১টি কলমা দিয়ে হাজার সমস্যা সমাধান। যৌবন ধরে রাখা, রিজিক বৃদ্ধি, গায়েবী সাহায্য লাভের দোয়া

 

১টি কলমা দিয়ে হাজার সমস্যা সমাধান। যৌবন ধরে রাখা, রিজিক বৃদ্ধি, গায়েবী সাহায্য লাভের দোয়া

 


প্রিয় বন্ধুরা আজকে যে কলমার ওজিফাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব,এটি এমন একটি সহজ ওজিফা  যেটির উপকারিতা অনেক, এই ওজিফাটি করলে আপনার যৌবন কখনো হারাবেনা।

 

মৃত্যু ছাড়া সব রোগের জন্য এই ওজিফাটি মহৌষধ, ওজিফাটি করলে শত্রু কোন ক্ষতি করতে পারবে না।  আপনার রিজিকে বরকত হবে সকল  অভাব অনটন দূর হবে ইনশা-আল্লাহ।  ওজিফাটি কিভাবে করবেন, দিনে কতবার করবেন, কোন সময় করবেন, কোন সময় কি শব্দ দিয়ে ওজিফাটি করবেন  বিস্তারিত জানার জন্য
আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে শুনবেন।  আজকের কলমাটি হলো সাহায্য চাওয়ার জন্য এখলাসের কলমা। কিসের জন্য সাহায্য চাইবেন?

 

আপনার জীবনে যখন যা লাগবে, যত এবাদত করতে হবে তা ঠিকমত করতে পারার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। যত গুনাহ ছেড়ে দিতে হবে,গুনাহ ছাড়তে পারার জন্য আল্লাহর সাহয্য চাওয়া। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আপনি এবাদত করতে পারবেন না,আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আপনি গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবেন না। এখন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার কলমাটি আপনাকে বেশি বেশি পড়তে হবে।

 

দুনিয়াতে আপনার যতকিছু প্রয়োজন সে প্রয়েজন পূরণের জন্যও আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। মৃত্যুর সময় যেন কলিমা নসিব হয় সে জন্যও  সাহায্য চাইতে হবে। কলমাটি পড়ুন বৃদ্ধ অবস্থায় যা প্রয়োজন হবে তাও এই
কলমার মাধ্যমে আল্লাহর কছে চাইতে হবে।

 

কলমাটি পড়ুন আর আল্লাহর সাহায্য লাভ করুন। বাধ্যক্য অবস্থায় দুর্বলতা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন। বার্ধ্যক্যে যেন বদ হজম হয়ে না যায় সে জন্য সাহায্য চাইবেন। বার্ধ্যক্যে যেন বারবার পেশাব না হয় তার জন্য সাহায্য চাইবেন।  বার্ধ্যক্যে যেন নামায বসে বসে পড়তে না হয় তার জন্য সাহায্য চাইবেন। আজীবন যেন দাড়িয়ে নামায পড়া যায় তার জন্য সাহায্য চাইবেন। আপনার খাবার যেন নিজে খেতে পারেন,অন্য কেহ যেন খাইয়ে দিতে না হয় সে জন্য সাহায্য চাইবেন। আপনার যেন হাসপাতালের বিছানায় পরে থাকতে না হয়, সে জন্য সাহায্য চাইবেন।

 

মসজিদে যেতে যেন কারো হাত ধরে যেতে না হয়, এই সব কিছুর জন্য কলমাটি বেশী বেশী পড়ুন আর আল্লাহর সাহায্য লাভ করুন। পরিবারের কেহ গুম বা শত্রু কর্তৃক কিডনেপ হয়েছে কলমাটি পড়ে সাহায্য চান, আর সাথে সাথে ফলাফল নিজের চোখে দেখুন।

 

