দারিদ্রতাকে আজীবন ছুটিতে পাঠানোর ওজিফা। অভাব দূর করার আমল। রিজিক বৃদ্ধির দোয়া। All bangla dua

 দারিদ্রতাকে আজীবন ছুটিতে পাঠানোর ওজিফা। অভাব দূর করার আমল। রিজিক বৃদ্ধির দোয়া। All bangla dua



আজকে ৪টি আমল ও ওজিফা বলব ১ম ৩টি আমল দিয়েছেন নবী করিম (দ) এবং ৪র্থ ওজিফাটি দিয়েছেন বড়পীর (রহ)। আমলগুলি খুবই সহজ কিন্তু এর ফজিলত আকাশচুম্বি, হাজার বছর যাবৎ পরিক্ষিত তাই মিস করা যাবেনা যারা সারা জীবন ব্যবসা করেও সুবিধা করতে পারছেন না তাদের জন্য সবশেষে বড়পীরের ১টি যাদুকরি ওজিফা আছে এ আমলগুলি করলে আপনি খুব দ্রুত ধনী হয়ে যাবেন, ওজিফাটির এত বেশী পাওয়ার যে আপনার সাথে সাথে আপনার আশে পাশের প্রতিবেশীরাও ধনী হয়ে যাবে, আপনার ঘরে জীবনে অভাব আসবেনা ৩টি আমলই প্রিয় নবীজির দেয়া আমল, তাই সহজ আমলগুলি শিখে রাখুন নিজেও করুন নিজের আত্মিয়স্বজনকেও করতে বলুনপ্রথম আমল হল- সকালে ভোরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। ইমাম শাফেঈ (রহ) বলেন যে ঘরের লোকেরা ফজরের সময় ঘুম থাকে সে ঘরে রিজিক আসেনা। কারন আল্লাহ তায়ালা রিজিক ফজরের সময় দান করেন। হাদিস শরীফে আছে আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন তাহাজ্জুদের সময় নিজের শান মোতাবেক প্রথম আসমানে আসেন আর ডাক দিয়ে বলেন কে আছ আমার কাছে চাও আমি দান করব, কে আছ রিজিক চাও আমি রিজিক দিব কিন্তু আফসুরের বিষয় আমাদের ঘর সমুহে রাত ১০ টার পর মোবাইল নিয়ে টিভি নিয়ে বসে আর যখন আল্লাহর রহমত লাভ করার সময় তখন ঘুমিয়ে যায় আল্লাহর কাছ থেকে নেওয়ার সময় আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন তাহলে আপনার সমস্যা কিভাবে সমাধান হবে?

যখন কেহ খয়রাত করছে তখন যদি পেয়ালা পিছনে নিয়ে নেন তাহলে কি খয়রাত পাবেন? ফজরের ওয়াক্ত হল চাওয়ার সময় সারারাত কাটিয়ে দিয়েছেন টিভি দেখতে দেখতে গেইম খেলতে খেলতে আর যখন নেয়ামত গ্রহণের সময় তখন ঘুমিয়ে গেছেন তাহলে রিজিক কিভাবে আসবে আপনার কাছে, যখন বান্দা ফজরের সময় প্রভুর সামনে হাত পাতে তখন সে হাত ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ লজ্জা পান যেমন সুরা তালাকের ২-৩ নং আয়াতে আল্লাহ এরশাদ করেন
  وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا

আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।

وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
 এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন।

এটা লক্ষবার পরিক্ষিত যারাই যুগে যুগে তাকওয়ার আমল করেছেন আল্লাহকে প্রকৃত ভয় করেছেন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা এমন স্থান থেকে রিজিক দিয়েছেন যে তারা সে স্থান থেকে রিজিক আসার ব্যপারে কখনো কল্পনাও করতে পারেনা। সুবহানাল্লাহ

এক সাহাবী ছিল হযরত আউফ বিন মালিক (রাঃ) তিনি বলেন আমার ছেলেকে কাফেরেরা কয়েদ করে নিল আমি রাসুলুল্লাহর (দ) কাছে ছুটে আসলাম, হুজুর (দ) ফরমালেন আল্লাহর উপর ভরসা রাখ আর ঘরে গিয়ে তোমরা স্বামী স্ত্রী মিলে পড় লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম তিনি বলেন আমি ও আমার স্ত্রী ঘরে গিয়ে এই দোয়াটি পড়তে লাগলাম ফজরের আগ মুহুর্তে রাত পোহাবার আগেই দেখলাম আমার ছেলে কাফেরের কয়েদ থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এসেছে

