হযরত আদমের (আ) শ্রেষ্ঠ দোয়া আমল ও ওজিফা।

 

হযরত আদমের (আ) শ্রেষ্ঠ দোয়া আমল ও ওজিফা।



আজকে হযরত আদম (আ) এর কিছু আমল ও ওজিফা শেয়ার করব যা প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ  মসনদে আহমদের হাদিস নবী করিম () এরশাদ করেন আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম () কে সমগ্র পৃথিবীর মাটি থেকে সংগৃহিত মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, মাটির গুনাবলির ভিন্নতার কারনে কেহ কঠোর, কেহ শান্ত, কেহ মধ্যমপন্থী স্বভাবের, কেহ শুভ্র, কেহ লাল, কেহ কালো বর্ণের কেহ মন্দ কেহ সৎ কেহ উভয় দোষে গুণে সৃষ্টিআদম () এর শরীর আল্লাহ তায়ালা নিজ কুদরতি হাতে জুমার দিন তৈরী করলেন বায়তুল মুকাদ্দাসের মাটি দ্বারা আদম (আ) এর মাথা, বেহেশতের মাটি দ্বারা মুখ, পাকভারতের মাটি দিয়ে দাত, কাবার মাটি দিয়ে হাত, ইরাকের মাটি দিয়ে পিঠ, জান্নাতুল ফেরদৌস এর মাটি দিয়ে কলিজা, তায়েফের মাটি দিয়ে জিহ্বা, হাউজে কাউসারের মাটি দিয়ে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরী করা হয়

আল্লাহ আদম শরীরে রুহকে প্রবেশ করার আদেশ দিলেন, রুহ প্রথমে প্রবেশ করে ভিতরে অন্ধকারের কারনে বের হয়ে গেল, অতঃপর আদম () এর কপালে আমাদের প্রিয় নবীর নুর মোবারক রাখা হল তখন রুহ সানন্দে আদম শরীরে প্রবেশ করল, রুহ প্রবেশের সাথে সাথে আদম () হাচি দিলেন আর বললেন আলহামদুলিল্লাহ, আর আল্লাহ জবাব দিলেন ইয়ারহামুকুমুল্লাহ আমাদের উচিত আদম (আ) এর জীবনের প্রথম আমল আলহামদুলিল্লাহ দ্বারা সদা সর্বদা আল্লাহর শোকর আদায় করা।

আল্লাহর হকুমে আদম (আ) ফেরেশতাদেরকে সালাম দিলেন (আসসালামু আলাইকুম) বলে, উত্তরে ফেরেশতারা বলল (ওয়া লাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ) আল্লাহ বললেন এটাই তোমার সন্তানদের সালামের পদ্ধতি আমাদেরও উচিত হযরত আদম (আ) এর সুন্নত হিসেবে সালামের আদান প্রদান করা।

পৃথিবীতে একাকী চলাফেরা করতে আদম () একাকি অনুভব করতে লাগলেন,  একদিন জুমার দিন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন এ সময় আল্লাহর হকুমে ফেরেশতারা তাঁর বাম পাঁজরের হাঁড় কেটে তা দিয়ে হযরত হাওয়া () কে তৈরী করলেনঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে হযরত হাওয়া কে দেখে আদম () তার দিকে হাত বাড়াতে চাইলেন, তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন তার মহর আদায় কর, আদম () বলেন এয়া আল্লাহ মহর কি? বলা হল ১০ বার দরুদ শরীফ আর সে বিয়ের সাক্ষি ছিল ফেরেশতারা

যেহেতু আদম (আ) জুমার দিন প্রিয় নবীর উপর দরুদ পাঠ করেছেন, আমাদেরও উচিত দরুদ পড়া বিশেষ করে জুমার দিন বেশী বেশী দরুদ পাঠ করা আদম (আ) শয়তানের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করেন ফলে তাদেরকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেয়া হয় হযরত আদম (আ) নিজের ভুলের কারনে শত শত বছর যাবৎ কান্নাকাটি করলেন অবশেষে তিনি আমাদের নবীর উসিলায় দোয়া করলেন যেমন তিনি দোয়া করেছেন (রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইন লাম তাগফির লানা ওয়াতারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসরিন- আসআলুকা বিহাক্কি মুহাম্মাদিন আন তাগফিরালি) ফলে তাঁর দোয়া কবুল হয়ে গেল, সুতরাং আমাদেরও উচিত যে কোন দোয়াতে আমাদের প্রিয় নবীজির ‍অসিলায় দোয়া করা তাহলে দ্রুত দোয়া কবুল হবে আদম () জান্নাত থেকে আসার পর উনার শরীরের রং কালো হয়ে গিয়েছিল, তওবা কবুল হওয়ার পর উনাকে বলা হল ১৩,১৪,১৫ তারিখের আইয়্যামে বিযের রোজা রাখার জন্য তিনি ৩ দিন রোজা রাখার ফলে তাঁর শরীরের রং আবার সুন্দর হয়ে গেল

সে জন্য যারা চান চেহেরা সুরত সুন্দর হউক, শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ ও সুন্দর হউক তারা প্রতি চাঁদের মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখ রোজা রাখবেনএ ৩টি রোজা পূর্বের শরীয়তে ফরয ছিল

প্রিয় বন্ধুরা অনেকে বলেন দোয়া কবুল হয়না, তাদের জন্য বলছি শয়তান যে আল্লাহর দুষমন সেও আল্লাহর কাছে দোয়া করেছে  (রব্বি আনজিরনি ইলা এয়াউমি ইউবআছুন) হে আল্লাহ আমাকে কিয়ামত পযন্ত হায়াত ও, আল্লাহ তার সে ফরিয়াদও কবুল করে নিলেন। 

তাহলে আমরা যারা মুমিন ঈমানদার আমাদের দোয়া কেন কবুল করবেন না? আমাদের দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন, আমরা তা বুঝতে পারিনাকারন দোয়া কবুল হওয়ার ৩টি পদ্ধতি হয়ত যা চাই তা দেন, অথবা যা চাই তা না দিয়ে কোন বিপদ আপদ দুর করে দেন, অথবা দোয়া কবুল করেছেন তার বদলা দিবেন আখেরাতেসুতরাং প্রত্যেক বান্দার উচিত আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করা

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.