মৃত্যুর সময় যেন কলমা পড়তে পড়তে ইন্তেকাল হয়, সে জন্যও এই কলমাটির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন, সফরে যেন গাড়ি নষ্ট হয়ে না যায়, সে জন্য কলমাটি পড়বেন। প্রতিদিন ১০০০ বার এই কলমাটি পড়বেন, নিজেও পড়বেন পরিবারের সকলকে পড়তে বলবেন। ১০০০ বার পড়তে না পারলে কমপক্ষে দিনে ১০০ বার পড়বেন। নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে প্রতিদিন ১০০ বার এ কলমাটি পড়বে,
দারিদ্রতা কখনো তাকে স্পর্শ করবেনা।

 

প্রিয় নবীজি আরো বলেন  কলমাটি ৯৯টি রোগের ঔষধ। অভাবের জন্যও কলমাটি পড়ুন লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ কোন মসিবতে এ কলমাটি কিভাবে পড়বেন, কোন কোন শব্দ দিয়ে পড়বেন, বিস্তারিত জানার জন্য শেষ পর্যন্ত অবশ্যই শুনবেন যেমন- স্বভাব ঠিক হওয়ার জন্য পড়বেন, লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ যৌবনের স্থায়িত্বের জন্য পড়বেন লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ রিজিকের জন্য পড়ুন
লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ শত্রুর শত্রুতামি থেকে বাঁচার জন্য পড়ুন লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ জালেমের জুলুম থেকে বাঁচার জন্য পড়ুন লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ আল্লাহর কসম যত ধরনের সমস্যা আমরা কল্পনা করতে পারি, সমস্ত সমস্যার সমাধান হল লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। যত সমস্যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা সেগুলির সমাধানও হল লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ও পড়তে হয় বিছমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ এ দোয়া পড়ে যদি কেহ ঘর থেকে বের হয়, রাসুলুল্লাহ (দ) বলেন আরশ আজিম থেকে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষনা হয়,  (কুফিতা ওয়া হুদিতা) কথা দিলাম আল্লাহ তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।

 

যাও কথা দিলাম তুমি আর পথহারা হবেনা। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে শয়তান তার কপালে মাটি মারে আর বলে হায় হায় আমিতো তাকে আর কিছুই করতে পারবনা। যার ব্যপারে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এই ফয়সালা শুনিয়ে দিয়েছেন। যার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিয়েছেন। এ দোয়া পড়ে ঘর থেকে বের হলে এক্সিডেন্ট হবেনা, সাপ বিচ্চু কামড়াবেনা, নৌকা ডুবিতে মৃত্যু হবেনা ট্রেন এক্সিডেন্টে মৃত্যু হবেনা,কোন শত্রু ক্ষতি করতে পারবেনা।

 

হযরত আবু সাঈদ খুদুরি (রা) বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা বেশী বেশী চিরস্থায়ী নেক কর্মগুলি কর। সাহাবীগন প্রশ্ন করলেন সেগুলো কি? নবীজি বললেন তকবির আল্লাহু আকবর তাহলিল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তাসবিহ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, এবং লা হওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম যে ব্যক্তি প্রত্যেহ ১০০ বার লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম পাঠ করবে সে কখনো দরিদ্র থাকবেনা। লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম প্রতিদিন ১০০ বার পড়লে, আরো ৩টি ফায়দার কথা রহমতে আলম এর মকবুল দোয়া নামক কিতাবের ১৮৫ পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় তা হল দিনে ১০০ বার এ কলমাটি পড়লে ১০০০ গুনাহ মাফ হয়, ১০০০ সন্মা বৃদ্ধি হবে, ১০০০ রহমত অবতীর্ণ হয়।

 

