সকল দুঃখ বিপদ দুর করার জিকির । আল্লাহ কল্পনার চেয়েও বেশী রিজিক দিবেন।
সকল দুঃখ বিপদ দুর করার জিকির । আল্লাহ কল্পনার চেয়েও বেশী রিজিক দিবেন।
এই জিকির বেশী বেশী করলে
জীবনের সকল দুঃখ সকল কষ্ট, সকল পেরেশানি দুর হয়ে যাবে আজকে এমন এমন
কিছু জিকিরের কথা বলব যে জিকিরগুলি বেশী বেশী করলে আল্লাহ আপনার সকল দুঃখসমুহকে খুশিতে
বদল করে দিবেন, বিশেষ
করে যারা টাকা পয়সার রুজি রোজগারের কারনে পেরেশান তাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত
ধারনার চাইতেও বেশী রিজিক দিবেন, আজকের জিকিরগুলি খুবই দামী
তাই মনযোগ দিয়ে শুনবেন নিজেও শুনবেন আর যারা পেরেশান আছেন তাদেরকেও আমলগুলি
জিকিরগুলি শিখিয়ে দিবেন আজকাল সামান্য দুঃখ পেরেশানিতেই মানুষ আত্মহত্যা করে বসে,
অথচ এটা হল কাফেরদের তরিকা আবার অনেকে আছেন মন খারাপ হলেই মন ভালো
করার জন্য গান শুনতে থাকে, আর অনেকে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে জীবন
দিয়ে দিতে চায়, তারা কি দুঃখ থেকে নাজাত পায়? কখনো পায়না, বরং আজীবনের জন্য জাহান্নামি হয়ে চিরস্থায়ী
দুঃখ কষ্টের জীবনকে আপন করে নেয় অথচ দুঃখ পেরেশানিতে গান শুনে লাভ নাই, বরং গুনাহের কারনে দুঃখ পেরেশানি আরো বেড়ে যাবেন আত্মহত্যা করে লাভ নাই,
বরং জাহান্নামে গিয়ে আরো বেশী দুঃখ কষ্টে নিপতিত হতে হবে আমাদের
প্রিয় নবী (দ) দুঃখ পেরেশানিতে লিপ্ত সাহাবীকে পরামর্শ দেন যেটা অনেক বড় একটি
সুন্দর হাদিস
এক সাহাবি (রা.) বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ
(সা.)! আমি যত নফল ইবাদত করব, তার এক-চতুর্থাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও
ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের এক-তৃতীয়াংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও
ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের অর্ধাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও
ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের দুই-তৃতীয়াংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও
ভালো। সাহাবি (রা.) বললেন, নফলের তিন-চতুর্থাংশ দরুদ শরিফ পড়ব। নবীজি বললেন, তা ভালো, আরও বেশি হলে আরও
ভালো। এবার সাহাবী বললেন আমার দু‘আর পুরোটা জুড়েই শুধু আঁপনার দরূদ রাখব। তিঁনি বললেন : তাহলে তা তোমার জীবনের সকল দুঃখ পেরেশানি ও প্রয়োজনের জন্য
যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে। তিরমিযী : ২৬৪৫ ও হাকেম : ৭৬৭৭
এক ব্যক্তি স্বপ্নে ভয়ানক
বিপদ দেখতে পেল। ভীত হয়ে সে জিজ্ঞাসা করল: তুমি কে? বিপদটি বলল: আমি
হলাম তোমার খারাপ আমল। লোকটি জিজ্ঞাসা করল: তোমার থেকে মুক্তি
পাওয়ার কোন উপায় আছে কি? সে জবাব দিল: অধিকহারে দরূদ শরীফ পাঠ করা। [আল কওলুল বদী,২২৫ পৃষ্ঠা, মুয়াস্সাসাতুর
রাইয়ান,বৈরুত] দুঃখ বিপদ পেরেশানি
দুর করার আরো একটি জিকির হল হাদীসের বানী ইন্না কাউলা লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ তাদফাউ আন কাইলিহা তিসয়াতিন ওয়া তিসঈনা মিনাল বালা আদনাহা আল গাম) যে বেশী পরিমানে লা
ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে ৯৯ টি বলা মসিবত আল্ল্লাহ দুর করে দেন। আর ৯৯টি মসিবত থেকে
সবচেয়ে ছোট মসিবত হল দুঃখ। অথচ দুঃখ কোন ছোট বলা নয়, সেটাকেই ছোট বলা
হয়েছে, অতএব বুঝা যায় দুঃখ
থেকেও আরো ৯৮টি বড় বড় বিপদ আল্লাহ এই ছোট জিকিরের ফলে দুর করে দিবেন।
আবার বেশীর ভাগ মানুষের
পেরেশানি অভাবের কারনে এ ব্যপারে হাদিসের বাণী (মান লাজি মান এসতেগফার
জায়ালাল্লাহু লাহু মিন কুল্লি হাম্মিন ফারাজা, ওয়ামিন কুল্লি দিকিন
মাখরাজা, ওয়া রাজাকাহু মিন হাইছু লা এয়াহতাছিব) ছোট কলমা
আসতাগফিরুল্লাহ যে বেশী বেশী পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার সব দুঃখকে
আনন্দে পরিণত করে দেন। অভাবকে দুর করে দেন।আর রিযীক সেখান থেকে দিবেন যেখান থেকে
রিযিকের কথা সে কল্পনাও করেনি।
৪র্থ জিকির হল রাসুলুল্লাহ (দ)
ফরমান দুনিয়াতে যদি কোন দুঃখ পেরেশানিতে কেহ গ্রেফতার হয়, তাহলে সে যেন শুধু
এতটুকু বলে (লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন) বান্দা এতটুকু বাক্য
যে দুঃখ ও পেরেশানির জন্য বলবে আল্লাহ তার দোয়াকে ফিরিয়ে দিবেন না। আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করুন
কোন মন্তব্য নেই