আরো আশ্চর্য্য কান্ড হল তার পিছে পিছে কাফেরের অসংখ্য উট ও ছাগলও চলে এসেছে আমি প্রশ্ন করলাম এসব কোথা থেকে আসল- সে জবাব দিল আব্বা কাফেরেরা আমাকে একটি কুঠিরে বন্ধি করে রাখে খুব পেরেশানিতে ছিলাম,  অনেক চেষ্টা করেও হাতের বাঁধন খুলতে পারলামনা কিন্তু আজকে গভির রাতে কুদরতিভাবে আমার বাঁধুন খুলে গেল রুম থেকে বের হয়ে দেখি যারা পাহারাদার তারা এত গভির ঘুমে মগ্ন মনে হচ্ছিল তারা বেহুশ হয়ে গেছে আমি যখন তাদের এলাকা ছেড়ে আসছিলাম দেখলাম শত্রুদের অনেকগুলি উট ও ছাগল আমার পিছু পিছু চলে আসতে লাগল

এমনকি সবগুলি পশু আমার পিছনে পিছনে আমাদের উঠান পর্যন্ত চলে আসল। একথা শুনে বাবা বলল চল প্রথমে হুজুর (দ) এর কাছে গিয়ে

মাসায়ালা জানা যাক, তারা হুজুর (দ) এর কাছে গিয়ে সকল ঘটনা খুলে বলল আর জানতে চাইলো এই পশুসম্পদগুলি রাখা জায়েজ হবে কিনা?

হুজুর (দ) বললেন দেখ এটা হল রব্বে করিমের দয়া, তোমার ছেলেও ফিরে এসেছে আর তোমার দারিদ্রতাও দুর হয়ে গেছে যাও এগুলি কাফেরের মাল সেগুলি গনিমত মনে করে ভোগ কর।

সুতরাং লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম পড়লে বিপদও দুর হয় রিজিকের সমস্যা দারিদ্রতার সমস্যাও আল্লাহ দ্রুত সমাধান করে দেন সব সময় এই লা হাওলার জিকিরটি করবেন, কিন্তু আফসুসের বিষয় আমরা মুখে এত সহজ তসবিহ গুলি পড়তে রাজি নই আমাদের চাই  হুজুরের লেখা দোয়া তাবিজ আকারে বেঁধে গলায় ঝুলাব আর তাতেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা কখনো হবার নয়, আমাদের মুখে পড়তে হবে যেমন সাহাবি পড়েছেন আর সাথে সাথে ফল পেয়েছেন

এবার আরো ১টি ওজিফা শুনুন- ইমাম কুরতুবি তফসিরে কুরতুবিতে লিখেন রিজিকে বরকতের ওজিফা হযরত আনাস (রা) বলেন্ এক লোক হুজুর (দ) এর দরবারে এসে বলেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমি অনেক অভাবি, অভাবের কারনে খুবই পেরেশানিতে আছি হুজুর (দ) তাকে ওজিফা দিলেন  আর বললেন যখনই ঘরে যাবে ঘরবাসীকে সালাম দিবে আসসালামু আলাইকুম, সুতরাং আপনি যদি দিনে ঘরে ১০০ বারও বাহির থেকে আসেন প্রতিবারই সালাম দিবেন, যেমন দোকানে গেছেন চা পাতার জন্য এসেই বলবেন আসসালামু আলাইকুম এখন স্ত্রী আবার বলল চিনিও নাই আপনি আবার গেলেন চিনি নিয়ে এসে আবার বলবেন আসসালামু আলাইকুম আবার যখন আসলেন বিবি বলল উহহু কিছু মনে করবেন না দুধ পাওডারও নাই, আবার গিয়ে দুধ এনে বলবেন আসসালামু আলাইকুম আর নবীজি বলেন যখনই ঘরে যাবে সালাম দিবে আর ৩ বার সুরা ইখলাস পড়ে নিবে, আর সুরাটিও এত সহজ যা সকলেই মুখস্থ পারে কুল হুয়াল্লাহু আহাদ আল্লাহুস সামাদ লাম এয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম এয়াকুনলাহু কুফুয়ান আহাদ সাহাবি প্রশ্ন করেন এয়া রাসুলাল্লাহ যদি ঘরে কেহ না থাকে তখন কি করব হুজুর জবাব দিলেন যখন ঘরে কোন লোক না থাকে তখন নবীর উপর দরুদ ও সালাম দিবে।

হযরত আনাস বিন মালেক বলেন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম সে লোক ফিরে আসবে আর এই ওজিফার রেজাল্ট কি পেয়েছে তা বলবে কিছুদিন পর সে অপেক্ষার পালা শেষ হল, সে ব্যক্তি হুজুরের দরবারে আবার আসল আর সে নবীজির দেয়া ওজিফার আযব রেজাল্ট বয়ান করল সে যখন আসল নবী পাক (দ) প্রশ্ন করলেন তোমার কি অবস্থা? সে বলল এয়া রাসুলাল্লাহ ওজিফাটি আমি নিজের জন্য করেছি কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল আমার প্রতিবেশীরাও সকলে ধনী হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ

হুজুর বললেন বরকত যখন তোমার ঘরে বর্ষিত হল তখন তার ছিটে ফুটা তোমার প্রতিবেশীদের উপরও বর্ষিত হয়েছে ওজিফাটি কি? যতবার ঘরে যাবেন ততবার সালাম দিবেন আর ৩ বার সুরা ইখলাস শরীফ পাঠ করবেন।

আমার এক বন্ধু বলল দোস্ত অনেক বড় হুজুরের  কাছে গিয়েছি দোয়ার জন্য দোয়াও নিলাম কিন্তু আমার অভাব দুর হয়না আমি তাকে বললাম আমি কি তোমাকে নবীর দরবারে নিয়ে যাব? নবীজি কি শিক্ষা দিয়েছেন তা বলব? সে বলল বল আমি বললাম মেশকাত শরীফের হাদিস এক সাহাবি বলেন হুজুর দারিদ্রতা বেশী, নবীজি তাকে বললেন প্রতি রাতে সুরা ওয়াকেয়া পড়বে

তোমার ঘরে কখনো অভাব আসবেনা, এবার বলুন যখন নবী পাক (দ) বলে দিয়েছেন আসবেনা তাহলে নিয়মিত সুরা ওয়াকেয়া পড়লে অভাব আসবে? হুজুর যখন বলে দিয়েছেন আসবেনা খোদার কসম এই আমলটি করলে অভাব আসতেই পারেনা,

বন্ধুকে বললাম তুমি সে ওজিফা পড় যা মোস্তফা করিম শিক্ষা দিয়েছেন সুরা ওয়াকেয়া পড়লে ঘরে কখনো অভাব আসবেনা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) অসুস্থ হয়ে গেলেন উনার কন্যা সন্তান বেশী ছিল, ওসমান (রা) এর খেলাফতের যুগ ছিল ওসমান গনি উনাকে দেখতে গেলেন আর বললেন আবদুল্লাহ আপনি অনেক অসুস্থ আমি কি আপনার জন্য খাজানা থেকে কিছু মাল পাঠাব

আবদুল্লাহ বিন মসউদ বললেন প্রয়োজন নাই, উসমান (রা)বলেন আপনার কন্যা সন্তানদের জন্য হলেও গ্রহণ করুন আবদুল্লাহ ইবনে মসউদ বলেন আমি আমার মেয়েদেরকে খাজানা দিয়ে দিয়েছি আমি তাদেরকে অভ্যস্থ করেছি সুরা ওয়াকেয়া পড়ার তারা প্রতি রাতে সুরা ওয়াকেয়া পাঠ করে। যেহেতু নবীজি বলেছেন এই সুরা পাঠকারীর ঘরে অভাব আসতে পারেনা, সুতরাং আমার

দৃঢ় বিশ্বাস আমার মেয়েদের কাছেও কখনো অভাব আসবেনা।

নবীজি বলেন রাতে সুরা ওয়াকেয়া পড়, সকালে সুরা এয়াসিন পড় আর দিনে সুরা বাকারা পড় নবীজি বলেন যে ঘরে সুরা বাকারা পড়া হয় সে ঘর থেকে জিন শয়তান পালিয়ে যায়।

হুজুর বড়পীরও একটি ওজিফা বলেছেন এক ব্যক্তি এসে বলেন হুজুর আমি অনেক ব্যবসা করি কিন্তু তবুও অভাব দুর হয়না বড়পীর বললেন তুমি আল্লাহর সাথে ব্যবসা শুরু কর, তুমি যদি ১০ টাকা রুজি কর তা থেকে ১ টাকা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর তাহলে রব করিম তোমাকে তার বদলায় ৭০ গুন দান করবেন।

সে ব্যবসায়ী ৬ মাস পরে আবার আসল প্রথমে যখন এসেছিল পায়ে হেটে এসেছিল আর ৬ মাস পর যখন আসল তখন তার কাছে ৬টি উট ছিল এসেই বলে হুজুর আমি পুরা জিবন ব্যবসা করে কিছু পাইনি, কিন্তু এখন আল্লাহর সাথে আপনার কথামত ব্যবসা শুরু করেছি এখন ব্যবসার মজাই আলাদা, ১০ থেকে ১ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করি আর তার বদলা আল্লাহ এমনভাবে দেন আমি কল্পনাও করতে পারিনা

সে জন্য আল্লাহ এরশাদ করেন
َيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ
 এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন

1 টি মন্তব্য:

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.