লাইফে মিরাকেল কিছু চাইলে আসরের নামাজে এ আমলটি অবশ্যই করুন। আসরের নামাজের ফজিলত
লাইফে মুজেজা বা মিরাকেল কিছু চাইলে
আসরের নামাজে এ আমলটি অবশ্যই করুন
যখন কোন মুর্দাকে কবরে রাখা হয়, ইবনে মাজার ৪২৭২ নং হাদিসের বর্ণনা
إِذَا أُدْخِلَ الْمَيِّتُ الْقَبْرَ مَثَلَتْ لَهُ الشَّمْسُ عِنْدَ غُرُوبِهَا
فَيَجْلِسُ يَمْسَحُ عَيْنَيْهِ وَيَقُولُ: دَعونِي أُصَلِّي
যখন (মু’মিন) মৃতকে কবরে দাফন করা হয়, তার নিকট মনে হয় যেন সূর্য ডুবছে তখন সে হাত দিয়ে চোখ
মুছতে মুছতে উঠে বসে এবং বলে যে, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি (আসরের) নামাজ আদায় করি নাই। (সালাতের প্রতি একাগ্রতার কারণে এরূপ বলবে)
দেখুন কবরের মধ্যেও সে প্রথমে সে কথাই বলবে যেটির সাথে জীবিত অবস্থায় তার বেশী সম্পর্ক ছিল অনেক মেডিকেল ডাক্তারের ভাষ্য হল যে লোক যে কাজ বেশী করে মৃত্যুর সময় তার থেকে সেটিই প্রকাশ হয় যে লোক দুনিয়াতে নামাজকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন কবরে গিয়েও তার জীবন ফিরে পেয়ে নামাজের জন্য ব্যস্ত হয়ে যাবে
হুজুর পাক (দ) এরশাদ করেন যে
ব্যক্তি আসরের নামাজ ইচ্ছাকৃত ভাবে ছেড়ে দিল, তার সবকিছু ছিনতাই হয়ে গেল যেমন নাসাঈ শরীফের ৪৮১ নং হাদিসের বর্ণনা
নাওফাল ইবনু মুয়াবিয়া (রাঃ) কে বলতে
শুনেছিঃ সালাতের মধ্যে এমন সালাত রয়েছে যে ব্যাক্তি থেকে তা ছুটে গেল তার পরিবার-পরিজন ও
ধন-সম্পদ যেন ছিনতাই হয়ে গেল। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তা হচ্ছে আসরের সালাত।
নাসাঈ শরীফের ৪৭৫ নং হাদিসের বর্ণনা আবূল মালিহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা মেঘাচ্ছন্ন দিনে আমরা বুরায়দা (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ অবিলম্বে সালাত আদায় করে নাও, কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দিল, তার সমস্ত আমল ধ্বংস হয়ে গেল। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে সালাতুল উসতাকে হেফাজতের তাগিদ দিয়েছেন, আর সালাতুল উসতা অর্থ হল মধ্যবর্তী নামাজ আর মধ্যবর্তী নামাজটি হল আসরের নামাজ। সে জন্য যতই ব্যস্ততা থাকুক আসরের নামাজ ছাড়বেন না।
নাসাই শরীফের ৪৭২ নং হাদিসের বর্ণনা
উমারা ইবনু রুওয়াইবা সাকাফী (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ
আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যাক্তি সূর্য উদয় হওয়ার
পূর্বের (ফযরের) সালাত এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বের (আসরের) সালাত আদায় করবে, সে কখনও জাহান্নামে প্রবেশ করবে না আসরের জন্য তাকীদ এ জন্য
দেয়া হয়েছে যে, অনেক লোকেরই এ সময় কাজকর্মের ব্যস্ততা থাকে। আর সে ব্যস্ততাকে অগ্রাহ্য করে বান্দা যখন আল্লাহর সামনে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়
তা আল্লাহর বেশী পছন্দ।
কোন মন্তব্য নেই