জান চলে গেলেও প্রতিদিন ৩টি জিকির ছাড়বেন না

 

জান চলে গেলেও প্রতিদিন ৩টি জিকির ছাড়বেন না



আজকে জিকিরের ফজিলত এবং এমন ৩টি জিকিরের ওজিফা দিব আপনার জীবন চলে গেলেও এই ৩টি জিকির মিস করবেন না হাটতে বসতে যদি ৩টি জিকির করেন আপনার জন্য রহমতের দরজা খুলে যাবে, রিজিকের দরজা খুলে যাবে, আপনার সকল কিছুতে বরকত হবে, রুজি রোজগারে বরকত হবে, ঘরে বরকত হবে, হায়াতে বরকত হবে আপনার সকল কাজে আল্লাহর গায়েবী সাহায্য আসবে, দুনিয়া ও আখেরাতের ভরপুর কল্যান অর্জন হবে।

আমি নিশ্চিত আজকের এই আমলের আলোচনাটি আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিবে ইনশা আল্লাহ তাই ধৈর্য্য ধরে প্রতিটি কথা শুনার অনুরোধ রইল আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার জন্য ইসলামের শারীআতের বিষয়াদি অতিরিক্ত হয়ে গেছে।

সুতরাং আমাকে এমন একটি বিষয় জানান, যা আমি মজবুতভাবে আমল করতে পারি। নবীজি বললেনঃ

" لاَ يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ "
 সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহ তাআলার যিকরের দ্বারা সিক্ত  থাকে। (তিরমিজি ৩৩৭৫)

অর্থ্যাৎ তুমি সদা সর্বদা আল্লাহর জিকির করবে। আবার তিরমিজি শরীফের ৩৩৭৬ নং হাদিসের বর্ণনা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দাদের মধ্যে কে মর্যাদায় সবোত্তম হবে? নবীজি ফরমালেন

الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ
 আল্লাহ্ তাআলার অধিক পরিমাণে যিকিরকারীগণ।

তিরমিজি শরীফের ৩৩৭৭ নং হাদিসের বর্ণনা আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

" أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ "

আমি তোমাদেরকে কি তোমাদের অধিক উত্তম কাজ প্রসঙ্গে জানাব না, যা তোমাদের মনিবের নিকট সবচেয়ে পবিত্র, তোমাদের সম্মানের দিক হতে সবচেয়ে উঁচু, স্বর্ণ ও রৌপ্য দান-খাইরাত করার চেয়েও বেশি ভাল  এবং তোমাদের শত্রুর মুকাবিলায় অবতীর্ণ হয়ে তাদেরকে হত্যা করা কিংবা শহিদ হওয়া থেকে অধিক উত্তম? সাহাবীরা বললেন, হ্যাঁ। নবীজি  বললেনঃ

 " ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى "
আল্লাহ তাআলার যিকর।

হাদিসে নবী করিম (দ) আল্লাহর জিকিরের ৫টি ফায়দা ও শ্রেষ্ঠত্ব বয়ান করেছেন

১) জিকির হল সর্বোত্তম আমল (২) জিকির আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পবিত্র আমল (৩) আল্লাহর জিকিরের ফলে সন্মান বৃদ্ধি পায় ৪) জিকির করা স্বর্ণ রুপা দান করার চাইতেও উত্তম ৫) জিকির করা জিহাদে শহিদ হওয়ার চেয়েও ভাল

হাদীসের শেষে হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা) বলেন

 مَا شَيْءٌ أَنْجَى مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ

ল্লাহ তাআলার শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার যিকরের তুলনায় অগ্রগণ্য কোন জিনিস নেই। অর্থ্যাৎ যে যত জিকির করবে সে তত বেশী আল্লাহর আযাব গযব থেকে দুরে থাকবে। মুসলিম শরীফের ২৬৭৬ নং হাদিসের বর্ণনা আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার পথে চলতে থাকেন।

অতঃপর জুমদাননামে একটি পর্বতের কাছে গেলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা এ জুমদান পর্বতে সফর করো। মুফার্‌রিদগণ অগ্রগামী হয়েছে। মানুষেরা প্রশ্ন করল, মুফার্‌রিদ কারা! হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম?

