নামাজের পর ইসমে আজম এর দোয়া গায়েবী ধন সম্পদ আসবে। নবীর সাথে জান্নাত হবে

 

প্রত্যেক নামাজের পর দোয়া টি ৩ বার পড়ুন। Isme Azam এর দোয়া 

গায়েবী ধন-সম্পদ আসবে। নবীর সাথে জান্নাত



السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
all bangla
দোয়া আমল শিক্ষার চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম

আজ আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব বিশ্বনবী () নিজেই বলেছেন প্রত্যেক নামাজ শেষে ছোট্ট ১টি দোয়া যদি আপনারা বার পড়েন তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে গায়েবী ধন সম্পদ দিবেন, আপনি বিশ্বনবী () এর সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সুবহানাল্লাহ

তারপর প্রতিটি ফরয নামাজের পর ইসমে আজম সম্বলিত যে আমলটি আপনার সবদিক থেকে পরিপূর্ণ করে দিবেন, আপনার সব চাহিদ, ফরিয়াদ, আল্লাহ পুরন করে দিবেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন দোয়া আমলের ছোট্ট ভিডিওটি অবশ্যই দেখার জন্য অনুরোধ করছি যারা নামাজের পর কি আমল করবেন ভুলে যান তারা শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন, আর প্রিয়জনকে নিজের সন্তানকে এই সহিহ আমলগুলি  শিখাবেন আমলগুলি করলে আপনার পরিবারে সুখ শান্তি ভরে যাবে, ধন সম্পদ টাকা পয়সার অভাব থাকবেনা, রিজিকে বরকত হবে, বিপদ আপদ দুর হয়ে যাবে নামাজ শেষে সালাম ফিরানোর পর মহানবী () যে সব জিকির দোয়া করতেন, সেগুলি আমরাও করব। নবীজি () প্রত্যেক ফরয নামাজের পর সাধারণ নিয়মে তাসবিহ তাহলিল জিকির আযকার দোয়া করতেন। সে রকম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া গুলি একটি একটি করে তুলে ধরব।

আবু দাউদের ১৫২৩ নং হাদিসের বর্ণনা
 عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْرَأَ بِالْمُعَوِّذَاتِ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ ‏.‏

উক্ববাহ ইবনু আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ () আমাকে প্রত্যেক সালাতের পর কুল ঊযু বি-রব্বিল ফালাক্ব কুল ঊযু বি-রব্বিন্ নাসসূরাহ দুটি পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তবে ফজর মাগরিবের পর বার করে পড়তে হবে আর যোহর, আসর এশার পর বার করে পড়তে হবে। ফজর মাগরিবে বার পড়ার দলিল যেমন তিরমিজি শরীফের ৩৫৭৫ নং হাদিসের বর্ণনা, আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক ঘুটঘুটে অন্ধকার বৃষ্টিমুখর রাতে আমাদের নামায আদায় করানোর জন্য আমরারাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সন্ধানে বের হলাম। আমি তার দেখা পেলে তিনি বললেনঃ বল। কিন্তু আমি কিছুই বললাম না।

তিনি পুনরায় বললেনঃ বল। এবারও আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, বল। এবার আমি প্রশ্ন করলাম, আমি কি বলব? তিনি বললেনঃ

قُلْ ‏:‏ ‏(‏ هوَ اللَّهُ أَحَدٌ ‏)‏ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ‏"

তুমি প্রতি দিন বিকালে সকালে উপনীত হয়ে তিনবার করে সূরা কুল হুআল্লাহু আহাদ (সূরা -ইখলাস) আল-মুআওবিযাতাইন (সূরা আল-ফালাক সূরা আন-নাস) পাঠ করবে, আর তা প্রত্যেকটি ব্যাপারে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। দুনিয়ার সকল বিপদ আপদ সমস্যার দুঃখ কষ্ট মসিবতের বিপরীতে এই ৩টি সুরা এই ৩টি সুরা পাঠ কারীর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।

