ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হলে কিয়ামতের দিন যেন ইজ্জতের সাথে উঠতে পারেন সেটা চান যারা ৩ মিনিটে বালাখানার মালিক হতে চান, যারা ১ মিনিটে সম্পূর্ণ কোরআন পাঠের নেকি লাভ করতে চান, যারা ১ মিনিটে ১০০০ গুনাহ মাফ করাতে চান যারা ১ রাতেই সব অভাব মোচন করতে চান, সব দোয়া কবুল করাতে চান, সব সমস্যা সমাধান চান, আল্লাহর সরাসরি সাহায্য চান তাদের জন্য আজকের আমলগুলি খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময় ব্যয় করে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত আমলগুলি শুনবেন ভালো লাগলে ভিডিওটি টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখবেন, অন্যকে আমল করতে উৎসাহিত করবেন আবু দাউদ শরীফের ৪৮৫৬ নং হাদিসের বর্ণনা নবীজি এরশাদ করেন যে ব্যক্তি বিছানায় মাথা লাগায় বালিশে মাথা লাগায় কিন্তু আল্লাহর নাম নেয়না তার জন্য এটা আফসুসের কারন হতে পারে। সে জন্য আমাদের নিদ্রাটা যেন সুন্নাহ মোতাবেক হয়। সহি বুখারীর ৬৩২০ নং হাদিসের বর্ণনা

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم" إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْفُضْ فِرَاشَهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ، فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ،

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের কোন ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করতে যায়,তখন সে যেন তার লুঙ্গির ভেতর দিক দিয়ে নিজ বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কারণ, সে জানে না যে, বিছানার উপর তার অনুপস্থিতিতে পীড়াদায়ক কোন কিছু আছে কিনা।

এরপর যখন বিছানায় শরির লাগাবেন তখন এই দোয়াটি পাঠ করবেন

بِاسْمِكَ رَبِّ وَضَعْتُ جَنْبِي، وَبِكَ أَرْفَعُهُ، إِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا  وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ "

উচ্চারণ: বিসমিকা রাব্বি ওয়াদাতু জানবি, ওয়া বিকা আরফাউহু, ইন আমছাকতা নাফসি ফারহামহা, ওয়া ইন আরছালতাহা ফাহফাজহা বিমা তাহফাজু বিহি ইবাদাকাস ছোয়ালিহিন

অর্থ- হে আল্লাহ আপনার নামে আমি আমার শরীরটা বিছানায় রাখলাম, আপনার নামে আমি বিছানা থেকে উঠবো। যদি ঘুমের মধ্যে আমার রুহ কবয করে নেন

তাহলে আমার রুহের উপর দয়া করবেন। আর যদি আমার রুহ পুনরায় ফিরিয়ে দেন, তবে সেটাকে এমনভাবে হেফাজত করবেন যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হেফাজত করেন। এভাবে রাসুলের সুন্নাত মোতাবেক যদি আপনি ঘুমান আর সে অবস্থায় যদি আপনি মৃত্যু বরণ করেন তাহলে কিয়ামতের দিন নবীজির অনুসরণকারী হিসেবে উত্থিত হবেন।

যেমন মুসলিম শরীফের ২৮৭৮ নং হাদিসের বর্ণনা নবীজি এরশাদ করেন
 " يُبْعَثُ كُلُّ عَبْدٍ عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ " .

প্রত্যেক বান্দা কিয়ামতের দিন ঐ অবস্থায় পুনরুথিত হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করল। কিন্তু যদি হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে ঘুমান তখন কি হবে? তাই খবরদার ঘুমানোর সময়  দোয়া দরুদ পড়ে, তওবা এসতেগফার পড়ে নবীর সুন্নত মোতাবেক বিছানায় ঘুমাবেন, নাহয় পরকালে আফসুসের শেষ থাকবেনা।

মুসলিম শরীফের ২৭১৪ নং হাদিসের বর্ণনায় আছে প্রথমে বিছানা ঝাড়বে, বিসমিল্লাহ পড়বে তারপর ডাক কাত হয়ে শুবে এরপর পূর্বে উল্লেখিত দোয়াটি পড়বে। এরপর ১ বার আয়াতুল কুরসি পড়তে পারলে সারারাত আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করবেন।