এ দোয়া পড়ার ফলে পড়ার দ্বারা পাঠকের উপর আল্লাহর খাযানার লুকায়িত ভেদসমুহ প্রকাশ পেতে থাকে ১ হাদিসে আছে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ জান্নাতের দরজা সমুহ থেকে ১টি দরজা। আরেক হাদিসে আছে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাহ বিল্লাহ পাঠ করলে প্রতিবার পাঠ করার সাথে সাথে একজন করে ফেরেশতা নাজিল হয় আর এই ফেরেশতা আল্লাহর হকুমে রোগসমুহকে দুর করে দেয়। হুজুর (দ) এরশাদ করেন যে
 
১০ বার বিসমিল্লাহি ওযালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম পড়বে আল্লাহ
তাকে গুনাহ থেকে এমন বাবে পুত পবিত্র করে দেন যেন আজই মায়ের পেট থেকে জন্ম লাভ করেছে। হযরত আবু মুসা (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সে কখনো কারো মুহতাজ হবেনা এক সাহাবি এসে নবি করিম (দ) কে বলেন এয়া রাসুলল্লাহ শত্রুরা আমার ছেলেকে বন্ধি করে নিয়ে গেছে,তখন হুজুর (দ) তাকে বললেন:

 

তুমি শুধু একটি কালমা পড় (লা হাওলা ওয়ালা কুয়াত্তা ইল্লা বিল্লাহ) কোন কোন হাদিসে (লা হাওলা ওয়ালা কুয়াত্তা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম) পড়ার কথা আছে আবার কোন কোন রেওয়ায়েতে এটাও আছে (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ লা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনহু ইল্লা ইলাইক)

 
সে সাহাবী পড়া আরম্ভ করলেন, কয়েক রাত পর একদিন আধরাতে কেহ যেন দরজার কড়া নাড়ল, সাহাবী দরজা খুলে দেখেন তার ছেলে দাড়িয়ে আছেন। এবং তার পিছে পিছে শত্রুদের ৪০টি উট ও চলে আসল সে সাহাবী সকালে তার সন্তান ও ৪০টি উট নিয়ে হুজুরের কাছে গেলেন এবং বললেন: এয়া রাসুলাল্লাহ আপনি আমাকে যা বলছেন আমি তা পড়েছি। আমার সন্তানতো ফিরে এসেছে সাথে সাথে কাফেরদের ৪০টি উটও চলে এসেছে, এখন উটগুলির কি করব? নবীজি বললেন এগুলি তোমার জন্য গনিমত আল্লাহর গায়েবী খাজানা থেকে এটা তোমার জন্য রিজিক এসেছে, তুমি তা ভোগ কর। এটা এমন এক কলমা যার দ্বারা সাহাবীর সন্তানও ফিরে আসল সাথে সাথে গায়েবী ধন সম্পদ রিজিকের ব্যবস্থাও আল্লাহ তায়ালা করে দিলেন।

 

তবে মসিবত হল আমরা এসব আমল পূর্ণ একিনের সাথে করিনা,  কয়েকদিন পড়েই পড়া ছেড়ে দেই অথচ অনেক নবীর দোয়া আল্লাহ দীর্ঘদিন পর কবুল করেছেন, ইউনুস (আ) এর দোয়া ৪০ দিন পর আদম (আ) এর দোয়া ৩০০ বছর পর , আইয়ুব (আ) এর দোয়া ১ যুগ পর কবুল করেছেন। ইউসুফ (আ) ৭ বছরে হারিয়ে গেলে তার পিতা এয়াকুব (আ) কান্না করে করে দোয়া করতে করতে দৃষ্টি শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছেন, প্রায় ৬০ বছর পর এয়াকুব (আ) নিজের সন্তানকে ফিরে পেয়েছেন তাই দোয়াতে অধৈর্য্য হলে হবেনা বরং ধৈর্য্য সহকারে দোয়া আমল ওজিফাগুলি চালিয়ে যেতে হবে পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে প্রতিদিন এসব ওজিফা ও আমল সমুহ করে যাবেন। ইনশা আল্লাহ আপনার সকল সমস্যা আল্লাহ তায়ালা সমাধান করে দিবেন।

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.