এখন ফরয নামাজের পর যে আমলটি বলব সেটিতে ইসমে আজম আছে আর ইসমে আজম এর পর যে দোয়াই করা হয়, যা চাওয়া হয় আল্লাহ কবুল করেন আর সে ইসমে আজম হল আল হাইয়্যু আল কাইয়্যুম। এই ২টি শব্দ আয়াতুল কুরসির মধ্যে একসাথে আছে।

আর এই ২টি শব্দ তথা ইসমে আজম দ্বারা সব দোয়া কবুল হয় যেমন তাখরিজুল মুসনাদ নামক কিতাবের ২৭৬১১ নং হাদিসের বর্ণনা হযরত আসমা বিনতে এজিদ (রা) বলেন, আমি নবী করিম () কে বলতে শুনলাম সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত সুরা আল ইমরানের নং আয়াতের ব্যপারে শুনলাম, নবীজি বলেন এই ২টি আয়াতে ইসমে আজম আছে। আর তা হল হাইয়্যুন কাইয়্যূম তাখরিজুল জাদিল মাআদ কিতাবে আছে, তার ৪র্থ খন্ডের ১৮৮ পৃষ্ঠার হাদিস, নবীজির সাহাবী হযরত আবু উমামা (রা) বলেন আল্লাহর দুটি নাম হাইয়্যুন কাইয়্যুম দিয়ে যদি কেহ দোয়া করে আল্লাহ সাথে সাথে কবুল করেন। এরপর নবীজি বলেন তোমরা ইসমে আজম ৩টি সুরার মধ্যে তালাশ করবে, ) সুরা বাকারার ২৫৫ নং () সুরা আল ইমরানের ২নং এবং () সুরা ত্বহার ১১১ নং আয়াতে তালাশ করবে আর এই ৩টি আয়াতেই আল্লাহর ২টি ইসমে আজম আছে আর তা হল হাইয়্যুন কাইয়্যুম। আর এই ২টি নাম নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন

অবশ্যই দোয়া কবুল হবে। তাছাড়া প্রত্যেক ফরয নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠকারীর জন্য মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যাওয়া আর কোন বাঁধা থাকেনা সুতরাং প্রত্যেক নামাজের পর যদি আয়াতুল কুরসি বার পড়তে পারেন তাতে যে ইসমে আজম আছে তার বরকতে আল্লাহ আপনার সকল দোয়া সকল আশা সকল ফরিয়াদও কবুল করবেন এবং পরকালে আপনার জন্য জান্নাতের রাস্তা সুগম করে দিবেন।

তাছাড়া আবু দাউদ এর ১৫২২ নং হাদিসের বর্ণনা মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতার হাত ধরে বললেন, হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি।

তিনি বললেন, হে মুআয! আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর দুআটি কখনো পরিহার করবে নাঃ

اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ ‏"‏ ‏
 ’’আল্লাহুম্মা আঈন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা’’

(অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)

এরপর যে দোয়াটি পড়লে মহানবী () হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবেন সেটি হল হজরত মুনজির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে দোয়াটি পড়বে-

رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم نَبِيًّا
  রাদিতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দিনাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।

(যদি কেউ দোয়াটি পড়ে, প্রিয়নবি বলেন,) আমি তার (জান্নাতের) দায়িত্ব নিলাম

তাহলে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস, আয়াতুল কুরসি, ইসমে আজম সহ আরো ২টি দোয়া ফরয নামাজের পর কিভাবে পড়বেন হাদিস শরীফের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করলাম, আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাদেরকে প্রতিটি দোয়া আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন এছাড়াও নবী করিম () ফরয নামাজের পর বার আসতাগফিরুল্লাহ বার আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম১বার লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ্, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। পড়তেন তাছাড়া নবীজি বর্ণনা করেন- যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ৩৩ বার আল্লাহু আকবারপড়ে বং ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য একবার লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ দাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীরপড়ে তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। যদিও তা সাগরের ফেনাপুঞ্জের সমতুল্য হয়। (মুসলিম-১২২৮)

আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে এই মহা মূল্যবান দোয়া আমলগুলি গুরুত্ব সহকারো পালন করার তৌফিক দান করুন আমিন

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.