মুসলিম এর ৮১১ নং হাদিসের বর্ণনা- আবূদ দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে সক্ষম? সবাই জিজ্ঞেস করলেন, এক রাতে কুরআনেরএক তৃতীয়াংশ (১০ পারা) কীভাবে পড়ব? নবীজি বললেনঃ কুল হওয়াল্ল-হু আহাদ" সূরাটি কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশের সমান।সুতরাং বিছানায় মাথা লাগিয়ে এই ছোট সুরাটি ৩ বার পড়বেন আল্লাহ তায়ালা আপনার আমলনামায় ৩০ পারার ছাওয়াব দিয়ে দিবেন।

এরপর বালিশে মাথা রেখে জান্নাতে একটি ঘর বানাতে যারা চান তাদের জন্য নবীজির সুখবর হল মুসনদে আহমদের হাদিস কুলহুয়াল্লাহু আহাদ এই সুরাটি ১০ বার পড় তাহলে সাথে সাথে পাঠকারীর জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরী হয়ে যাবে। সুতরাং যারা জীবনে একটা ঘর বানাতে পারেননি তারা কয়েক মিনিটে জান্নাতে ১টি বালাখানা তৈরী করে নিতে পারেন। শুধুমাত্র ১০ বার সুরা ইখলাস পড়লেই হয়ে যাবে।

তারপর সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (আমানার রাসুলু বিমা উনজিলা থেকে শেষ পর্যন্ত) প্রয়োজনে দেখে দেখে পড়বেননবীজি ফরমান যে ব্যক্তি এই ২টি আয়াত পড়বে, পুরা রাত্রের জন্য এই দুই আয়াতই যথেষ্ট হবে। তারপর বিছানায় শুয়ে ২ মিনিটে ১০০০ গুনাহ মাফ করাও সহজ মুসলিম শরীফের ২৬৯৮ নং হাদিসের বর্ণনা নবীজি বললেন তোমাদের মাঝে কেউ কি ১০০০ সাওয়াব কামাই করতে পারবে?  একজন বলল এটা কিভাবে সম্ভব? নবীজি বললেন, যে একশ বার (সুবহানাল্লা-হ) পাঠ করবে তার জন্যে এক হাজার পুণ্য লিখিত হবে এবং তার (আমলনামা) হতে এক হাজার পাপ মুছে দেয়া হবে।

তাহলে বিছানা ঝেড়ে, বিসমিল্লাহ পড়ে, দোয়া, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস, সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত, ১০০ বা রসুবহানাল্লাহ, ১০ বার সুরা ইখলাস পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাবেন, আর গভির রাতে যখন চোখ খুলে যায় তখন নবীজি বলেন এ দোয়া পড়বেন

لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
 উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

(এরপর এ তাসবিহগুলো পড়বেন)-
الْحَمْدُ لِلَّهِ   আল হামদুলিল্লাহ :
وَسُبْحَانَ اللهِ   ওয়া সুবহানাল্লাহি :
وَلآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ   ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু

وَاللهُ أَكْبَرُ   ওয়াল্লাহু আকবার :
وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ 

এরপর বলে-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي : আল্লাহুম্মাগফিরলি : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।

অথবা অন্য কোনো দোয়া করে তবে তার দোয়া কবুল করা হয়।এরপর অজু করে (নামাজ পড়লে) তার নামাজ কবুল করা হয়। (বুখারি)

অর্থ্যাৎ সামান্য ১০ সেকেন্ডের দোয়াগুলি পড়েই আপনি তখন আল্লাহর কাছে যে দোয়াই করবেন নবীজি বলেন আপনার সে দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রাতে ঘুমানোর সময় ও গভির রাতে চোখ খুলে গেলে উক্ত হাদীস শরীফের মাসনুদ দোয়া আমল তাসবিহ সমুহ পড়ার তৌফিক দান করুন আমিন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.