নবীজি বললেন, " الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ " . বেশি বেশি আল্লাহর যিকরে নিয়োজিত পুরুষ ও নারী। 

কিয়ামতের দিন অধিক জিকির কারীগন সবার আগে ভাগে জান্নাতে অগ্রসর হয়ে যাবে। আবার তিরমিজি শরীফের ৩৫৯৬ নং হাদিসের বর্ণনা আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

" سَبَقَ الْمُفْرِدُونَ "‏ 
মুফরিদুন বা হালকা পাতলারা অগ্রগামি হয়ে গেছে, সাহাবীগন বলেন হে আল্লাহর রাসুল (দ) হালকা পাতলা কারা

قَالَ " الْمُسْتَهْتَرُونَ فِي ذِكْرِ اللَّهِ يَضَعُ الذِّكْرُ عَنْهُمْ أَثْقَالَهُمْ فَيَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِفَافًا "

তিনি বলেনঃ যে সকল লোক আল্লাহ তাআলার জিকিরে মগ্ন থাকে এবং আল্লাহর যিকির তাদের (পাপের) ভারী বোঝাটি তাদের থেকে সরিয়ে ফেলে। ফলে কিয়ামতের দিন তারা আল্লাহ্ তাআলার সম্মুখে হালকা বোঝা নিয়েই হাযির হবে। জিকিরের ব্যপারে সবচেয়ে সুন্দর হাদিসটি হল বুখারী শরীফের ৬৪০৮ নং হাদিসের বণনা আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর একদল ফেরেশতা আছেন, যাঁরা আল্লাহর যিকরে রত লোকেদের খোঁজে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। যখন তাঁরা কোথাও আল্লাহর যিকরে রত লোকেদের দেখতে পান, তখন ফেরেশতারা পরস্পরকে ডাক দিয়ে বলেন, তোমরা আপন আপন কাজ করার জন্য এগিয়ে এসো। তখন তাঁরা তাঁদের ডানাগুলো দিয়ে সেই লোকদের ঢেকে ফেলেন নিকটবর্তী আকাশ পর্যন্ত। তখন তাঁদের প্রতিপালক তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন আমার বান্দারা কী বলছে? তখন তাঁরা বলে, তারা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছে, তারা আপনার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিচ্ছে, তারা আপনার গুণগান করছে এবং তারা আপনার মাহাত্ম্যপ্রকাশ করছে।

তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি আমাকে দেখেছে? তখন তাঁরা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আপনার শপথ! তারা আপনাকে দেখেনি।

তিনি বলবেন, আচ্ছা, তবে যদি তারা আমাকে দেখত? তাঁরা বলবেন, যদি তারা আপনাকে দেখত, তবে তারা আরও অধিক পরিমাণে আপনার ইবাদাত করত,

আরো অধিক আপনার মাহাত্ম্য ঘোষণা করত, আরো অধিক পরিমাণে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করত।

বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ বলবেন, তারা আমার কাছে কী চায়? তাঁরা বলবে, তারা আপনার কাছে জান্নাত চায়। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি জান্নাত দেখেছে?

ফেরেশতারা বলবেন, না। আপনার সত্তার কসম! হে রব! তারা তা দেখেনি। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তারা দেখত তবে তারা কী করত? 

তাঁরা বলবে, যদি তারা তা দেখত তাহলে তারা জান্নাতের আরো অধিক লোভ করত, আরো বেশি চাইত এবং এর জন্য আরো বেশি বেশি আকৃষ্ট হত।

আল্লাহ্ তাআলা জিজ্ঞেস করবেন, তারা কী থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়? ফেরেশতাগণ বলবেন, জাহান্নাম থেকে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তারা কি জাহান্নাম দেখেছে? 

তাঁরা জবাব দেবে, আল্লাহর কসম! হে প্রতিপালক! তারা জাহান্নাম দেখেনি। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, যদি তারা তা দেখত তখন তাদের কী হত?

তাঁরা বলবে, যদি তারা তা দেখত, তাহলে তারা তাত্থেকে দ্রুত পালিয়ে যেত এবং একে অত্যন্ত বেশি ভয় করত। 

তখন আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি, আমি তাদেরক্ষমা করে দিলাম। তখন ফেরেশতাদের একজন বলবে, 

তাদের মধ্যে অমুক ব্যক্তি আছে, যে তাদের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং সে কোন প্রয়োজনে এসেছে।

আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, তারা এমন উপবেশনকারী যাদের মাজলিসে উপবেশনকারী বিমুখ হয় না।

সুতরাং যারা কোন মজলিশে আসেনা বরং অন্য কাজে আসে এবং মজলিশের পাশে বসে তাদেরকেও আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন

সুতরাং যারা মসজিদে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন মাহফিলে এসে দাঁড়িয়ে থাকেন তাদের উচিত যে কোন ভাবে বসে যাওয়া তাহলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন

আল্লাহ তায়ালা সুরা আহযাবের ৪১-৪২ নং আয়াতে বলেন

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيراً
মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর।


وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
এবং সকাল বিকাল আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা কর।

কোন জিকিরগুলি করবেন? তিরমিজি শরীফের ৩৫৯০ নং হাদিসের বর্ণনা আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

" مَا قَالَ عَبْدٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ قَطُّ مُخْلِصًا إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ السَّمَاءِ

কোন বান্দা সততার সাথে লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ" বললে তার জন্য আকাশের দরজাগুলি খুলে দেয়া হয়

ফলে উক্ত কালিমাহ আরশে আজীম পর্যন্ত পৌছে যায়, যতক্ষণ সে কবীরাহ গুনাহ ত্যাগ করে

আর লা ইলাহা ইল্লাহ এমন এক জিকির যা সব সময় পড়া যায় ঠোট নাড়ানো ছাড়া পড়া যায় তাই এতে রিয়াও নাই, মানুষের সামনে বসে থাকলেও এই জিকিরটি করতে পারবেন

শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্য পড়বেন , তাহলে আসমানের সকল দরজা আপনার জন্য খুলে যাবে।

২য় জিকির হল- তিরমিজি শরীফের ৩৫৯২ নং হাদিসের বর্ণনা ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদিন আমরা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল,

اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً 
আল্লাহু আকবার কাবিরা ওয়াল হামদুলিল্লাহি কাছিরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান  ওয়া আসিলা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল,

আমি হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এ দুআয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।

ইবনু উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি।

আর ৩ নং জিকির হল এমন জিকির যে জিকিরটি করলে আপনার দুনিয়ার সকল নেক মকসদ পুরন হবে অভাব দুর হবে গায়ে শক্তি হবে- যেমন সুরা হুদের ৫২ নং আয়াত

وَيَا قَوْمِ اسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَى قُوَّتِكُمْ وَلاَ تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينَ

আর হে আমার কওম! তোমাদের পালন কর্তার কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর;

তিনি আসমান থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি ধারা প্রেরণ করবেন এবং তোমাদের শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধি করবেন

তোমরা কিন্তু অপরাধীদের মত বিমুখ হয়ো না।

সুতরাং যে কোন কাজে মনে মনে এসতেগফার পড়ুন সে কাজে আর ক্লান্তি অনুভব হবেনা কারন আল্লাহ তায়ালা শক্তি বাড়িয়ে দিবেন।

এই জিকির দ্বারা মনের প্রশান্তি আসে যেমন সুরা রাদ এর ২৮ নং আয়াতের বর্ণনা

الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।

আর যাদের হৃদয় প্রশান্ত হয়ে যায় তাদের জন্য আল্লাহ সুরা ফজরের সুখবর দিয়ে বলেন

يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন,
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।

فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

সুতরাং জিকির করতে করতে অন্তর প্রশান্ত হয়ে যাবে আর যাদের অন্তর প্রশান্ত হবে তাদের জন্য রযেছে জান্নাতের সুসংবাদ

সিরারু আলামিন নুবালা কিতাবের ৩য় খন্ডের ৩৫৮ নং পৃষ্ঠায় একটি ঘটনা উল্লেখ আছে- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) যিনি নবীজির চাচাত ভাই

যিনি মারা গেছেন তায়েফে, জনগন দেখতে পেলেন এমন একটি আযব ধরনের পাখি আসছে এমন পাখি কেউ কোনদিন দেখেনি

লোকজন দেখতে পেল সে পাখিটি হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাসের খাটিয়ার ভিতর ঢুকে গেছে, লোকজান তাকিয়ে আছে কখন সে পাখিটি বের হবে,

জনগন বলেন আমরা যখন আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে কবর দিলাম তখন শুনতে পেলাম কে যেন তেলাওযাত করছে

يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
وَادْخُلِي جَنَّتِي

জনগন চারিদিকে তাকায় কিন্তু তেলাওযাতকারীকে কেহ দেখতে পায়না, অর্থ্যাৎ নবীজির চাচাত ভাই আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে স্বাগতম জানিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশী বেশী জিকির করার এবং প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.