রমজানে রাতে চুপি চুপি ১টি দোয়া করলে ভাগ্য বদলে যাবে। রোজা ও শবে কদরের দামী আমল।

 

রমজানে রাতে চুপি চুপি ১টি দোয়া করলে ভাগ্য বদলে যাবে। রোজা ও শবে কদরের দামী আমল।



আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

এই দোয়া বহু লোকের জিন্দেগি বদলে দিয়েছে রাতে চুপি চুপি যখন এই দোয়া করা হয় মনে হয় আল্লাহ শুধু আমার অনেক সময় কেহ যদি কোন ভাবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়, ক্ষতি করে তখন তার সাথে সাক্ষাত করতে, দেখা করতে, যোগাযোগ রক্ষা করতে মন চায় না এটাকে এনকেবাত বলে, এটা জায়েজ। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত অভ্যাস। যার কারণে কষ্ট পেল তার সাথে সাক্ষাত করতে মন চায়না। যদি এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকে, যে শুধু তার সাথে সাক্ষাত বন্ধ করে দেয় ততটুকু জায়েজ। কিন্তু এর থেকে যদি মামলা দুষমনি পর্যন্ত পৌছেঁ যায় তাহলে তা আর জায়েজ নয়আর সে যদি তার ক্ষতি হউক কামনা করে তাহলে সেটাকে কিনা বা হিংসা বিদ্বেষ বলা হয়।

 

যখন তার কোনো বিপদ আসে তখন যদি আপনার খুশি লাগে এটাই হলো কিনা যার জন্য আপনার মনে কিনা থাকবে তার কোনো ক্ষতি হলে আপনার দিল খুশি হয়ে যাবে।দিল চাইবে তার কাছে যে নেয়ামত আছে সেটা যেন ধ্বংস হয়ে যায়।  সে যদি আপনার কাছে এসে পুনরায় সন্ধী করে নিতে চায় তবুও আপনি তার সাথে সন্ধী করতে রাজি হন  না । এসবই হলো কিনা বা হিংসা বিদ্বেষের আলামত।

কিনা থেকে বেচেঁ থাকতে পারা কত যে নেয়ামত তা একটি হাদিস শুনলে বুঝতে পারবেন একদিন হুজুর (দঃ) মসজিদে বসে ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবী প্রবেশ করলেন। হুজুর (দঃ) অন্যান্য সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বললেন দেখ জান্নাতি আসছে ,জান্নাতি আসছে। সেই সাহাবীর নাম হলো সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)। সাহাবায়ে কেরাম সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের ব্যাপারে হুজুরের এমন সুসংবাদ দেয়ায় খুবই আশ্চর্য্য হলেন। সাহাবাদের অভ্যাস ছিলো কারো ব্যাপারে হুজুর যদি কোনো সুসংবাদ দিতেন তাহলে সে সাহাবী কোন আমল করার কারণে এ সুসংবাদের অধিকারী হয়েছেন তা জানতে চেষ্টা করেন যাতে তারাও সেই আমলটি করে সৌভাগ্যবান হতে পারেন ২য় দিনও একই ঘটনা ঘটল হুযুর (দঃ) বসা ছিলেন সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রাঃ যখন প্রবেশ করলেন তখন হুজুর বলতে লাগলেন দেখ জান্নাতি আসছে এক সাহাবী ছিলো আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আস (রাঃ) তিনি তিনি সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের কাছে গেলেন, আর উনাকে বললেন আমার ঘরে কিছু সমস্যা আছে, আমি চাচ্ছি কয়েকটা দিন আপনার ঘরে আপনার সাথে থাকতে, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রাজি হলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর হযরত সাদ বিন আবি ওযাক্কাসের সাথে তার ঘরে চলে গেলেন, তার ঘরে
তার সাথে ৩ দিন থাকলেন, আর এই ৩ দিন তার সকল আমল খুবই মনযোগের সাথে অবলোকন করতে লাগলেন যে কোন সে আমল যার কারনে হুজুর (দ) দুনিয়াতেই সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের ব্যপারে জান্নাতের সুসংবাদ দিলেন।কিন্তু সাদ বিন ওয়াক্কাসের তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলেন না, তখন তিনি সাদ কে প্রশ্ন করলেন ভাই আমি মুলত আপনার আমল সমুহ দেখার জন্য আপনার সাথে ৩ দিন অতিবাহিত করেছি, কারন আপনার ব্যপারে আল্লাহর হাবিব জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন আমি চেষ্টা করেছি আপনার স্পেশাল কোন আমল আছে কিনা তা খুঁজে বের করার কিন্তু আমি আপনার কাছে তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলামনা আপনি দয়া করে বলেন আপনি এমন কি আমল করেন, যার কারনে আল্লাহর রাসুল (দ) আপনার ব্যপারে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে দিয়েছেন?

 

তখন হযরত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস বলেন আমি স্বাভাবিক আমল সমুহই করি তবে একটা আমল আমার আছে, যেমন আমার সাথে যদি দিনে কারো সাথে ঝগড়া হয় কেহ যদি আমাকে কষ্ট দেয়, কারো কোন কাজে যদি আমি দুঃখ পাই, যখন আমি রাতে শুতে যাই, তখন আমি সকলকে অন্তর থেকে ক্ষমা করে দেই, আমি বলি হে আল্লাহ যদি কেহ আমাকে কটু কথা বলে, যদি কেহ আমাকে অপমান করার জন্য কিছু বলে, হে আল্লাহ যদি কেহ আমাকে ধমক দেয়, হে আল্লাহ যদি কেহ আমার সমালোচনা করে, আমি যদি সত্যিই কোন দোষ করে থাকি আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আর যদি আমার মধ্যে সে দোষ না থাকে, যে আমাকে কটু কথা বলে কষ্ট দিল, হে আল্লাহ আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম ওহে আল্লাহ তুমিও তাকে ক্ষমা করে দাও, এভাবে আমি চুপি চুপি রাতে দোয়া করে একেবারে সাদা অন্তরে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে শুয়ে পড়ি, তখন আবদুল্লাহ বিন আমর বললেন
এই আমলটিই আপনাকে দুনিয়াতেই জান্নাতের ঠিকানা দিয়েছে,  মনে রাখবেন যারা হিংসুক তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শবে বরাত শবে কদরের রাতেও ক্ষমা করেন না, তাই যদি রমজান মাসে শবে কদরে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে চান, আল্লাহর খাজানা থেকে নেয়ামত হাসিল করতে চান তাহলে প্রতিদিন রাতে চুপি চুপি সকলকে ক্ষমা করে যদি সাদা মনে ঘুমাতে পারেন তাহলে আপনার লাইফই চেঞ্জ হয়ে যাবে, কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ থাকবেনা। কারো প্রতি কোন প্রতিশোধ পরায়নতা থাকবেনা,  কারো প্রতি কোন হিংসা থাকবেনা তখন আপনিও সকল পেরেশানি থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন, আর এভাবে সকলেই যদি এ আমলটি করে সমাজে, দেশে, সারা বিশ্বে আর কোন দ্বন্দ, ঝগড়া, বিবাদ হানাহানি থাকবেনা।

 

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে মন থেকে কিনা হিংসা বিদ্বেষ মুছে ফেলার  তৌফিক দান করুন প্রতিদিন রাতে জান্নাতে যাওয়ার আমলটি করে ঘুমানোর তৌফিক দান করুন শবে বরাত শবে কদরের রাতে ক্ষমা পাওয়ার বাঁধা দুর করার তৌফিক দান করুন- আমিন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.